সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের আয়োজিত ‘জুলাই স্মৃতি ফুটসাল টুর্নামেন্ট’–এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কলেজের ১১ শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১৫-১৬ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরের বালুচর নয়াবাজার এলাকার কিংস ফুটসাল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আহত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে টুর্নামেন্ট চলাকালীন মাঠে হামলা চালান। তাঁদের দাবি, স্থানীয় ছাত্রলীগকর্মী মামুনের নেতৃত্বেই পরিকল্পিত এ হামলা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে একজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটক ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের কাছে স্বীকার করেছেন, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের নির্দেশেই তিনি হামলায় অংশ নিয়েছিলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা রাতেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তাঁরা স্লোগান দেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করে, যা শুরু হয় গত মঙ্গলবার থেকে। বালুচরের একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন মাঠে খেলা চলাকালে গতকাল সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়। আহতদের মধ্যে ১১ শিক্ষার্থী ও একজন স্থানীয় বাসিন্দা সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। খেলার মাঠ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগ জড়িত থাকার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এটিইও পরীক্ষায় অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়মের প্রতিবাদে পরীক্ষা বাতিল এবং পুনঃপরীক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে বিভাগীয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

মো. রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (বিএসএস সূত্রে) জানা যায় যে “উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে ১৯০% কমন সাজেশন” দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে মতিউর রহমান নামের একজনকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি গ্রেপ্তার করে।’ সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি জাহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যকেও শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবু ১২ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে Zahid Khan (All Exam Helper) নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে পরীক্ষার আগের রাত ২টা ৬ মিনিটে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়, যা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ এক অভিযানে স্বাধীন মিয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে।'

সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়মের প্রতিবাদে পরীক্ষা বাতিল এবং পুনঃপরীক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামালপুরে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর, আটক ১
  • এটিইও পরীক্ষায় অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন
  • টেকনাফে গভীর রাতে পান দোকানিকে গলা কেটে হত্যা, একজন আটক