‘রাজনীতি মুক্ত থাকবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হল’
Published: 30th, June 2025 GMT
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, “রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকবে। এমনকি সামাজিক শান্তি বিঘ্নিত হয় এমন কার্যক্রমও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে।”
রবিবার (২৯ জুন) রাতে রাইজিংবিডি ডটকমের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের বিষয়ে জানতে চাইলে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “হল নির্মাণের মূল কাজ শেষ। এখন শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। আমাদের কিছু ফার্নিচার এসেছে, বাকীগুলো জুলাইয়ে আসবে। মূলত অফিস সেটআপ জুলাইয়ে এবং শিক্ষার্থীরা আগস্ট-সেপ্টেম্বর থেকে উঠতে পারবে।”
আরো পড়ুন:
গাছ কাটার প্রতিবাদে জাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচি
পাবিপ্রবিতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান
আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, “ইউজিসির নীতিমালা অনুসারে ৫০ শতাংশ সিট পাবে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। বাকি পঞ্চাশ শতাংশ সিট পাবে অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এ ক্ষেত্রে দূরত্ব ও মেধাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।”
তিনি আরো বলেন, “হলে মৌলিক সুবিধার মধ্যে বিদ্যুৎ ও ক্যান্টিন থাকবে। তবে জেনারেটর বা আইপিএস থাকবে কিনা তা পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জরুরি চিকিৎসাসেবা বা ফাস্ট এইডের ব্যবস্থা থাকবে কিনা এ বিষয়ে হল প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে।”
হলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উপ-উপাচার্য বলেন, “হলে উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সম্পূর্ণ হল সিসিটিভির আওতাধীন থাকবে। পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে গার্ড ও আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। এখনো প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তবে জুলাইয়ে নিয়োগ দেওয়া হবে।”
প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৮ বছর পর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের (রবি) শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে আবাসিক ছাত্র হল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরুর সময় থেকেই শিক্ষার্থীরা অস্থায়ীভাবে বিভিন্ন ভাড়া বাসা ও মেসে অবস্থান করছিলেন, যা তাঁদের নিরাপত্তা ও শিক্ষার পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছিল।
বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে ও শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থায়ী হল নির্মাণের জন্য ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) তৈরি করে ইউজিসিতে জমা দেয় এবং ইউজিসির নির্দেশনাক্রমে অস্থায়ী ভিত্তিতে হল নির্মাণ শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
প্রথম পর্যায়ে ১১০ জন শিক্ষার্থী হল সুবিধা পাবেন। প্রতিটি কক্ষে ২-৩ জন শিক্ষার্থী থাকতে পারবেন। তবে অস্থায়ী ভিত্তিতে নির্মিত হলের পরিধি কম থাকায় থাকছে না লাইব্রেরি বা পাঠকক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্বাবধানে ৩৫ আসনের একটি ছাত্রী হল পরিচালিত হলেও ছাত্রদের জন্য কোনো হল ছিল না।
২০১৮ সালে ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে দুটি অনুষদের অধীনে তিনটি বিভাগে-স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ১১৩ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে পাঁচটি বিভাগে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১ হাজার।
ঢাকা/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হল ন র ম ণ
এছাড়াও পড়ুন:
ভোট পর্যবেক্ষণ করতে ৩১৮ সংস্থার আবেদন
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে নিবন্ধনের জন্য ৩১৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ইসির জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তা মো. আশাদুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “ভোট পর্যবেক্ষণ করতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পর্যবেক্ষণ সংস্থা হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেতে ৩১৮টি সংস্থা আবেদন করেছে। নির্ধারিত সময়ের পর ১৩টি আবেদন এসেছে।”
আরো পড়ুন:
পুরো আসনের ফল বাতিল করতে পারবে ইসি, ফিরছে ‘না’ ভোট
হারল পাকিস্তান, র্যাংকিংয়ে অবনমন বাংলাদেশের!
গত ২৭ জুলাই পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন আবেদন আহ্বান করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইসি। এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী আবেদন জমা দেওয়ার জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল, যা গত রবিবার (১০ আগস্ট) শেষ হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই দেশীয় পর্যবেক্ষক নীতিমালা-২০২৫ জারি করা হয়। বাতিল করা হয় ২০২৩ সালের নীতিমালা। পাশাপাশি ওই সময়ের সংস্থাগুলোর নিবন্ধনও বাতিল হয়েছে।
জানা যায়, ২০০৮ সাল থেকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দিচ্ছে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। ২০১৮ সালে ১১৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেয় ইসি। ২০২৩ সালে ৯৬টি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া হয়।
প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য দেশীয় সংস্থাগুলোকে নিবন্ধন নেওয়ার জন্য আহ্বান জানায় নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে নিবন্ধন পেয়ে সংস্থাগুলো পরবর্তী পাঁচ বছর স্থানীয় নির্বাচনও পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
গত সংসদ নির্বাচনে দেশীয় বিভিন্ন সংস্থার ২০ হাজার ৭৭৩ জন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আবেদন করেন। ইসি কেন্দ্রীয়ভাবে ৪০টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ৫১৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৮৪টি পর্যবেক্ষণ সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জনকে ভোট পর্যবেক্ষণের অনুমোদন দিয়েছিল।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওআইসি ও কমনওয়েলথ থেকে ৩৮ জন, বিভিন্ন মিশনের ৬৪ জন এবং বাংলাদেশস্থ বিভিন্ন দূতাবাসে বা হাইকমিশনে কর্মরত বাংলাদেশি ৬১ জনসহ মোট ১৬৩ জন পর্যবেক্ষক ভোট পর্যবেক্ষণ করেন।
২০০৮ সাল থেকে ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক নিবন্ধন দিচ্ছে ইসি। সে সময় ১৩৮টি সংস্থা নিবন্ধন পেয়েছিল। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নতুন নীতিমালার আলোকে নিবন্ধন দেবে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
ঢাকা/হাসান/মাসুদ