রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, “রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে। এমনকি সামাজিক শান্তি বিঘ্নিত হয় এমন কার্যক্রমও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে।”

রবিবার (২৯ জুন) রাতে রাইজিংবিডি ডটকমের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের বিষয়ে জানতে চাইলে এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, “হল নির্মাণের মূল কাজ শেষ। এখন শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। আমাদের কিছু ফার্নিচার এসেছে, বাকীগুলো জুলাইয়ে আসবে। মূলত অফিস সেটআপ জুলাইয়ে এবং শিক্ষার্থীরা আগস্ট-সেপ্টেম্বর থেকে উঠতে পারবে।”

আরো পড়ুন:

গাছ কাটার প্রতিবাদে জাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচি

পাবিপ্রবিতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান

আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, “ইউজিসির নীতিমালা অনুসারে ৫০ শতাংশ সিট পাবে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। বাকি পঞ্চাশ শতাংশ সিট পাবে অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এ ক্ষেত্রে দূরত্ব ও মেধাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।”

তিনি আরো বলেন, “হলে মৌলিক সুবিধার মধ্যে বিদ্যুৎ ও ক্যান্টিন থাকবে। তবে জেনারেটর বা আইপিএস থাকবে কিনা তা পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জরুরি চিকিৎসাসেবা বা ফাস্ট এইডের ব্যবস্থা থাকবে কিনা এ বিষয়ে হল প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।”

হলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উপ-উপাচার্য বলেন, “হলে উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সম্পূর্ণ হল সিসিটিভির আওতাধীন থাকবে। পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে গার্ড ও আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। এখনো প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তবে জুলাইয়ে নিয়োগ দেওয়া হবে।”

প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৮ বছর পর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে আবাসিক ছাত্র হল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরুর সময় থেকেই শিক্ষার্থীরা অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন ভাড়া বাসা ও মেসে অবস্থান করছিলেন, যা তাঁদের নিরাপত্তা ও শিক্ষার পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছিল।

বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে ও শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থায়ী হল নির্মাণের জন্য ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) তৈরি করে ইউজিসিতে জমা দেয় এবং ইউজিসির নির্দেশনাক্রমে অস্থায়ী ভিত্তিতে হল নির্মাণ শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

প্রথম পর্যায়ে ১১০ জন শিক্ষার্থী হল সুবিধা পাবেন। প্রতিটি কক্ষে ২-৩ জন শিক্ষার্থী থাকতে পারবেন। তবে অস্থায়ী ভিত্তিতে নির্মিত হলের পরিধি কম থাকায় থাকছে না লাইব্রেরি বা পাঠকক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্বাবধানে ৩৫ আসনের একটি ছাত্রী হল পরিচালিত হলেও ছাত্রদের জন্য কোনো হল ছিল না।

২০১৮ সালে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে দুটি অনুষদের অধীনে তিনটি বিভাগে-স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ১১৩ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে পাঁচটি বিভাগে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১ হাজার।

ঢাকা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হল ন র ম ণ

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ