১৭ বছর পর দুর্গাপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলন, নতুন কমিটি
Published: 29th, June 2025 GMT
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৭ বছর পর গতকাল শনিবার পৌরসভার কলেজ রোড এলাকার অডিটরিয়ামে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সন্ধ্যায় কমিটি ঘোষণা করা হয়।
উপজেলা কমিটির সভাপতি পদে জহিরুল আলম ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক পদে আবদুল আওয়াল নির্বাচিত হয়েছেন। আর পৌর বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন হারেজ গনি। দুটি কমিটিরই সভাপতি পদে যাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁরা আগের কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। আর সাধারণ সম্পাদকেরা আগের কমিটির সদস্যসচিব ছিলেন।
সম্মেলনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটি ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম। পরে জহিরুল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা হয়। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামাল। বিশেষ বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য রফিকুল ইসলাম হিলালী। পরে দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অধিবেশনে সবার মতামতের ভিত্তিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। আগামী তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে।
বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচার সরকারের কারণে আমরা দুর্গাপুরে সম্মেলন করতে পারিনি। তারা আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর মামলা-হামলা করে নানা অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। তাদের অত্যাচারে অসংখ্য মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে নেতা-কর্মীদের পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। আশা করি, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এই সম্মেলনের মাধ্যমে দল আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী হবে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিটিভিতে আবার শোনা যাবে, ‘আমরা নতুন, আমরা কুঁড়ি...’
প্রায় দুই দশকের দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ফিরছে নতুন কুঁড়ি। গত মঙ্গলবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব পেজে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। এই খবর শুনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই স্মৃতিকাতর হয়েছেন—কারও মনে পড়েছে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার স্মৃতি, কারও মনে ভেসে উঠেছে শৈশবের প্রিয় অনুষ্ঠানটির দৃশ্য। ফেসবুকে অনেকে ছবিও শেয়ার করেছেন।
১৯৬৬ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনে প্রথম প্রচারিত হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছিল কবি গোলাম মোস্তফার ‘কিশোর’ কবিতা থেকে। যার প্রথম ১৫ লাইন অনুষ্ঠানের সূচনাসংগীত হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সালে মোস্তফা মনোয়ারের প্রযোজনায় আবার শুরু হয় ‘নতুন কুঁড়ি’। সে সময় বিটিভির অন্যতম আলোচিত এই অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে শিশু-কিশোরদের স্বপ্নের মঞ্চ। নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসা তরুণেরা গান, নাচ, অভিনয়, আবৃত্তি, গল্পবলা, কৌতুকসহ বিভিন্ন শাখায় নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ পান। ২০০৫ সাল পর্যন্ত চলে এ অনুষ্ঠান। পরে নানা কারণে অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় বিটিভি। ২০২০ সালে অনুষ্ঠানটি আবার শুরু করার খবর শোনা গিয়েছিল। কিন্তু পরে বলা হয়, কোভিড মহামারির কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি।
তিন দশকে নতুন অনেক তারকার জন্ম দিয়েছে নতুন কুঁড়ি। অনেকে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, নাট্যাঙ্গন ও সংগীতজগতে নিজস্ব অবস্থান গড়ে তুলেছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন তারানা হালিম, রুমানা রশিদ ঈশিতা, তারিন জাহান, মেহের আফরোজ শাওন, নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ আরও অনেকে। এ তালিকায় আছেন সামিনা চৌধুরীসহ অনেক জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীও।