চাল-মাছের দাম বেড়েছে, কমেছে ডিম-মুরগির দাম
Published: 20th, June 2025 GMT
ঈদের পর চালের দাম বাড়তে শুরু করছে। এদিকে সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে মাছের দামও বেড়েছে। তবে কমেছে ডিম ও মুরগির দাম।
শুক্রবার (২০ জুন) রাজধানীর নিউমার্কেট, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের পর প্রতি কেজি চালে দুই থেকে চার টাকা বেড়েছে। এখন বাজারে মানভেদে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৬ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। নাজিরশাইল চাল ৭৪ থেকে ৭৮ টাকা, কাটারিভোগ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ চাল ৫৮ থেকে ৬২ টাকা, স্বর্ণা গুটি চাল ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা এবং চিনি গুঁড়া পোলাও চাল মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে মাছের দাম। এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাস কেজি ২২০ থেকে ২৫০টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৪০, কৈ ২৫০, শিং ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৪০০ থেকে ৫৫০টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৫০০ থেকে ৬০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
ট্যানারি মালিকদের অপেক্ষায় নাটোরের চামড়া ব্যবসায়ীরা
কমেছে সবজির দাম
কমেছে ডিম ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, কোরবানি মাংস এখনো বেশিরভাগ মানুষের বাসায় আছে। যে কারণে এখন বাজারে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা কম, তাই দামও কমেছে। এখন বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, যা ঈদের আগে ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগি এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়, যা ঈদের আগে ছিল ৩০০ টাকা।
এখন বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়, যা ঈদের আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।
স্থিতিশীল রয়েছে সবজির বাজার
এখন বাজারে বেগুন মানভেদে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাজর (দেশি) ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০ টাকা, প্রতিটি পিস লাউ ৫০, টমেটো ১২০টাকা, চিচিঙ্গা ৫০, দেশি শশা ৬০, বরবটি ৬০, ঢেড়শ ৪০, জালি কুমড়া ৫০ টাকা পিস, মিষ্টি কুমড়া কেজি ২৫ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে এখন প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০, রসুন ১৮০ ও দেশি আদা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর সালেক গার্ডেন কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রাজিব আহসান রাইজিংবিডিকে বলেন, “আজ বাজারে মাছের দাম অনেক চড়া দেখলাম। সরকারের উচিত মধ্যবিত্তদের কথা ভেবে নিয়মিত বাজার তদারকি করা।”
রাজধানীর নিউমার্কেটর সাকিল রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী শাকিল হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, “ঈদের পর এ সপ্তাহে চালের দাম বাড়তি। মিলগেটে দুই থেকে চার টাকা প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে। আমরা পাইকারি সংগ্রহ করে বিক্রি করি। আগামীতে চালের দাম আরো বাড়তে পারে।”
ঢাকা/রায়হান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গর এখন ব জ র ম রগ র
এছাড়াও পড়ুন:
তেল, ছোলা, চিনিসহ ১০ পণ্য আমদানিতে ব্যবসায়ীদের মার্জিন–সুবিধা বাড়ল
পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ বজায় রাখতে ১০টি পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার সময় নগদ মার্জিন ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে এসব পণ্যের সরবরাহ বাড়বে, কমতে পারে দামও। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ব্যাংকার–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর—এই ১০ পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নগদ মার্জিন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে হবে। নির্দেশনাটি তাৎক্ষণিক কার্যকর হবে এবং ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে।
এর আগে পবিত্র রমজান মৌসুমে কিছু পণ্যের আমদানিতে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ মার্জিন বাধ্যতামূলক ছিল। পরবর্তী সময়ে বাজার পরিস্থিতি ও চাহিদা বিবেচনায় ব্যাংকার–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিনের হার কমানোর সুযোগ দেওয়া হয়, যা সর্বশেষ ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ ছিল।
নতুন নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোকে সংশ্লিষ্ট পণ্যের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পবিত্র রমজান মাসে এসব পণ্যের চাহিদা সাধারণত অনেক বেড়ে যায়। তাই বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ বজায় রাখা ও মূল্য সহনীয় রাখতে আমদানি সহজীকরণের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে; যার মাধ্যমে পুরো দেশের জনগণ উপকৃত হবে।