চার ইভেন্টের ২০ শুটার নিয়ে ১ জুলাই বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশনে শুরু হয়েছিল সাউথ এশিয়ান গেমসের (এসএ) প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। কিন্তু নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর ২১ জুলাই তা বন্ধ হয়ে গেছে।

ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির যুগ্ম সম্পাদক জি এম হায়দারের দাবি, হাতে টাকা নেই বলে বাধ্য হয়েই ক্যাম্প বন্ধ করতে হয়েছে। প্রথম আলোকে হায়দার বলেন, ‘ক্যাম্প বন্ধ করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। টাকা নেই, ক্যাম্পটা কীভাবে চালাব!’ আগের কমিটির রেখে যাওয়া শুটারদের রাইফেল-পিস্তলও বুঝে পাননি বলে জানিয়েছেন ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক, ‘আমার গুলির (রাইফেল-পিস্তল) লকার বন্ধ। আমার তো গুলি লাগবে। ওটা সিলগালা।’

আগের কমিটি সবকিছু বুঝিয়ে না দেওয়ায় চাইলেই লকার খুলতে পারছে না শুটিংয়ের বর্তমান কমিটি। হায়দার ব্যাখ্যা করলেন এর কারণও, ‘কতগুলো গুলি আছে, কাকে কাকে দেওয়া হয়েছে, অবশিষ্ট কী আছে.

..এগুলোর জবাব দিতে হবে না? আমরা অনেক চ্যালেঞ্জে আছি।’

আরও পড়ুনশুটিংয়ের কোচ কিন্তু অস্ত্র ছোঁয়া যাবে না২৪ মে ২০২১

এক বছরের বেশি সময় একপ্রকার শুয়েবসেই পার করেছেন দেশের শুটাররা। ছিল না নিয়মিত কোনো অনুশীলন বা টুর্নামেন্ট। গত মাসে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ক্যাম্প চালুর তাগিদ দিলে নড়েচড়ে বসে ফেডারেশন। কিন্তু ১৬ জুলাই শুটিংয়ে নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পর ২১ জুলাই ক্যাম্প বন্ধ করে দেওয়া হয়।

শুটিংয়ের যন্ত্রাংশ এভাবেই অব্যহৃত পড়ে আছে

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিসিএলে বিদেশি দল, এনসিএলে বিদেশি ক্রিকেটার

দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন আজকের নয়। জাতীয় ক্রিকেট লিগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ যে মানের হয়, যেভাবে আয়োজন হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে হরহামেশা। অতীতে সমালোচনার পর কিছুটা মান বেড়েছে। কিন্তু তারপরও ‘আপ টু মার্ক’ হয়নি।

বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে দিব‌্যি পারফর্ম করা ক্রিকেটাররা যখন জাতীয় দলে এসে ধুকতে থাকেন তখন তারতম‌্য প্রকটভাবে ফুটে উঠে। এজন‌্য ঘরোয়া ক্রিকেটের মান বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় ক্রিকেট লিগে বিদেশি ক্রিকেটারকে নিয়ে আসতে চায় বিসিবি। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে যুক্ত করতে চায় বিদেশি দল।

বিসিবির পরিচালক ও টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম‌্যান আকরাম খান রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

তিন সপ্তাহের জন্য আসছেন উড, মনোবিদ স্কট

সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার বেলায়েত হোসেন মারা গেছেন

বিসিএল শুরু থেকে ছিল ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক প্রতিযোগিতা। ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন, প্রাইম ব‌্যাংক সাউথ জোন, ইসলামী ব‌্যাংক ইষ্ট জোন ও বিসিবি নর্থ জোন নামে চারটি দল শুরুর কয়েক বছর বিসিএলে অংশ নিয়েছে। পেশাদারিত্বের ঘাটতি, পরিকল্পনার অভাব এবং বাণিজ‌্যিকভাবে লাভবান না হওয়ায় তিনটি ফ্রাঞ্চাইজি ধীরে ধীরে সরে যায়। পরবর্তীতে বিসিবি চারটি দলই নিজস্ব খরচে পরিচালনা করে বিসিএল চালু রাখে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বীতার অভাব বোঝা যায়।

এজন‌্য বিসিবি সামনের আসরে বিদেশ থেকে একটি দল নিয়ে আসতে চায়। শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। বিসিএল যেই সময়ে আয়োজন করতে চাচ্ছে সেই সময়ে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে ব‌্যস্ত থাকবেন। আফগানিস্তানকে চূড়ান্ত করার পথে হাঁটছে। বিসিবির পুরো খরচেই অতিথি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। বাকি তিনটি দল গঠন করবে বিসিবি।

আকরাম খান বলেছেন, ‘‘আমরা প্রথমবারের মতো বিসিএলে একটি বিদেশি দলকে পেতে যাচ্ছি। হয়তো তারা এ দল হিসেবে আসবে। নয়তো অন‌্য কোনো নামে। এক মাস এই টুর্নামেন্ট চলবে। ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’’

এদিকে জাতীয় ক্রিকেট লিগে বিদেশি ক্রিকেটার অন্তর্ভূক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে কোন প্রক্রিয়ায় তারা যুক্ত হবেন, কিভাবে আসবেন, পারিশ্রমিক কত হতে পারে সেসব নিয়ে এখনও কোনো উপায় খুঁজতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। তবে ভালোমানের বিদেশি খোঁজার প্রক্রিয়া চলছে।

তাদের পারিশ্রমিক চূড়ান্ত করা, পুরো আসরে অ‌্যাভেইলেভেল থাকবেন কিনা সেসব নিয়েও কাজ হচ্ছে। এজন‌্য আগেভাগে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান না আকরাম।

আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দুই স্তরে জাতীয় ক্রিকেট লিগের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। আট দলে একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার রাখার ইচ্ছা বিসিবির। অতীতে বিদেশি ক্রিকেটার জাতীয় ক্রিকেট লিগে অংশ নিয়েছে। ইমরান ফরহাদ, আমির ওয়াসিমরা খেলেছেন দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রথম শ্রেণির এই টুর্মামেন্টে।

মূলত প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি এবং মান বাড়াতে এই উদ‌্যোগ নিতে যাচ্ছে আয়োজকরা। যদিও একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর নিয়ম প্লেয়িং কন্ডিশনে সব সময়ই ছিল, ছিল সর্বশেষ মৌসুমেও। বিভাগীয় দলগুলো আগ্রহ না থাকায় বিসিবিও জোর দেয়নি। তবে এবার বিসিবি বিদেশি ক্রিকেটারকে যুক্ত করবে। পাশাপাশি তাদের পারিশ্রমিক ও সুযোগ সুবিধার বিষয়টিও দেখভাল করবে।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ