কিশোরগঞ্জে ডাকাতি চেষ্টার অভিযোগে ৫ জনকে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী। বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

এর আগে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের সাদুল্লাচর বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

গণপিটুনিতে আহতরা হলেন- সদর উপজেলার বৌলাই এলাকার হাবিবুর রহমান ছেলে সেলিম, করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া গ্রামের খালেক মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আবদুল, নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার দক্ষিণ সাধারচর গ্রামের দীন ইসলামের ছেলে আল-আমিন, নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার বালাপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আসলাম ও ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার বারোইগাতি গ্রামের করিম মিয়ার ছেলে আব্দুল জলিল।

আরো পড়ুন:

ডিআইজিসহ ৭৬ ওএসডি পুলিশ কর্মকর্তাকে নতুন দায়িত্ব

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা, বাবাসহ ৩ জনের ফাঁসি

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘গত রাতে ১০ থেকে ১২ জনের একদল ডাকাত ডাকাতির চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া দিলে কয়েকজন পালিয়ে পালিয়ে গেলেও পাঁচ জনকে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। পরে উত্তেজিত জনতা তাদের গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।’’

ঢাকা/রুমন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক ক শ রগঞ জ উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু থামছে না। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অপর দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসের প্রথম ছয় দিনে ডেঙ্গুতে ২৯ জনের মৃত্যু হলো।

আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গত বুধবার সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত ১ হাজার ৩৪ জন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ৩৭১ জন। দুই সিটির বাইরে ঢাকা বিভাগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১৮৮। ঢাকার বাইরে বরিশাল বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৩৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। সব মিলিয়ে এবার এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে ৭৬ হাজার ২৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৮৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত মাসে মারা গেছেন ৮০ জন, যা চলতি বছর এখন পর্যন্ত কোনো এক মাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু। গত মাসে ডেঙ্গু নিয়ে সর্বোচ্চ ২২ হাজার ৫২০ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুতে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১৫ হাজার ৮৬৬ জন।

চলতি বছরের জুনে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। ওই সময় অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বড় আকারের হতে পারে। কিন্তু সরকার ডেঙ্গু প্রকোপ কমাতে তেমন কোনো জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। গত জুলাই মাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা জুনের দ্বিগুণ হয়ে যায়। আগস্টে মৃত্যু ও সংক্রমণ সামান্য কমে। কিন্তু সেপ্টেম্বরে তা আবার বেড়ে যায়। সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৫ হাজার ৮৬৬ জন। অক্টোবরে প্রায় সাত হাজার রোগী বেড়েছে।

২০০০ সালে ঢাকায় বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ওই বছর ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে মারা যান ৯৩ জন। ঘটনাটি সাধারণ মানুষের কাছে নতুন ছিল। ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত ও মারা যান ২০২৩ সালে। সে বছর আক্রান্ত হয়েছিলেন তিন লাখের বেশি মানুষ। মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ