বিদেশে পড়াশোনায় গন্তব্য হতে পারে এই ৫ দেশ, কারণ পড়াশোনার খরচ কম এবং সহজ ভিসা পদ্ধতি
Published: 3rd, June 2025 GMT
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো জনপ্রিয় গন্তব্যগুলোতে ভিসা পেতে বিলম্ব এবং পড়াশোনার খরচ বেশি হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী বিকল্প দেশ খোঁজেন। বিকল্প দেশের প্রতি ঝোঁকার অন্যতম কারণ সাশ্রয়ী মূল্যের শিক্ষার সঙ্গে দ্রুত এবং আরও সহজলভ্য শিক্ষার্থী ভিসা (স্টুডেন্ট ভিসা) প্রক্রিয়া। এমন পাঁচটি দেশ আছে, যেখানে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ এবং দ্রুত। দেখুন তালিকা-
পোল্যান্ড
সাশ্রয়ী মূল্যে শিক্ষা, নিরাপদ পরিবেশ ও বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারণে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে পোল্যান্ড। ভিসা প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ হওয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের দেশটির প্রতি আকর্ষণ রয়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশই ভিসা পেয়ে যান। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য অধ্যয়নের গন্তব্যগুলোর মধ্যে এটি একটি হতে পারে।
জার্মানি
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচ্চমানের শিক্ষাব্যবস্থা এবং টিউশন মুক্ত নীতির কারণে জার্মানি অনেকটাই এগিয়ে অন্য অনেক দেশের চেয়ে। দেশটিতে স্টুডেন্ট ভিসা গ্রহণের হার ৯০ শতাংশের বেশি। স্টেম (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত) প্রোগ্রামের জন্য আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা প্রায়ই সহজেই ভিসা পেয়ে যান। এ ছাড়া জার্মানি ১৮ মাসের পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসা প্রদান করে, যা স্নাতকদের তাঁদের পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরি খুঁজতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুনচীনের সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি, মিলবে বই কেনারও অর্থ, আইইএলটিসে ৭ হলে আবেদন০৭ মে ২০২৫ফ্রান্স
ফ্রান্সও সহজলভ্য ভিসা প্রক্রিয়ার কারণে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে শিক্ষার্থীদের কাছে। স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে প্রায় ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ভিসা পেয়ে থাকেন। ন্যূনতম ডকুমেন্টেশন ও ভিসা প্রক্রিয়াকরণ তুলনামূলকভাবে দ্রুত হয়ে থাকে। ফ্রান্স জনপ্রিয় অধ্যয়নের গন্তব্য হওয়ার পেছনে ব্যবসা, আতিথেয়তা এবং ফ্যাশনও একটি কারণ মনে করা হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত
ব্যবস্থাপনা এবং ব্যবসায়িক প্রোগ্রামে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য সঙযুক্ত আরব আমিরাত পছন্দের একটি গন্তব্য হয়েছে উঠেছে। দেশটি সাধারণত ৩০ দিনেরও কম সময়ে স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়া করে এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচ বছর পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি ভিসা প্রদান করে। ৭০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ ভিসা গ্রহণের হার এবং সামগ্রিক শিক্ষার খরচ কম থাকায় মধ্যপ্রাচ্যর দেশটির প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ছে।
আরও পড়ুনজাপানের স্টাডি সাপোর্ট স্কলারশিপ, ইংরেজি ও জাপানিজ দুই ভাষার দক্ষতা প্রয়োজন০৮ মে ২০২৫ফিলিপাইন
ফিলিপাইন চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা-সম্পর্কিত শিক্ষা প্রোগ্রামের জন্য বেশ পরিচিত। ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সহজ এবং টিউশন ফি পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। ভিসা গ্রহণের হার ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
আরও পড়ুনথাইল্যান্ডের এআইটি স্কলারশিপে উচ্চশিক্ষার সুযোগ, জেনে নিন সব তথ্য০৪ মে ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রক র য র জন য ব শ বব ব যবস জনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫