সোনারগাঁয়ে দুই যুবককে অপহরণ করে নির্যাতন, ৫ অপহরণকারী গ্রেপ্তার
Published: 24th, June 2025 GMT
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের দড়িকান্দি এলাকা থেকে দুই যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে ৫ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের কুমারচর এলাকার জজ মিয়ার ছেলে মো.স্বাধীন মিয়া, ভাটিরচর এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে ফয়সাল মিয়া, নাজিরপুর এলাকার আক্কেল আলীর ছেলে রাব্বানী হোসেন মুন্না, বন্দর উপজেলার ছোটবাগ গ্রামের আসাদুজ্জামানের ছেলে মো.
গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠিয়েছে। এরআগে অপহরণের ঘটনায় ভূক্তভোগীর বড় বোন রেখা আক্তার বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, দাউদকান্দি উপজেলার ময়নামতি মীরপুর গ্রামের মো. ফিরোজ মিয়ার ছেলে মো. শাকিল মিয়া ও তার বন্ধু মৌলরদী গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে শাওন মিয়া গত রোববার বিকেলে মোটরসাইকেল যোগে বালু ব্যবসায়ের কাজে মহাসড়কের দড়িকান্দি এলাকায় যান। পরে অজ্ঞাতনাম ৪-৫জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে।
এক পর্যায়ে তাদের জোরপূর্বক টেনে হেচড়ে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটক করে নির্যাতন করে। তাদের সঙ্গে থাকা ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
পরে অপহৃতদের পরিবার তাদের বিকাশের মাধ্যমে দু’দফায় ২৫ হাজার টাকা দেয়। পরদিন সোমবার রাত ১১টার দিকে স্থানীয়রা টের পেয়ে স্বাধীন ও ফয়সাল নামের দুই অপহরণকারীকে আটক করে পুলিশে দেয়।
তাদের দেওয়া তথ্যে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই রাব্বানী হোসেন মুন্না, সাজ্জাদ হোসেন, রাশেদ ওরফে রাসেলকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খাঁন বলেন, অপহরণ করে দুই যুবককে নির্যাতন ও মুক্তিপন নেওয়ার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ অপহরণ গ র প ত র কর উপজ ল র স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
সৎ পথে চলতে হবে, সততার সাথে উর্পাজন করতে হবে : গিয়াস উদ্দিন
সৎ পথে চলতে হবে, সততার সাথে উর্পাজন করতে হবে। সততার বিজয় হয়েছে। অর্থ বড় নয় সততাই বড় আমি সৎ পথে চলে বিজয় অর্জন দেখেছি এ কথা বলেছেন নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সাংসদ, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও সিদ্ধিরগঞ্জ প্রগতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ¦ মুহাম্মাদ গিয়াস উদ্দিন।
সোমবার (২৩ জুন) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ প্রগতি সংসদ আয়োজিত ঈদ পুর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রগতি সংসদের সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সহ সভাপতি ও নাসিক সাবেক কাউন্সিলর গোলাম মুহাম্মাদ সাদরিলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সাংসদ, জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্যও সিদ্ধিরগঞ্জ প্রগতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ¦ মুহাম্মাদ গিয়াস উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- সাধারন সম্পাদক মোঃ মাঈন উদ্দিন, মহানগর যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক সাঘর প্রধান, সাবেক পৌর প্রশাসক আবদুল মতিন প্রধান, ক্লাবের প্রতিষ্ঠিাতা শামসুদ্দিন প্রধান, মিজানুর রহমান, সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন, ক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক শিশির ঘোষ অমর।
মুহাম্মাদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর পর ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করে জাকজমক পুর্ন ভাবে ঈদ পুর্ণমিলনী পালন করতে পারছি এটা আমাদের অনেক বড় পাওয়া। পবিত্র হজ¦ পালন করতে ঈদের সময় আমি এলাকায় আপনজনের পাশে থাকতে পারিনি কিন্তু সব সময় তাদের কথা মনে পড়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রগতি সংসদকে জনকল্যানে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে যাতে এলাকায় কোন সমস্যা হলে ক্লাবের পক্ষ থেকে তাদের পাশে দাড়াতে হবে। ক্লাবের সকল সদস্যদের মানুষের জন্য কাজ করতে কোথাও কোন প্রকল্প গ্রহন করে আমাদের জানালে আমরা তাদের সার্বিক সহযোগীতা করবো।
তিনি ক্লাবের সকলকে জনকল্যান মুখী কাজ করার জন্য আহবান জানিয়ে বলেন, এলাকার মানুষকে ক্লাব মুখী করতে হবে যাতে এলাকায় কোন মাদক ব্যবসাসহ কোন অপকর্মের সাথে কেউ জড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে।
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রগতি সংসদের সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সহ সভাপতি ও নাসিক সাবেক কাউন্সিলর গোলাম মুহাম্মাদ সাদরিল বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ প্রগতি সংসদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে আমার নেতৃত্বে বর্তমান কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ক্লাবের উদ্যোগে বিভিন্ন সময়ে খেলাধুলার আয়োজন,বৃক্ষরোপন,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান উন্নয়ন সহ একাধিক জনসচেতনতা মুলক কাজ করেছি। এলাকায় মাদক ব্যাবসা বন্ধে আমরা ইতিমধ্যে কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহন করেছি।