তখন বাংলায় এসেছে শীতকাল। শুরু হয়েছে পৌষ মাস। মাটিতে নেই আর্দ্রতা। বাতাসে এসেছে শুষ্ক ভাব। ভোরের কুয়াশা মিলিয়ে যায় হঠাৎ। দিনটি ছিল গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৯৫৮ সালের ২১ ডিসেম্বর। বাংলা মাসের তারিখমতে ৫ পৌষ ১৩৬৫। এই দিনে জয়নুল আবেদিনের ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত শিল্পশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্র-শিক্ষক সবাই মিলে বার্ষিক বনভোজনে গিয়েছিলেন মুন্সিগঞ্জের এক চরে। ‘জয়নুল আবেদিন: সৃষ্টিশীল জীবনসমগ্র’ বইতে সৈয়দ আজিজুল হক লিখেছেন, ওই দিন ঢাকার সদরঘাট থেকে দুটি লঞ্চে করে সবাই বনভোজনে গিয়েছিলেন। প্রতি বছরের মতো ওই বছরও সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীরা যুক্ত হয়েছিলেন এই আয়োজনে।
বনভোজনে গিয়ে আঁকা নৌকা, কাগজে জলরং, ১৯৫৮.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নেত্রকোনায় ছেলের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু
নেত্রকোনার মদনে ছেলের লাঠির আঘাতে মোস্তফা মিয়া (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের ঘাটুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তফা মিয়া ঘাটুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কৃষিকাজ করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোস্তফা মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ মিয়া (২৫) দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি কখনো বাড়িতে থাকতেন, কখনো বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন।
গতকাল সন্ধ্যার পর সাজ্জাদ বাড়িতে ফেরেন। রাতের খাবার শেষে মোস্তফা মিয়া নিজ ঘরে শুয়ে পড়লে হঠাৎ সাজ্জাদ ঘরে ঢুকে লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মোস্তফা মিয়া।
খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সাজ্জাদকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মোস্তফা মিয়ার লাশ উদ্ধার করে এবং সাজ্জাদকে থানায় নিয়ে যায়।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ বলেন, সাজ্জাদ মানসিক ভারসাম্যহীন বলে পরিবার ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তাঁকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ আজ রোববার সকালে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।