মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তের পর ছেলের খোঁজে রুদ্ধশ্বাস ৪ ঘণ্টা
Published: 22nd, July 2025 GMT
আগের রাত থেকে আমার স্ত্রীর জ্বর। তাই পরদিন ছেলেকে (সায়ের মাহবুব) আমিই স্কুলে নামিয়ে দিয়ে এসেছি। দুপুরে আমার কাছে একটি ফোন আসে। জানতে পারি, মাইলস্টোন স্কুলের মধ্যে বিমানের কী যেন একটা ভেঙে পড়েছে। অফিসের কাজে আমি তখন বনানী। স্কুলের একজনকে ফোন করলাম, তিনি তখন বাইরে ছিলেন, সঠিক তথ্য দিতে পারলেন না। এরপর জানতে পারলাম, স্কুলের মধ্যে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। মাইলস্টোনের ঠিক সেই শাখায়, যে শাখার ইংরেজি ভার্সনে ক্লাস এইটে পড়ে সায়ের। দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা হয়ে গেলাম।
দিয়াবাড়ি মোড়ের কাছে গিয়ে দেখি অনেক মানুষ। মোটরসাইকেল নিয়েও যেতে পারছি না। একটা গলির মধ্যে ঢুকে মোটরসাইকেলটা সেখানে ফেলে রেখেই হেঁটে চলে এলাম স্কুলের কাছে। কিন্তু এত মানুষ! কিছুতেই ভেতরে যেতে পারছি না। অভিভাবকদেরও ভেতরে যেতে দিচ্ছে না। অভিভাবক পরিচয়ের বাইরেও আমার আরেকটা পরিচয় আছে, আমি একজন সাংবাদিক। নিজের পরিচয়পত্রটি দেখিয়ে সেনাবাহিনীর অনুমতি নিয়ে ভেতরে ঢুকলাম।
চারদিকে মানুষের ছোটাছুটি। ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি স্কুলের ছেলেরাও উদ্ধারকাজ করছে। দেখলাম, আমার ছেলের ক্লাসরুমের নিচেই বিমানটা বিধ্বস্ত হয়েছে। দোতলায় সায়েরের ক্লাসরুম কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন, আগুনের কুণ্ডলীও দেখা যাচ্ছে। তখনই ধরে নিলাম, আমার ছেলেও হয়তো নেই। উদ্ধারকারীরা একের পর এক মৃত, পোড়া শিক্ষার্থীদের বের করে আনছে আর আমি শুধু ভাবছি এই বুঝি আমার সায়েরকে দেখতে পাব। এ যে কী দীর্ঘ অপেক্ষা, একজন বাবাই শুধু সেটা উপলব্ধি করতে পারবেন। ছোট ছোট পোড়া শরীরগুলোকে প্যাকেটে করে আনা হচ্ছে, আর আমি ভাবছি এরা আমার একেকটা সায়ের। আমার চোখে পানি।
উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমান। গতকাল সোমবারের ছবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন
যমুনা ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ব্যাংকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. বেলাল হোসেন সর্বসম্মতিক্রমে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দেশের একজন সফল উদ্যোক্তা। খবর বিজ্ঞপ্তি
যমুনা ব্যাংকের ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, মো. বেলাল হোসেন ১৯৫৬ সালে নওগাঁ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ব্যবসা-বাণিজ্যের জগতে তাঁর পরিবারের দেশ-বিদেশে সুনাম আছে। পরিবারের মালিকানাধীন বৃহৎ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আছে নানা ধরনের ক্ষুদ্র ও বৃহৎ খাদ্যশস্য শিল্প। তিনি একজন বিশিষ্ট আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক। বর্তমানে তিনি বেলকন কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড, বিএইচ হাইটেক ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড, নাদিয়া ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড ও বিএইচ স্পেশালাইজড কোল্ডস্টোরেজ প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বেলাল হোসেন নওগাঁ, দিনাজপুর ও হিলি অঞ্চলের বিভিন্ন ক্রীড়া ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। ২০০৪ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে অতীশ দীপঙ্কর গবেষণা পরিষদের এডিজিপি ফেলো মেম্বারশিপ সম্মাননা লাভ করেন। ২০০৫ সালে এফএনএস বিজনেস অ্যাওয়ার্ডে সেরা কৃষিভিত্তিক শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে স্বীকৃতি পান।
বেলাল হোসেন নওগাঁ রাইস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, নওগাঁ এবং বাংলাদেশ অটো মেজর ও হাসকিং মিল মালিক সমিতি, ঢাকার কার্যনির্বাহী সদস্য।