যে সিনেমা থেকে ৪০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেন শোয়ার্জেনেগার
Published: 26th, June 2025 GMT
নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার অভিনীত সিরিজ ‘ফুবার’-এর দ্বিতীয় কিস্তি। সিরিজের প্রচার উপলক্ষে সম্প্রতি অ্যান্ডি কোহেনের শো ‘ওয়াচ হোয়াট হ্যাপেনস লাইভ’-এ হাজির হয়েছিলেন অভিনেতা। সেখানে তিনি কথা বলেছেন ক্যারিয়ারের সবচেয়ে লাভজনক সিনেমা নিয়ে। শোয়ার্জেনেগারের দেওয়া তথ্য শুনে চমকে গেছেন অনেকেই।
অভিনেতা জানান, ১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কমেডি ছবি টুইনস নাকি তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে লাভজনক সিনেমা! বক্স অফিসে ‘টার্মিনেটর’ ফ্র্যাঞ্চাইজি যতটা সফল হোক না কেন, ‘টুইনস’ থেকে যা আয় হয়েছে, তার ধারেকাছেও নাকি আর কোনো ছবি আসতে পারেনি।
শোয়ার্জেনেগার বলেন, ‘“টুইনস”-এর জন্য আলাদা কোনো পারিশ্রমিক নিইনি, তবে ছবির লভ্যাংশে ভাগ ছিল। দারুণ এক চুক্তি।’
‘টুইনস’ সিনেমার পোস্টারে আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ট ইনস
এছাড়াও পড়ুন:
আন্তজার্তিক পরিমন্ডলে আলোকিত মুখ নারায়ণগঞ্জের আলিয়ার হোসেন
আন্তজার্তিক পরিমন্ডলে এক আলোকিত মুখ নারায়ণগঞ্জের কৃতি সন্তান অধ্যাপক আলিয়ার হোসেন। লন্ডনের নর্থামব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, নেতৃত্ব ও ক‚টনৈতিক প্রশিক্ষক, সরকারি নীতি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বিশেষজ্ঞ আলিয়ার হোসেন উচ্চ শিক্ষায় অনেকগুলো ডিগ্রী অর্জন করেছেন। আন্তজার্তিক বক্তা আলিয়ার হোসেন সংকট ব্যবস্থাপনা, কোচিং, টেকসই উন্নয়ন কৌশল, ক‚টনৈতিক এবং নির্বাহী নেতৃত্ব প্রশিক্ষণে দক্ষ একজন মানুষ।
যুক্তরাজ্য, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়া উভয় ক্ষেত্রেই বেসরকারি, সরকারি এবং উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন স্তরে পরামর্শ, শিক্ষকতা এবং নির্বাহী প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। তিনি শিল্প ও নাগরিক সম্পৃক্ততার জন্য গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের পাশাপাশি লন্ডন ক্যাম্পাসে নিয়োগকর্তা নিয়োগ বোর্ডের উপদেষ্টা বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি যুক্তরাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরেট (পিএইচডি এবং ডিবিএ) তত্ত¡াবধায়ক এবং পরীক্ষকও।
আলিয়ার হোসেন স্পার্কের সহ-সভাপতি এবং যুক্তরাজ্যের স্কুল অফ লিডারশিপের আহŸায়ক। প্রায়শই তিনি বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতীয় সংলাপ, বিতর্ক, টিভি টক শো, একাডেমিক এবং মূলধারার রাজনৈতিক আলোচনায় ভার্চুয়ালি এবং ব্যক্তিগতভাবে অংশগ্রহণ করেন।
তিনি পরিবর্তন ব্যবস্থাপনা, এসডিজি’স কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা, মন্ত্রী পর্যায়ের এবং ক‚টনৈতিক প্রশিক্ষণ, নেতৃত্ব উন্নয়ন, কর্পোরেট সংস্কৃতি, শাসন এবং কৌশলগত নীতির জন্য মূল বক্তা এবং অধিবেশন মডারেটর হিসাবে অসংখ্য যুক্তরাজ্য, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও ব্যবসায়িক সংস্থা পরিদর্শন করেন।
তিনি যুক্তরাজ্য এবং বিদেশে এসএমই, পারিবারিক ব্যবসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অলাভজনক সংস্থা, দাতব্য সংস্থা ও সরকারি সংস্থা থেকে শুরু করে শত শত নির্বাহী এবং ব্যক্তিদের সাথে কাজ করেছেন।
তিনি সুশাসন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, বিশ্ব নাগরিকত্বের ধারণা, নীতিগতভাবে ব্যবসা করার গুরুত্ব এবং বিশ্ব গ্রামে টেকসই উন্নয়নের তাৎপর্য সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখতেও উৎসাহী। এই বিস্তৃত আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে আলিয়ার হোসেন দুটি সময়োপযোগী রচনা (সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট হ্যান্ডবুক-এ সাউথ এশিয়ান পারস্পেক্টিভ এবং ডেভেলপিং দ্য মিনিস্ট্রিয়াল মাইন্ডসেট-এ গেøাবাল ভিউ (গুগল সার্চে পাওয়া যায়) তৈরি করেছেন যা টেকসইতা এবং শাসনে কাজ করার জন্য আহবান করা অনেকের ত্রুটিগুলো তুলে ধরে। তিনি দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে বেশ কয়েকটি অলাভজনক প্রকল্পকে সমর্থন করেন যা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা, টেকসই ব্যবসায়াকি ধারণা এবং বিনামূল্যে চিকিৎসার সাথে জড়িত।
আলিয়ার হোসেন ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষাবিদ, চার্টার্ড ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের সদস্য, ইনস্টিটিউট অফ কনসাল্টিং-এর সদস্য এবং যুক্তরাজ্যের উচ্চ শিক্ষা একাডেমির সিনিয়র ফেলো। তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত রয়েল ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (চ্যাথাম হাউস) এর সাথে ৩৫ বছরের কম বয়সীদের গ্রæপে নিযুক্ত ছিলেন।
কেই এই আলিয়ার হোসেন?
আলিয়ার হোসেন নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট শিল্পপতি, ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক হাজী মোজাফ্ফর আলী কন্ট্রাক্টরের নাতি, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্ব আফজাল হোসেন ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আতাহার হোসেন সামসুর ভাতিজা এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সাবেক তিনবারের এমপি এডভোকেট আবুল কালামের ভাগ্নে। চাচা আতাহার হোসেন সামসুকে দেখে ১৯৯৬ সালে নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাশ করার পর বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত হন আলিয়ার হোসেন। এবং চাচা আতাহার হোসেন সামসুর বাসায় বিএনপির বৈঠকগুলোতে উপস্থিত থাকতেন তিনি। এরপর তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি কলেজে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে তিনি যুক্তরাজ্যে যান এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার জন্য নতুন যাত্রা শুরু করেন।
২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ ভিত্তিক ডান্ডি ফাউন্ডেশনে যুক্ত হন আলিয়ার হোসেন। এই ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য হচ্ছে ‘সামাজিক ন্যায়বিচার, সুশাসন, মানসম্মত শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা এবং টেকসইতা প্রতিষ্ঠা করা’। এছাড়া ফাউন্ডেশনের বাইরে গিয়ে টেকসই, স্মার্ট ও আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এখন কাজ করছেন তিনি।