রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সদরের একটি দোকান থেকে ২০০ ঘুঘু পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাম্মী আক্তারের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালানো হয়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আজাদ আলী বিভিন্ন শিকারির কাছ থেকে ঘুঘু পাখি কিনে বিক্রি করতেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল বাঘা উপজেলা সদরের ওই দোকানে অভিযান চালানো হয়। সেখানে ৯টি খাঁচায় ২০০টি ঘুঘু পাখি ছিল। খবর পেয়ে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আজাদ আলী দোকান থেকে পালিয়ে যান। তাঁর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক মামলা করা যায়নি। পাখিগুলো জব্দ করে জনসমক্ষে অবমুক্ত করা হয়।

ইউএনও শাম্মী আক্তার বলেন, বন্য প্রাণী বিক্রির মতো অপরাধের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। অভিযানে আরও দুই দোকানিকে বিভিন্ন অপরাধে জরিমানা করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের আগে লটারির মাধ্যমে এসপি-ওসির পদায়ন হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পুলিশ সুপার (এসপি) ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) লটারির মাধ্যমে পদায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে লটারির মাধ্যমে এসপি ও ওসির পদায়ন করা হবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন যদি কাউকে বদলি ও পদায়নের প্রয়োজন মনে করে, তারা সেটা করবে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মপরিকল্পনাবিষয়ক এক বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ডিসি ও ইউএনও যেহেতু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন, সেখানে লটারির মাধ্যমে পদায়ন হবে কি না, তারা সিদ্ধান্ত নেবে। আশা করছি, তারাও লটারি মাধ্যমে পদায়ন করবে।

তিনি বলেন, আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এসপি ও ওসি পদায়ন হবে লটারির মাধ্যমে। তবে ওসির সংখ্যা যেহেতু বেশি, তাই একটি বিভাগ ধরে ধরে লটারির মাধ্যমে পদায়ন করা হবে। এবারের নির্বাচনে ৪৭ হাজার কেন্দ্রে একটি করে বডি ক্যামেরা থাকবে। ওই কেন্দ্রে পুলিশের জ্যেষ্ঠ সদস্যের কাছে বডি ক্যামেরা থাকবে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এবারের নির্বাচনে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আট লাখ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। যাঁরা নির্বাচনে দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের প্রত্যেককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যিনি যে বাহিনীর, যার যার এলাকা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

নির্বাচনে পুলিশের পক্ষপাত ঠেকাতে সরকার কী করবে—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমের সহযোগিতা নেওয়া হবে। আশা করা হচ্ছে, এবার নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এসিল্যান্ড-ইউএনও-ডিসি অফিস, কোথাও মিলে না তথ্য
  • নিকলী হাওর থেকে ইংলিশ চ্যানেল জয়, সাঁতারু নাজমুলের সাহসী গল্প
  • নির্বাচনের আগে লটারির মাধ্যমে এসপি-ওসির পদায়ন হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • এনসিপির প্রোগ্রামে বাধা দেওয়ায় কথা কাটাকাটি, জিডি করলেন এসিল্যান্ড