ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তামিম হাওলাদারের মাদারীপুরের বাড়ির দুইটি ঘর আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। 

বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যার দিকে মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চাতক চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

সাম্য হত্যা: গ্রেপ্তার ৩ যুবক এলাকায় নানা অপরাধে জড়িত

নড়াইলে হত্যা মামলায় নারীসহ ৩ আসামির যাবজ্জীবন

গ্রেপ্তার তামিম ব্রাহ্মন্দী এলাকার এরশাদ হাওলাদারের ছেলে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার আরো দুইজন ব্রাহ্মন্দী গ্রামের কালাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার ও ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের শশিকর গ্রামের যতন্দ্রীনাথ মল্লিকের ছেলে সম্রাট মল্লিক।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চাতক চাকমা বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনের বাড়িই মাদারীপুর জেলায়। এদের মধ্যে তামিম হাওলাদার ও পলাশ সরদারের বাড়ি সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামে। অপরজনের বাড়ি ডাসার উপজেলার শশিকরে।” 

তিনি বলেন, “বুধবার সন্ধ্যায় তামিম হাওলাদারের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ লোকজন অগ্নিসংযোগ করে। মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।” 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চাতক চাকমা বলেন, “গ্রেপ্তার অন্য দুইজনের বাড়িতে হামলার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ কাজ করছে।”

মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্যকে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে পড়তেন। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থী এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়।

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আগ ন ব র হ মন দ র উপজ ল র ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়

চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।

এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।

গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।

ব্রহ্মপুত্র নদের চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা

সম্পর্কিত নিবন্ধ