রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সদরের একটি দোকান থেকে ২০০ ঘুঘু পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাম্মী আক্তারের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালানো হয়।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আজাদ আলী বিভিন্ন শিকারির কাছ থেকে ঘুঘু পাখি কিনে বিক্রি করতেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল বাঘা উপজেলা সদরের ওই দোকানে অভিযান চালানো হয়। সেখানে ৯টি খাঁচায় ২০০টি ঘুঘু পাখি ছিল। খবর পেয়ে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আজাদ আলী দোকান থেকে পালিয়ে যান। তাঁর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক মামলা করা যায়নি। পাখিগুলো জব্দ করে জনসমক্ষে অবমুক্ত করা হয়।

ইউএনও শাম্মী আক্তার বলেন, বন্য প্রাণী বিক্রির মতো অপরাধের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। অভিযানে আরও দুই দোকানিকে বিভিন্ন অপরাধে জরিমানা করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে ১১ বসতঘর ভেসে গেছে

টানা কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ১১ বসতভিটা পানির স্রোতে ভেসে গেছে। ওই পরিবারগুলো স্থানীয় বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদুল হক মনির জানান, বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে মহারশি নদীর ব্রিজ সংলগ্ন খৈলকুড়া এলাকায় নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। এতে কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যায়। একইসঙ্গে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর বাজারে পানি প্রবেশ করে। স্রোতে অন্তত ১১টি বসতভিটা ভেসে গেছে। 

ঝিনাইগাতী উপজেলার কৃষি অফিস জানিয়েছে, বাঁধ ভেঙে আকস্মিক বন্যায় ৫০টিরও বেশি মাছের ঘের ভেসে গেছে। ৩৪৫ হেক্টর জমির আমন ধান ও ১০ হেক্টর সবজি ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে।

ঝিনাইগাতী বণিক সমিতির সভাপতি মোখলেছুর রহমান খান বলেন, ‘‘হঠাৎ করে নেমে আসা বন্যায় অনেক দোকানে পানি ঢুকে মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।’’ এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে মহারশি নদীর পাশে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, বাজার এলাকায় টেকসই ড্রেন নির্মাণের জোর দাবি জানান তিনি।

ইউপি সদস্য জাহিদুল হক মনির বলেন, ‘‘২০২২ সালের ঢলের পানিতে ব্রিজপাড়ের এই বাঁধ ভেঙে গেলেও সংস্কার হয়নি। তাই এ বছর একই জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা বারবার বলেছি কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যবস্থা নেয়নি।’’ 

শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আখিনুজ্জামান বলেন, ‘‘মহারশি নদীর স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘‘বৃষ্টি না থাকায় নদীর পানি কমে এসেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারিভাবে সহায়তা করা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।’’

এদিকে, ঝিনাইগাতী উপজেলায় মহারশি নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে আসা গাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ ইসমাইল হোসেনের (১৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ওই কিশোরের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের হাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছেন ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল। 
 

ঢাকা/তারিকুল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাথর লুট ঠেকাতে ধলাই সেতুর নিচে নৌকা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
  • মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে ১১ বসতঘর ভেসে গেছে
  • কুমিল্লায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪ মাজারে হামলা-অগ্নিসংযোগ
  • ঝিনাইদহে গাজী-কালু চম্পাবতী মাজারের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ