মরুর খেজুর চাষে সফলতা, বছরে আয় ৩০ লাখ
Published: 25th, June 2025 GMT
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সৌদি আরবের খেজুর চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কুয়েত প্রবাসী জাকির হোসেন। তার বাগানে ছয় প্রজাতির খেজুর চাষ করে সফল হয়েছেন তিনি। বর্তমানে খেজুর ও চারা বিক্রিকরে বছরে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা উপার্জন করছেন প্রাক্তন এই প্রবাসী।
ফুলবাড়ীর স্বজনপুকুর এলাকায় তিন বিঘা জমি নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে জাকির হোসেনের খেজুর বাগান। তার বাগানে বর্তমান প্রায় ৮০টি গাছ রয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি গাছে পর্যাপ্ত ফল ধরেছে। মরিয়ম, আজওয়া, খলিজি, মেডজুল, বাহির ও আম্বার জাতের গাছ আছে। প্রতিটি গাছে পর্যাপ্ত ফল এসেছে। এসব খেজুর এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে পাক ধরবে। সুস্বাদু এই খেজুর প্রতিকেজি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
বাগানের পাশে আরও এক একর জমিতে জাকির হোসেন তৈরি করেছেন খেজুর গাছের নার্সারি। নার্সারিতে তৈরি করেছেন প্রায় ১২ হাজার চারা। এখান থেকে সাধারণ চারা বিক্রি করছেন তিনি ১০০০ টাকা করে এবং কলমি চারা বিক্রি করছেন প্রতিটি ১৫ হাজার টাকা করে।
খেজুর চারার নার্সারি
১৯৯৯ সালে কাজের উদ্দেশ্যে কুয়েতে যান জাকির হোসেন। প্রায় ২০ বছর থাকেন তিনি প্রবাসে। সেখানে সৌদি আরবের বিভিন্ন জাতের খেজুরের বাগান দেখে উৎসাহিত হন তিনি। ২০১৭ সালে তিনি ১২ কেজি পাকা খেজুর দেশে আনেন। সেই খেজুর থেকে চারা তৈরিতে সফল হন জাকির। প্রথমে ১৯টি চারা তৈরি করে তার পরিচর্যা করেন। চার বছর ধরে গাছগুলোর যত্ন নেওয়ার পর ২০২২ সালে তিনটি গাছে প্রথমবারের মতো ফল আসে। পরের বছর আরও নয়টি গাছে ফল আসে।
প্রথম তিনটি গাছে ৩০ থেকে ৩৫ কেজি করে খেজুর ধরেছিল। পরে নয়টি গাছে গড়ে ৮০-৯০ কেজি করে খেজুর ধরে। বর্তমান প্রতিটি গাছে ১৫০ থেকে ২০০ কেজি খেজুর ধরেছে। বর্তমানে বাগানটিতে তিন জন শ্রমিক কাজ করেন।
এলাকাবাসী জিল্লুর রহমান বলেন, “আমাদের এলাকায় এই প্রথম সৌদি আরবের সুমিষ্ট খেজুর চাষ হচ্ছে। আমাদের দেশের মাটি সোনার চেয়েও খাঁটি। আমি জাকির ভাইয়ের কাছ থেকে কয়েকটি চারা সংগ্রহ করেছি। গাছগুলো অনেকটা বড় হয়েছে। আশা করছি খেজুর চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারব।”
কাঁদি ভরা খেজুর
বাগানশ্রমিক রেজাউল করিম বলেন, “জাকির ভাইয়ের খেজুর বাগান তৈরির শুরু থেকে আমি কাজ করছি। গত কয়েক বছরের চেয়ে এবার অনেক বেশি খেজুর ধরেছে। খেজুর খুবই সুস্বাদু এবং মিষ্টি। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছেন এই বাগান দেখতে। আমরা এই বাগানে তিন জন কাজ করি। এখান থেকে যা দিন হাজরা পাই তা দিয়ে সংসার ভালই চলে।”
খেজুর বাগানমালিক জাকির হোসেন বলেন, “আমি ১৯৯৯ সাল থেকে কুয়েতে ছিলাম। সেখানে সৌদি আরবের বিভিন্ন জাতের খেজুর চাষ করতে দেখেছি। অনেক বাগান আছে। তখন চিন্তা করি, কেন আমার দেশে এই খেজুর হবে না? দেশে ফিরে প্রথমে পরিত্যক্ত ২০ শতক জমিতে চারা তৈরি করে আবাদ শুরু করি। ভাল ফলনও হয়। বর্তমান তিন বিঘা জমিতে বাগান করেছি। আমি এখানে খেজুরের চারার নার্সারি তৈরি করছি। সাধারণ চারা এক হাজার টাকা এবং কলমি চারা ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করছি। বর্তমান আমি বছরে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার খেজুর ও চারা বিক্রি করছি।”
ফুলবাড়ী উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মো.
ঢাকা/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর খ জ র চ ষ কর করছ ন আরব র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
২৫ জুন: আর্জেন্টিনা ও ভারতের প্রথমবার বিশ্ব জয়ের দিন
ক্রীড়াঙ্গনে প্রতিদিন কত কিছুই তো ঘটে। এর মধ্যে কিছু দিন ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে গেছে। আর্জেন্টিনা ও ভারতবাসীর কাছে যেমন ২৫ জুন তেমনই এক দিন।
৪৭ বছর আগে আজকের এই দিনে প্রথমবারের মতো ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। ৪২ বছর আগে এই দিনেই সবাইকে চমকে দিয়ে ভারত জিতেছিল নিজেদের প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপ।
নিজেদের মাঠ বুয়েনস এইরেসের এস্তাদিও মনুমেন্তালে ১৯৭৮ ফাইনালে দানিয়েল পাসারেলার আর্জেন্টিনা ৩-১ গোলে হারায় নেদারল্যান্ডসকে। আর লর্ডসে ১৯৮৩ ফাইনালে কপিল দেবের ভারত সেই সময়ের মহাপরাক্রমশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারায় ৪৩ রানে।
ঐতিহাসিক দুই ফাইনাল আরেকবার ফিরে দেখা যাক—
২৫ জুন ১৯৭৮: আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস ফুটবল বিশ্বকাপ ফাইনাল১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপেই ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা। কিন্তু হারতে হয় স্বাগতিক উরুগুয়ের কাছে। এরপর চার দশকের বেশি সময়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা দূরে থাক, শেষ চারেও উঠতে পারেনি আর্জেন্টিনা।
অবশেষে ১৯৭৮ সালে নিজেদের মাটিতে প্রথমবার বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করে তারা। সিজার লুইস মেনোত্তির দল নকআউট পর্বে ওঠার পর তাদের আর আটকে রাখা যায়নি।
’৭৮ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দল