পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সামরিক উত্তেজনার কারণে মাঝপথে থেমে গিয়েছিল পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) এবারের আসর। দুই দেশের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বে বিরতি দেওয়ার সিদ্ধান্তে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ফের মাঠে গড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে টুর্নামেন্টটি। তবে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে অনেক বিদেশি খেলোয়াড় এই পর্বে অংশ নিতে অপারগতা জানিয়েছেন। তাদের অনুপস্থিতি পূরণে দলগুলো খুঁজছে নতুন বিকল্প, আর ঠিক সেই জায়গায় সুযোগ মিলেছে সাকিব আল হাসানের।

সাকিব এবারের আসরের প্লেয়ার ড্রাফটে থাকলেও কোনো দল তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি শুরুতে। তবে দ্বিতীয় ধাপের খেলা শুরুর আগে তাকে দলে নিয়েছে লাহোর কালান্দার্স। এখনো ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও, পিএসএলের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগেও পিএসএলে খেলেছেন বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। ২০১৬ সালে করাচি কিংসের হয়ে তার অভিষেক হয় পাকিস্তানের ঘরোয়া এই জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি লিগে। এরপর তিনি খেলেছেন পেশোয়ার জালমি এবং লাহোর কালান্দার্সের হয়েও। পিএসএলে মোট ১৪ ম্যাচে অংশ নিয়েছেন তিনি, যেখানে ব্যাট হাতে করেছেন ১৮১ রান (গড় ১৬.

৩৬, স্ট্রাইক রেট ১০৭.১৪) এবং বল হাতে শিকার করেছেন ৮ উইকেট, ইকোনমি রেট ছিল ৭.৩৯।

আরো পড়ুন:

এই স্বীকৃতি আমাকে আরও এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে: মিরাজ

ছোটবেলা থেকেই খুব খেলতে চাইতাম: তাসনুভা তিশা

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বহুবার বাংলাদেশের হয়ে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স উপহার দেওয়া এই তারকার পিএসএলে ফেরা নিঃসন্দেহে লাহোর দলের জন্য বড় শক্তি হিসেবে কাজ করবে। এখন দেখার পালা, বিরতির পর সাকিবের অভিজ্ঞতা কতটা কাজে আসে লাহোর কালান্দার্সের জন্য।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প এসএল

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবকে দলে নিতে চেয়েও কেন পারেনি রংপুর

গ্লোবাল সুপার লিগের (জিএসএল) জন্য সাকিব আল হাসানকে দলে নিতে চেয়েছিল রংপুর রাইডার্স। তবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডারকে দলে নেয়নি টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

২০ জুন স্কোয়াড ঘোষণা করেছে রংপুর রাইডার্স। আগামী ১০ থেকে ১৮ জুলাই গায়ানা প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে হবে জিএসএলের দ্বিতীয় আসর। গত বছর প্রথম আসরের শিরোপা জেতা রংপুরকে এবারও নেতৃত্ব দিচ্ছেন উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান।

সাকিব ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি এখনো দেশে ফেরেননি। এমনকি গত বছরের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিদায়ী টেস্ট খেলতে চাইলেও পারেননি।

জিএসএল নিয়ে আজ সংবাদ সম্মেলনে রংপুর রাইডার্সের টিম ডিরেক্টর শানিয়ান তানিম সাকিবকে দলে না নেওয়ার প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর ভাষ্য, ‘সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের কেন, বিশ্বের যেকোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের অন্যতম মূল্যবান ক্রিকেটার হতে পারে। আমরা তাকে দলে নিতে চাইনি—এমন নয়। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। এই পরিস্থিতির কারণে আমরা নিতে পারিনি।’

সাকিবকে না নেওয়ার বিষয়ে কোনো মহল থেকে নির্দেশনা ছিল কি না, এ প্রশ্নে শানিয়ান তানিম বলেন, ‘সাকিবকে নেওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে কেউ কোনো ইনস্ট্রাকশন দেয়নি। সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণ ম্যানেজমেন্টের। এখন দেশের যা পরিস্থিতি, তাতে আমরা জানি না সাকিবকে নেওয়ার পর কী ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে পারে। সাকিবও পরিস্থিতি সম্পর্কে জানে।’

রংপুর অধিনায়ক নুরুল সাকিবের প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমি শুধু ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকেই চিনি। সব সময় চাইব ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করতে। তাঁর সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করা আমার জন্য গর্বের। সাকিব যে দলেই থাকুক না কেন, (সেই দল) অনেক লাভবান হবে। সেটা বাংলাদেশ অনেক বছর ধরেই হয়ে এসেছে। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে অবহেলা করার সুযোগ নেই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাকিবকে দলে নিতে চেয়েও কেন পারেনি রংপুর