ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাশ্মীরের পুঞ্চ এলাকায় নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর গোলাগুলির খবর প্রচার করা হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, সীমান্তে গুলি ছুড়ে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।

তবে এ খবর অস্বীকার করে ভারতীয় সেনাবাহিনী গতকাল মঙ্গলবার বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছে, নিয়ন্ত্রণরেখায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এলওসির মাধ্যমে কাশ্মীরকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ভাগ করা হয়েছে।

এই বিবৃতির আগে হিন্দুস্তান টাইমস, পিটিআইসহ ভারতীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে কর্মকর্তাদের বরাতে বলা হয়, ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার কৃষ্ণাঘাটি সেক্টরে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জবাবে পাল্টা হামলা চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। উভয় পক্ষের মধ্যে অন্তত ১৫ মিনিট ধরে গোলাগুলি চলে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

পরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কয়েকটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুঞ্চ এলাকায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো যাচ্ছে যে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কোনো যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে জানতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স থেকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, কিন্তু তারা এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

গত এপ্রিলে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে ২৬ ভারতীয় পর্যটককে গুলি করে হত্যার ঘটনার জেরে মে মাসে দুই প্রতিবেশী দেশ সংঘাতে জড়িয়েছিল। চার দিন ধরে চলা সংঘাতে উভয় পক্ষেই বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের ডাকে উভয় পক্ষ একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।

আরও পড়ুনভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ষষ্ঠ দিনের মতো গোলাগুলি৩০ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনকীভাবে ভারত–পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণরেখা বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক সীমান্ত হয়ে উঠল১৯ মে ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মাসে এনবিআরের রাজস্ব ঘাটতি ৬৫৭৭ কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই–আগস্ট) শুল্ক–কর আদায়ে ঘাটতি হয়েছে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা। আন্দোলন থেমে যাওয়ার পরও রাজস্ব আদায়ে ভালো করতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

আজ রোববার গত জুলাই–আগস্টের শুল্ক–কর আদায়ের হালনাগাদ চিত্র প্রকাশ করেছে এনবিআর। সেখানে দেখা গেছে, গত জুলাই–আগস্টে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এ সময়ে আদায় হয়েছে ৫৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা এবং ঘাটতি ৬ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা।

গত মে ও জুনে এনবিআরের আন্দোলনের কারণে গত অর্থবছরের বড় আকারের রাজস্ব ঘাটতি হয়। শেষ দুই মাসে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব হয়নি। আন্দোলনের নানা কর্মসূচিতে রাজস্ব আদায় বিঘ্ন হয়। কিন্তু জুলাই–আগস্টেও রাজস্ব আদায়ে গতি আসেনি।

এনবিআরের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আন্দোলনের পর এনবিআরের কর্মকর্তাদের মধ্যে বরখাস্ত ও বদলি–আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাজস্ব আদায়ে মনোযোগ কম।

এনবিআরের হিসাবে, এ বছরের জুলাই–আগস্টে ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়। এই খাত থেকে আদায় হয়েছে ২২ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া কাস্টমস খাতে ১৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা এবং আয়করে ১৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা আদায় হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ