পাকিস্তানে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত কারাগার, দুই শতাধিক কয়েদির পলায়ন
Published: 3rd, June 2025 GMT
পাকিস্তানের করাচির দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরীর একটি কারাগার থেকে দুই শতাধিক কয়েদি পালিয়ে গেছে। প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলী শাহ জানান, গতকাল সোমবার (২ জুন) রাতে মালির কারাগারের একটি ক্ষতিগ্রস্ত দেয়াল ভেঙে কয়েদিদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে। রবিবার ওই এলাকায় একাধিক কম তীব্রতার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।
মুরাদ আলী শাহ করাচিতে সাংবাদিকদের বলেন, “আফটারশকের কারণে কয়েদিদের ব্যারাক থেকে বের করে আনা হয়েছিল, যা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।”
আরো পড়ুন:
ফের শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল গ্রিস, সুনামি সতর্কতা জারি
ইন্দোনেশিয়ায় ৫.
তিনি বলেন, “কয়েদিরা কারাগারের নিরাপত্তা কর্মীদের কাছ থেকে রাইফেলও ছিনিয়ে নেয় এবং গুলি চালানোর সময় একজন কয়েদি নিহত হন। এ ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।”
তিনি আরো জানান, প্রায় ২১৬ জন কয়েদি পালিয়ে গেছেন এবং এখন পর্যন্ত ৮০ থেকে ৮২ জনকে পুনরায় আটক করা হয়েছে।
ঘটনাটিকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, “মালির কারাগারে ছয় হাজারেও বেশি কয়েদি রয়েছে এবং কারা প্রশাসন তাদের ব্যারাক থেকে বের করে এনেছে এবং তাদের মধ্যে কিছু কয়েদি দলে দলে পালিয়ে গেছে।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, “পালিয়ে যাওয়া সকল বন্দীকে অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করতে হবে, অন্যথায় তাদের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলার মুখোমুখি হতে হবে।”
ঢাকা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ ম কম প ভ ম কম প
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে
জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।