বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ব্যবসায়ীরা চামড়ার দাম কম পাচ্ছে এ তথ্যগুলো সঠিক নয়। সরকার যে চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে তা হলো লবণযুক্ত চামড়া। লবণ ছাড়া বা আধাপঁচা চামড়ার দাম পাওয়া যাবে না এটাই স্বাভাবিক। 

মঙ্গলবার বগুড়া শহরের জামিল মাদ্রাসায় সংরক্ষণ করা চামড়া পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন। 

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, মাদ্রাসায় লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা চামড়া সরকারি মূল্যর চেয়েও বেশি মূল্য আশা করছেন এবং মাদ্রাসার শিক্ষকদের আস্থা আছে যে, উনারা এটা পাবেন।

উপদেষ্টা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যদি লবণবিহীন চামড়ার কথা বলে থাকেন, আধাপঁচা চামড়ার কথা বলে থাকেন তাহলে তো সেটার সঙ্গে এটার কোনো তুলনাই হয় না। সরকার তো আধাপঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেনি। বাজার অনুসারে যে যেটা মনে করছে উপযুক্ত মূল্য, সেভাবে লেনদেন করেছে। এ বিষয়ে তো আমাদের সরকারের কোনো কিছু করার নেই।
 
উপদেষ্টা আরও বলেন, রমজান পরবর্তী প্রধান উপদেষ্টা আমাকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন যে, আমরা যেন চামড়ার বাজারে একটা স্বস্তি নিশ্চিত করি। চামড়াকে উপযোগী করার ক্ষেত্রে সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম এবার সাড়ে ৭ লাখ মণ লবণ বিনামূল্য সারাদেশে বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিতরণ করেছে।

তিনি চামড়া ব্যবসায়ী ও টেনারি মালিকদের সঙ্গে পাওনা ও লেনদেনের বিষয়ে বলেন, চামড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ট্যানারি মালিকদের একটা ঘাটতি রয়েছে। এখানে ব্যবসায়ী টু ব্যবসায়ীর একটা সম্পর্ক রয়েছে। এখানে সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না। আপনি টাকা পাবেন একজনের কাছে আপনি মামলা করেন তার নামে, তখন সরকার এর ব্যবস্থা নিবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি মামলা না করছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমি সন্ত্রাসীর ভূমিকা নিতে পারব না। আমি একজনকে এমনিতেই বলতে পারব না আপনি টাকা দিচ্ছেন না কেন। 
  
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজ, পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা, জামিল মাদ্রাসার মাওলানা আতাউল্লাহ নিজামী প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ণ জ য উপদ ষ ট ব যবস য় উপদ ষ ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে

এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?

দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’

প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।

আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’

তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’

মুশফিকুর রহিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ