কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার দক্ষিণ ছাইরাখালী এলাকায় সংরক্ষিত বনে ছাপরা তুলে স্বামী ও চার সন্তান নিয়ে থাকতেন গৃহবধূ ইসমত আরা (৪০)। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি বন্য হাতি তাঁদের ঘরে ঢুকে পড়ে। হাতির পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে মারা যান ইসমত।

স্থানীয় লোকজন বলেন, ইসমত আরা ও মোহাম্মদ আলমগীর দম্পতির ঘরটি চারপাশে পলিথিন ও কাপড় দিয়ে ঘেরা ছিল। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ একটি বন্য হাতি ঘরে ঢুকে যায়। ঘটনাস্থলেই ইসমত মারা যান।

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহরাজ উদ্দিন বলেন, বনের জায়গায় অনেক আগে থেকে বসবাস করে আসছিল পরিবারটি। আশপাশে তেমন আর কোনো বসতি নেই।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আকিকুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহতের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা, দুটি কম্বল ও জরুরি খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চকরিয়ায় বন্যহাতির আক্রমণে গর্ভবতী নারী নিহত

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বন্যহাতির আক্রমণে ইসমত আরা বেগম (৩৫) নামে একজন গর্ভবতী নারী নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৩ জুন) রাতে চকরিয়া উপজেলার ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালী এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহত ইসমত আরা বেগম একই এলাকার মো. আলমগীরের স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, রাতে একদল বন্যহাতি শাবকসহ ছাইরাখালী এলাকায় প্রবেশ করে। এ সময় ইসমত আরার পালিত কুকুর হাতি শাবককে ধাওয়া করলে এক প্রাপ্তবয়স্ক হাতি ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের চালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে। হাতিটি শুঁড়ে নিয়ে ইসমত আরাকে আছাড় দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। 

এ সময় ঘরে ইসমত আরার চার শিশু সন্তান থাকলেও তারা অক্ষত থাকে। ঘটনার সময় নিহতের স্বামী বাড়ির বাইরে ছিলেন।

ফাঁশিয়াখালী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহেরাজ উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলটি রিজার্ভ বনের ভিতরে হাতির বিচরণক্ষেত্রে অবস্থিত। নিহত নারী ওই এলাকাতে ঝুপড়ি ঘর করে বসবাস করতেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘‘বন্যহাতির আক্রমণে নিহত গর্ভবতী নারীর পরিবারের পাশে প্রশাসন রয়েছে। তাদেরকে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হবে।’’

ঢাকা/তারেকুর/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চকরিয়ায় বন্যহাতির আক্রমণে গর্ভবতী নারী নিহত