ব্রাজিলের ৪টি ক্লাবই নকআউটে, আর্জেন্টিনার সব ক্লাবই গ্রুপপর্বে বি
Published: 26th, June 2025 GMT
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ-২০২৫ এ দক্ষিণ আমেরিকার দুই ফুটবল পরাশক্তি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্স যেন দুই মেরুতে দাঁড়িয়ে। যেখানে ব্রাজিলের চারটি ক্লাব— ফ্ল্যামেঙ্গো, পালমেইরাস, বোতাফোগো ও ফ্লুমিনেন্স; দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে। সেখানে আর্জেন্টিনার দুই ঐতিহ্যবাহী ক্লাব বোকা জুনিয়র্স ও রিভার প্লেট গ্রুপপর্বেই বিদায় নিয়েছে।
শেষ ষোলোতে পালমেইরাস ও বোতাফোগো মুখোমুখি হচ্ছে। ফলে অন্তত একটি ব্রাজিলিয়ান ক্লাব কোয়ার্টার ফাইনালে নিশ্চিত। অন্যদিকে ফ্ল্যামেঙ্গো খেলবে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে। আর ফ্লুমিনেন্স লড়বে ইন্টার মিলানের সঙ্গে।
চলুন ক্লাবগুলোর গ্রুপ পর্বের পারফরম্যান্সে চোখ বুলানো যাক—
আরো পড়ুন:
শেষ নয়, আল-নাসরে নতুন অধ্যায়ের শুরু রোনালদোর
কষ্টের জয়ে শেষ ষোলোতে ইন্টার, বরুসিয়াও নকআউট পর্বে
ব্রাজিলের চার ক্লাব: দুর্দান্ত ধারাবাহিকতা
১.
ফ্ল্যামেঙ্গো (গ্রুপ ডি):
ম্যাচ ১: ফ্ল্যামেঙ্গো ৩–১ চেলসি।
ম্যাচ ২: ফ্ল্যামেঙ্গো ২–০ এস্পেরঁস (তিউনিসিয়া)।
ম্যাচ ৩: ফ্ল্যামেঙ্গো ১–১ এলএএফসি।
পয়েন্ট টেবিল: ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।
দলের উল্লেখযোগ্য পারফরমার: জর্জিয়ান ডি আরাস্কায়েতা (২টি ম্যাচে ম্যাচসেরা)।
২. পালমেইরাস (গ্রুপ এ):
ম্যাচ ১: পালমেইরাস ০–০ পোর্তো।
ম্যাচ ২: পালমেইরাস ২–০ আল আহলি।
ম্যাচ ৩: পালমেইরাস ২–২ ইন্টার মায়ামি।
পয়েন্ট টেবিল: ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।
দলের উল্লেখযোগ্য পারফরমার: “মেসিনহো” নামে পরিচিত তরুণ এস্তেভাও উইলিয়ান (১টি ম্যাচে ম্যাচসেরা)।
৩. বোতাফোগো (গ্রুপ বি):
ম্যাচ ১: বোতাফোগো ২–১ সিয়াটল সাউন্ডার্স।
ম্যাচ ২: বোতাফোগো ১–০ পিএসজি।
ম্যাচ ৩: বোতাফোগো ০–১ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ
পয়েন্ট টেবিল: ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার-আপ।
দলের উল্লেখযোগ্য পারফরমার: ইগর জেসুস (২টি ম্যাচে ম্যাচসেরা)।
৪. ফ্লুমিনেন্স (গ্রুপ এফ):
ম্যাচ ১: ফ্লুমিনেন্স ১–১ বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
ম্যাচ ২: ফ্লুমিনেন্স ২–০ উলসান এইচডি।
ম্যাচ ৩: ফ্লুমিনেন্স ১–০ মামেলোডি সানডাউন্স।
পয়েন্ট টেবিল: ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।
দলের উল্লেখযোগ্য পারফরমার: জন আরিয়াস (ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ম্যাচসেরা)।
আর্জেন্টিনার দুই ক্লাব: হতাশাজনক বিদায়
১. রিভার প্লেট (গ্রুপ ই):
ম্যাচ ১: রিভার প্লেট ১–১ উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস।
ম্যাচ ২: রিভার প্লেট ০–২ মন্টেররে।
ম্যাচ ৩: রিভার প্লেট ০–২ ইন্টার মিলান।
পয়েন্ট টেবিল: ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে চতুর্থ।
২. বোকা জুনিয়র্স (গ্রুপ সি):
ম্যাচ ১: বোকা জুনিয়র্স ০–৩ বায়ার্ন মিউনিখ।
ম্যাচ ২: বোকা জুনিয়র্স ১–১ বেনফিকা।
ম্যাচ ৩: বোকা জুনিয়র্স ০–১ অকল্যান্ড সিটি।
পয়েন্ট টেবিল: ১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে তৃতীয়।
ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলো সম্মিলিতভাবে ১৪ গোল করেছে, খেয়েছে মাত্র ৪টি এবং কেউই হারেনি গ্রুপপর্বে। আর্জেন্টিনার ক্লাবগুলো মাত্র ২ গোল করেছে, খেয়েছে ৭টি এবং কেউ-ই জয় পায়নি। এই পারফরম্যান্স প্রমাণ করে, দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাব ফুটবলে ব্রাজিলের আধিপত্য এখনো অটুট এবং তারা ইউরোপীয় জায়ান্টদের জন্যও বড় হুমকি হয়ে উঠছে।
ক্লাব বিশ্বকাপে ভালো করার পেছনের কারণ:
ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলো তাদের মিড-সিজন ফর্ম ও উচ্চ তাপমাত্রায় খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছে। যেখানে ইউরোপীয় ও আর্জেন্টাইন ক্লাবগুলো ছিল অফ-সিজনে। এখন দেখার বিষয় নকআউটপর্বে তারা কেমন কী করে।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল প রফরম য ন স আর জ ন ট ন র ইন ট র
এছাড়াও পড়ুন:
মিরাজের জন্য নতুন অনুপ্রেরণা
মঞ্চ থেকে নামতে নামতেই মেহেদী হাসান মিরাজ প্রথম আলোর আলোকচিত্রী শামসুল হককে অনুরোধ জানালেন, ‘ভাই, ছবিগুলো কিন্তু পাঠিয়ে দেবেন…।’ চেয়ারে রেখে যাওয়া ফোনে ততক্ষণ কল চলে এসেছিল স্ত্রী রাবেয়া প্রীতির। সিটি গ্রুপ-প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারে বর্ষসেরা রানারআপ হওয়ার খবরটি তাঁকেই আগে জানালেন মিরাজ।
বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার মিরাজ পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে বললেন, ‘আগেও দুবার রানারআপ হয়েছি। চ্যাম্পিয়ন হওয়া হলো না! তবে খুব ভালো লাগছে। এখানে এলে সব সময়ই ভালো লাগে।’ তাহলে কি পরেরবার বর্ষসেরা হতে চাইবেন? প্রশ্ন শুনে মুচকি হাসি দিলেও কিছু বলেননি। মাঠে পারফরম্যান্স করেই হয়তো সেই দাবি জানিয়ে রাখবেন।
সতীর্থ তাসকিন আহমেদের সঙ্গেই অনুষ্ঠানের পুরো সময় বসেছিলেন মিরাজ। তাঁদের মধ্য থেকে আগে মিরাজকে মঞ্চ ডেকে নেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারে দুজন রানারআপ হন, একজন যে মিরাজ, তা জানা হয়ে গেছে ততক্ষণে। কিন্তু অন্যজন কে?
আরও পড়ুন১০ কোটি টাকায় বায়োমেকানিকস ল্যাব বানাবে বিসিবি১৩ ঘণ্টা আগেহাবিবুলের কাছ থেকে মিরাজই পান পরের নামটি ঘোষণার দায়িত্ব। একটু নাটকীয়তা করে তিনি ঘোষণা দিলেন, ‘আমার পাশেই বসা ছিল…। তাসকিন।’ সতীর্থ মঞ্চে আসার পর অনুভূতিটা শুরুতে জানাতে হলো মিরাজকেই। পুরস্কার পাবেন কি না, ওই দ্বিধা নিয়েই তিনি এসেছিলেন অনুষ্ঠানে। কাল রাতেও যখন পুনরায় নিমন্ত্রণ পান, তখনো নাকি বারবার জানতে চাইছিলেন পুরস্কার পাবেন কি না।
সংশয় শেষ হয়েছে গতকাল পুরস্কার পাওয়ার পর। তবে শুরুতে তিনি নিজেও নাকি মনে করতে পারছিলেন না কেন পেয়েছেন এই পুরস্কার, ‘২০২৪ সালে কী করেছি মনে নেই!’ একটু পরই অবশ্য গত বছরের কথা মনে পড়ে গেছে। এর মধ্যে একটি পারফরম্যান্সকে তো স্বীকৃতি দিয়েছেন ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা হিসেবেই, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছিলাম। এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা অর্জন।’
দুই বর্ষসেরা রানার আপ মিরাজ ও তাসকিন