রাজধানীর কোতোয়ালি থানার শাওন হত্যা মামলায় মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন। 

এদিন তাকে সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে তোলা হয়। তখন মমতাজের মাথায় হেলমেট ও বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরানো ছিল। এ সময় তিনি মাস্কে মুখ ঢেকে রাখেন৷ কাঠগড়ায় তোলা হলে জামা-পায়জামা পরিহিত মমতাজের মাথায় বড় আকারের ওড়না দেখা যায়। গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় আবারও হাজতখানায় নেওয়া হয় মমতাজকে। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট রাজধানীর কোতয়ালী থানাধীন তাঁতীবাজার মোড়ে আন্দোলনে অংশ নেন শাওন মুফতি (২৩)। এদিন রাত সাড়ে ১১ টায় আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হলে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের মা মাকসুদা বেগম গত ২৮ মে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫৭ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। এ মামলায় মমতাজ ১৪ নম্বর আসামি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মমত জ

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় কৃষি ব্যাংকের লকার ভেঙে ১৬ লাখ টাকা লুট

খুলনার রূপসা উপজেলায় কৃষি ব্যাংকের একটি শাখা থেকে ১৬ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তরা প্রবেশ গেটের পাঁচটি তালা ও লকার ভেঙে এ অর্থ লুট করে। 

তবে, শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ব্যাংক বন্ধ থাকায় সেখানে নিজস্ব নিরাপত্তা প্রহরী ছিল না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে কৃষি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখার ম্যানেজার (ব্যবস্থাপক) কামরুল ইসলাম বলেন, “ভল্টে ১৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা ছিল, যা দুর্বৃত্তরা লুট করেছে।”

পুলিশ ও ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকটি পূর্ব রূপসা পেট্রোল পাম্প ও পূর্ব রূপসা বাসস্ট্যান্ড পুলিশ ফাঁড়ির কাছে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে যেকোনো সময়ে লুটের ঘটনা ঘটতে পারে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় নিরাপত্তা প্রহরী আবুল কাশেম ব্যাংকে গিয়ে দেখেন মেইন গেটের তালা ভাঙা। ভেতরে ঢুকে তিনি দেখেন মূল গেট ও লকারও ভাঙা অবস্থায় রয়েছে এবং সবকিছু এলোমেলো। তিনি বিষয়টি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার পুলিশের উপস্থিতিতে লেজার ও ক্যাশ মিলিয়ে দেখা যায় ১৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা নেই। লুটপাটের আগে দুর্বৃত্তরা প্রতিটি সিসিটিভি ক্যামেরার ওপর রুমাল দিয়ে ঢেকে দিয়েছিল।

নিরাপত্তা প্রহরী আবুল কাশেম জানান, তার স্ত্রী অসুস্থ থাকার কারণে তিনি শুক্রবার সারাদিন ব্যাংকে ছিলেন না। তবে দুপুর ২টার দিকে তিনি একবার ব্যাংকে গিয়ে দেখেছিলেন সবকিছু ঠিক আছে। তার অনুমান, বিকেলের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্যাংক বন্ধ হয়ে যায়। ওই দিন থেকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে যেকোনো সময়ে ব্যাংকে লুটের ঘটতে পারে। আমরা ব্যাংক থেকে এবং আশপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। সেগুলোর বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।”

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ