খাগড়াছড়িতে নারী-শিশুসহ ১৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
Published: 19th, June 2025 GMT
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে নারী-শিশুসহ ১৩ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে (পুশইন) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বৃহস্পতিবার ভোরে মাটিরাঙ্গা উপজেলার তানাক্কাপাড়া সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশইন করানো হয়। বর্তমানে তারা স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পের তত্ত্বাবধানে একটি স্কুলে অবস্থান করছে। প্রাথমিকভাবে তাদের মধ্যে ১২ জন নড়াইল ও একজন যশোরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওসমান আলী জানান, পুশইন করা ব্যক্তিরা ভারতের মহারাষ্ট্রের ইটভাটা এবং রাজমিস্ত্রী হিসেবে কাজ করতেন। তাদের অনেকেই ১৫-২০ বছর আগে ভারতে যান।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে এখন পর্যন্ত ১৪৫ জনকে পুশইন করেছে ভারত। নতুন পুশইন হওয়া ১৩ জন ছাড়া বাকি সবাইকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদের অধিকাংশ কুড়িগ্রাম, নড়াইল জেলার বাসিন্দা। কাজের সন্ধানে অবৈধ পথে তারা ভারতে পাড়ি জমান।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সীমান্তে টিকটক করে জেলহাজতে দুই কলেজছাত্র
নওগাঁর সাপাহার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে টিকটক ও সেলফি তোলার সময় দুই বাংলাদেশি কলেজছাত্রকে আটক করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত দিলেও সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আটক দুই ছাত্র হলেন– বদলগাছী উপজেলার ধুলাপাড়া গ্রামের মোহাম্মাদ মিনহাজুল ইসলাম ও পাতকোলা গ্রামের মোহাম্মাদ তালিম আহমেদ সৌরভ। মিনহাজুল নওগাঁ ডিগ্রি কলেজের এবং সৌরভ সাপাহার সরকারি ডিগ্রি কলেজের ছাত্র।
জানা যায়, গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মিনহাজুল ও সৌরভ সাপাহার উপজেলার আইহাই ইউনিয়নের বামনপাড়া সীমান্তের ২৪৬ নম্বর পিলার এলাকায় বেড়াতে যান। এ সময় কাঁটাতারের বেড়াঘেঁষে টিকটক ও সেলফি তুলছিলেন তারা। ভারতের অভ্যন্তরে সন্দেহভাজন প্রবেশের অভিযোগে টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের আটক করেন। খবর পেয়ে বামনপাড়া বিওপির নায়েক সুবেদার তালেব ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বাংলাদেশে ফেরত এনে রাত ১০টার দিকে সাপাহার থানায় হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার বিজিবির পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়।
সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আজিজ জানান, বিজিবির অভিযোগের ভিত্তিতে দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এরপর তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।