শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ করেছেন সংগঠনের একাংশের নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার মাদারীপুর-শরীয়তপুর সড়কে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

ছাত্রদল সূত্র জানায়, ২০২১ সালে শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদলের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর ৪ বছর জেলা ছাত্রদলের কোনো কমিটি ছিল না। ৩ জুন ছাত্রদলের শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদলের ৩৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আহ্বায়ক করা হয়েছে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচ এম জাকিরকে। তিনি শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী। সদস্যসচিব হয়েছেন শরীয়তপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল তালুকদার। পরে ওই কমিটির ৫ জন যুগ্ম আহ্বায়কসহ একটি পক্ষ কমিটি বাতিলের দাবি জানায়।

কমিটি বাতিলের দাবিতে একটি পক্ষ বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে। নতুন কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষও হয়েছে।

আজ দুপুরে ছাত্রদলের একটি পক্ষ শরীয়তপুর সরকারি কলেজ মাঠে জড়ো হয়। এরপর তাঁরা সাদা কাপড় পরে ও মাথায় বেঁধে বিক্ষোভ শুরু করেন। সরকারি কলেজ থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি মাদারীপুর-শরীয়তপুর সড়ক হয়ে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। ঘণ্টাব্যাপী মিছিলের সময় সড়কটির দুই প্রান্তে যানবাহন আটকা পড়ে। তখন শহরে যানজটের সৃষ্টি হয়।

কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল খান প্রথম আলোকে বলেন, কমিটিতে বয়স্ক, বিবাহিত ও পেশাজীবীদের স্থান দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি বাতিল করতে হবে।

আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইসহাক সরদার বলেন, ‘ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। আমরা তৃণমূলের অসন্তোষের কথা কেন্দ্রীয় কমিটি ও বিএনপির জেলা নেতাদের জানিয়েছি। কেউই বিষয়টির সমাধানের উদ্যোগ নিচ্ছেন না। ওই বিতর্কিত কমিটি বাতিল করা না হলে আরও কঠিন আন্দোলন করা হবে।’

তবে শরীয়তপুর জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এস এম জকির প্রথম আলোকে বলেন, ‘সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করতে আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। আমরা সবার সহযোগিতায় একটি নতুন কমিটি উপহার দিয়ে বিদায় নেব। কমিটি ঘোষণার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে অনেকে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। কেউ আবার তাঁদের উসকে দিচ্ছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছি। দু-এক দিনের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র

এছাড়াও পড়ুন:

যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা

রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।

আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।

লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
  • সিলেটে বাসদ কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, আটক ২২
  • যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা