কুলিক নদীতে মিললো বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপ
Published: 25th, July 2025 GMT
ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তবর্তী কুলিক নদীতে মিলেছে বিপন্ন প্রজাতির একটি কচ্ছপ। জেলেদের জালে ধরা পড়ে কচ্ছপটি। খাওয়ার উদ্দেশ্যে কচ্ছপটি কিনে নেন এক কৃষক। তবে তার কাছ থেকে কচ্ছপটি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাণি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত থাকায়, নিমাই চন্দ্র (৪৫) নামের সেই কৃষককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাণীশংকৈল উপজেলার সন্ধ্যারই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১ কেজি ওজনের কচ্ছপটি উদ্ধার করা হয়। সেইসাথে কচ্ছপ ক্রয়-বিক্রয়ের অভিযোগে নিমাই চন্দ্রকে আটক করা হয়। আটক নিমাই চন্দ্র উপজেলার সন্ধ্যারই এলাকায় মৃত গণেশ চন্দ্রের ছেলে।
পরবর্তীতে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাফিউল মাজলুবিন রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইনে আটক নিমাই চন্দ্র ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
উদ্ধার হওয়া কচ্ছপটি বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কচ্ছপটি খাওয়ার উদ্দেশ্যে এক জেলের কাছ থেকে কিনে বাড়িতে নিয়ে নিয়ে যান নিমাই চন্দ্র। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রশাসন তার কাছ থেকে কচ্ছপটি উদ্ধার করে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর জানান, উদ্ধারকৃত কচ্ছপটি সংরক্ষিত ও বিপন্ন প্রজাতির। কচ্ছপ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পরিবেশ ও বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইনের আওতায় এই ধরনের অপরাধে নিয়মিতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইউএনও শাফিউল মাজলুবিন রহমান জানান, বন্য প্রাণি সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ৩৯ ধারা অনুযায়ী নিমাই চন্দ্রকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। কচ্ছপ আটক ও ক্রয়-বিক্রয় দণ্ডনীয় অপরাধ। বাংলাদেশ বন্য প্রাণি আইনে বিপন্ন প্রাণির তালিকায় থাকা এ কচ্ছপগুলো ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ। জব্দকৃত কচ্ছপটি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে সেটিকে দিনাজপুরের রামসাগর জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়।
ঢাকা/হিমেল/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
কোন সালের জন্য পুরস্কার —ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
পুরস্কার মল্যমান কত —১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ —আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
দরকারি তথ্য—১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।
২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।
৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।
৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।
৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।
৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।
৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।
৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।
# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।