‘মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করলাম’
Published: 30th, June 2025 GMT
সংগঠনের কেউ যদি মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকেন তাহলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ।
তিনি বলেন, “যারা বিগত দিনে মাদক করবার করতেন, তারা এখনো এই কাজ করে চলেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ধরছে না। এই শহরে কোনো মাদক কারবার হলে তার দায়-দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে। মাদক কারবারিরা যতোই শক্তিশালী হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করলাম।”
সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের নিমতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কালীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পতিত স্বৈরাচার দোসরদের অব্যাহত ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ এবং মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান বিএনপির
কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির কাউন্সিল: ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান প্রার্থীর
সাইফুল ইসলাম ফিরোজ বলেন, “মাদক কারবারের সঙ্গে সম্পৃক্তদের ধরিয়ে দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সাহায্য করা হবে। কোনো মাদক কারবারি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির ঠাই কালীগঞ্জে হবে না। মাদক কারবারিরা কোনো দলের হতে পারে না।”
তিনি বলেন, “স্বৈরাচারের দোসরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করছে না। যদি আপানার দোসরদের ধরতে ব্যর্থ হন, তাহলে সাধারণ মানুষ তাদের ধরে আপনাদের কাছে তুলে দেবে।”
বিক্ষোভ সমাবেশের পর শহরের নিমতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম সাইদুল, ইলিয়াস রহমান মিঠু, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, জবেদ আলী, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহসহ অন্যরা।
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
শাটডাউনের বিপক্ষে জনজীবন
আওয়ামী লীগের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকায় জনজীবনে তেমন কোনো চাপ সৃষ্টি হয়নি।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, চানখারপুল, সচিবালয়, জিপিওসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ঘুরে দেখা গেছে- যান চলাচল স্বাভাবিক, মানুষের চলাচল স্বাভাবিক এবং বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডও অন্যান্য দিনের মতোই চলছে।
আরো পড়ুন:
ঢাবি শিক্ষক এরশাদের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি ছাত্র ফ্রন্টের
ঢাবিতে কৃত্রিম বুদ্ধমত্তা-বিষয়ক জাতীয় প্রতিযোগিতা
সকাল থেকেই বিভিন্ন সড়কে রিকশা ও অটোরিকশার আধিক্য যেমন লক্ষ্য করা গেছে, বাসের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীও দেখা গেছে। কোথাও যান সংকট হয়নি, বরং কিছু বাসে বাড়তি যাত্রীর চাপ ছিল।
গুলিস্তানে এক বেসরকারি অফিসকর্মী রিফাত হোসেন বলেন, “শাটডাউন বলে আজকে কিছুই বুঝলাম না। প্রতিদিন যেমন বের হই, আজও ঠিক তেমনই বের হয়েছি। রাস্তায় কোনো সমস্যা দেখিনি।”
চানখারপুলে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ মাহমুদা আক্তার বলেন, “শাটডাউনের নামে মানুষকে ভয় দেখানো ঠিক না। বাস কম হলেও চলাচল পুরোপুরি থেমে যায়নি। আমরা স্বাভাবিকভাবেই অফিসে যাচ্ছি।”
ঠিকানা পরিবহন শ্রমিক শহীদুল ইসলাম বলেন, “শাটডাউন ডেকেছে শুনেছি, কিন্তু রাস্তায় কোনো প্রভাব নেই। পুলিশের বাড়তি অবস্থানও দেখি নাই। গাড়ি চলছে, যাত্রীও আছে।”
সচিবালয়ের কাছে একজন সরকারি চাকরিজীবী হাসিবুল করিম বলেন, “শাটডাউনের মতো কর্মসূচি কখনোই জনস্বার্থের পক্ষে নয়। এতে ব্যবসার ক্ষতি হয়, মানুষের দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হয়। আজকে যানচলাচল প্রতিদিনের মতোই।”
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক
নিষিদ্ধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সতর্ক উপস্থিতি বিশেষভাবে দেখা যায়নি। নিয়মিত দায়িত্বপালন ছাড়া আলাদা কোনো প্রস্তুতি চোখে পড়েনি।
শাটডাউনের বিপক্ষে জনমতই শক্তিশালী
সরেজমিন চিত্র, সাধারণ মানুষের বক্তব্য এবং বিভিন্ন পরিবহন সংশ্লিষ্টদের প্রতিক্রিয়া থেকে স্পষ্ট- রাজধানীবাসী শাটডাউনের পক্ষে নয়। বরং জনজীবন স্বাভাবিক রাখার পক্ষেই তাদের মত।
রাজধানীর ৩৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জসিম উদ্দীন বলেন, ব্যস্ত সকাল, মানুষের স্বাভাবিক আনাগোনা এবং চলমান পরিবহন কার্যক্রম প্রমাণ করেছে- শাটডাউন ঢাকার জনজীবনে চাপ সৃষ্টি করতে পারেনি বরং জনগণ নিষেধাজ্ঞামূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত অবস্থানই দেখিয়েছে।
ঢাকা/আসাদ/ফিরোজ