বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। ২০২২ সালের শেষ লগ্নে অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার ঘোষণা দেন। ৩৫ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে আকস্মিকভাবে বিরতি নেওয়ার ঘোষণায় চমকে যান তার ভক্তরা। এক বছর বিরতি নিয়ে ‘সিতারে জমিন পার’ সিনেমা দিয়ে অভিনয়ে ফিরেন আমির। অবশেষে সিনেমাটি নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে ফিরেছেন এই তারকা।

২০ জুন মুক্তি পেয়েছে ‘সিতারে জমিন পার’ সিনেমা। এটি পরিচালনা করেছেন আর.

এস. প্রসন্ন। চলতি বছরে বেশ কিছু বলিউড সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার তালিকায় ‘সিতারে জমিন পার’-এর অবস্থান ৬ষ্ঠ। মুক্তির পর চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। এনডিটিভি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ৩.৫ (৫) রেটিং দিয়েছে। চলুন জেনে নিই, বক্স অফিসে কতটা সাড়া ফেলেছে সিনেমাটি।

স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, মুক্তির প্রথম দিনে ‘সিতারে জমিন পার’ আয় করেছে ১০.৬ (নিট) কোটি রুপি, দ্বিতীয় দিনে আয় করেছে ২০ কোটি রুপি (নিট), তৃতীয় দিনে আয় করে ২৭ কোটি রুপি (নিট), চতুর্থ দিনে আয় করে ৮.৪ কোটি রুপি (নিট), পঞ্চম দিনে আয় করে ৮.৪ কোটি রুপি (নিট), ৬ষ্ঠ দিনে আয় করে ৭.১৫ কোটি রুপি (নিট), সপ্তম দিনে আয় করেছে ৬.৪৫ কোটি রুপি (নিট), অষ্টম দিনে আয় করেছে ৬.৬২ কোটি রুপি (নিট), নবম দিনে আয় করে ১৩.৬৩ কোটি রুপি (নিট)। ৯ দিনে বিশ্বব্যাপী সিনেমাটি আয় করেছে ১৫০ কোটি রুপি (গ্রস)। বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকার বেশি।

আরো পড়ুন:

ভয় দেখাবেন, রোমাঞ্চিতও করবেন সোনাক্ষী

‘কাঁটা লাগা গার্ল’ শেফালি মারা গেছেন, মৃত্যুর কারণ অস্পষ্ট

আমির খান পরিচালিত ও অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘তারে জমিন পার’। ২০০৭ সালে এ সিনেমার মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে তার অভিষেক ঘটে। মুক্তির পর সিনেমাটি বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেছিল। এ সিনেমার সিক্যুয়েল ‘সিতারে জমিন পার’।

সিনেমাটিতে আমির খা‌নের সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন জেনেলিয়া ডিসুজা। এতে ১০ জন নতুন মুখ র‌য়ে‌ছেন। তারা হলেন— আরৌশ দত্ত, গোপী কৃষ্ণ ভার্মা, সাম্বিত দেশাই, বেদান্ত শর্মা, আয়ুষ বানসালি, আশীষ পেন্ডসে, ঋষি সাহানি, ঋষভ জৈন, নমন মিশ্র ও সিমরান মঙ্গেশকর। অভিনয়ের পাশাপাশি সি‌নেমা‌টি প্রযোজনাও করছেন আমির খান। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯০ কোটি রুপি।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আম র খ ন আম র খ

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার পথে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

পাবনার ঈশ্বরদীতে বাস্তবায়নাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের প্রথম ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তুতির পথে রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধান ও সহায়ক ট্রান্সফর্মারগুলোর কমিশনিং সম্পন্ন করে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি যুক্ত হওয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ স্থাপনা হিসেবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হতে চলেছে। রূপপুর প্রকল্পে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রসাটম শনিবার বিকেলে এক প্রেস নোটের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

প্রকল্পের এতমস্ত্রয় এক্সপোর্টের বাংলাদেশ প্রকল্পের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলেক্সি ডেইরি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটি সংশ্লিষ্ট সব সমন্বিত প্রচেষ্টা ও নিষ্ঠার ফল। কঠিন লজিস্টিক্স ও জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সবাই চমৎকারভাবে কাজটি সম্পন্ন করেছে। ইউনিটির নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্যভাবে চালুর ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’। 

প্রেসনোটে বলা হয়েছে, প্রধান সেটআপ ট্রান্সফর্মারগুলোর কাজ হলো টার্বাইন জেনারেটরে উৎপাদিত ২৪ কেভি বিদ্যুৎকে ৪০০ কেভিতে রূপান্তর করা, যা জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য অপরিহার্য। প্রতিটি ট্রান্সফর্মারের ক্যাপাসিটি ১ হাজার ৫৯৯ মেগাওয়াট পর্যন্ত, যা প্রথম ইউনিটে উৎপাদিত ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চেয়েও বেশি। এর ফলে নিরবিচ্ছিন্ন ও প্রয়োজনে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা সম্ভব হবে। প্রতিটি ট্রান্সফর্মার ফেজের ওজন প্রায় ৪০০টন এবং এগুলোর সংযোগ সম্পন্ন করতে ব্যবহৃত হয়েছে ১৫০ কিলোমিটারের অধিক ক্যাবল। 

এছাড়াও ইউনিটটির অভ্যন্তরীণ সব সিস্টেমে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়ক ট্রান্সফর্মারগুলোর কমিশনিংও সম্পন্ন হয়েছে। দ্বৈত মোডে কাজ করতে সক্ষম এই ট্রান্সফর্মারগুলো জাতীয় গ্রিড এবং জেনারেটর উভয় উৎস থেকেই বিদ্যুৎ নিতে পারবে। ইতোপূর্বে অভ্যন্তরীণ সিস্টেমগুলোর জন্য ব্যবহৃত হতো স্ট্যান্ডবাই ট্রান্সফর্মার। 

রসাটম জানায়, অচিরেই রূপপুর প্রকল্পে ‘হট মিডিয়া টেস্ট’সহ বেশকিছু নিরাপত্তাজনিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। কোনো কোনো পরীক্ষার সময় বাষ্প নির্গমনের ফলে জনগনের কাছে অপ্রত্যাশিত শব্দ শোনা যাবে। তবে, এটি পরীক্ষারই অংশ এবং পূর্বপরিকল্পিত। স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য এতে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। পুরো প্রক্রিয়াটি নিরাপদ। রসাটম নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে, তাই সংস্থাটির মূল লক্ষ্য হলো সব নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিরাপত্তা চাহিদা পূরন ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিশ্চিত করা। 

রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দু’টি ৩ প্লাস প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ চুল্লি স্থাপিত হয়েছে। প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা রসাটমের প্রকৌশল বিভাগ মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জেনারেল কন্ট্রাকটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ