গাজীপুরের জয়দেবপুরে রাজশাহী থেকে আসা পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। শনিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার আবুল হোসেন খান বলেন, শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি জয়দেবপুর জংশনে প্রবেশ করার সময় পয়েন্ট ভুল করে। এতে ব্রডগেজ লাইন থেকে মিটারগেজ লাইনে ঢুকে পড়ে। এতে বগি লাইনচ্যুত হয়। এর পর থেকে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

আবুল হোসেন খান জানান, লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকারী ট্রেন আনতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ট্রেনের ৩-৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে জানিয়েছেন জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নাদির উজ-জামান।

রেলওয়ের কর্মীরা জানান, ট্রেনটির জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনে থামার কথা ছিল, এ কারণে গতি কম ছিল। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইনচ য ত

এছাড়াও পড়ুন:

উত্তরবঙ্গের মহাসড়ক বন্ধের হুঁশিয়ারি রবি শিক্ষার্থীদের

আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিপি অনুমোদনের বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া না পেলে ঢাকার সঙ্গে উত্তরববঙ্গের সব যান যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১২টায় উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হাটিকুমরুল গোল চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান বলেন, “দীর্ঘ ৮ বছর ধরে ভাড়া ভবনে দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। সাত দফায় ডিপিপি সংশোধন করে ৯ হাজার ২৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয় কমিয়ে ৫৯৯ কোটি ৫০ লাখ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। এরপরও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পটি একনেক সভার এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। বিশ্বকবির নামে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আমরা বারবার আন্দোলন করার পরও শুধু আশ্বস্তই করা হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

জাবিতে বামপন্থিদের মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুয়োধ্বনি

সিলেটে জুলাই স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১৪

তিনি আরো বলেন, “সরকার আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্যাম্পাসের ডিপিপি অনুমোদনে আশ্বস্ত না করলে আগামী রবিবার থেকে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য হব। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা মহাসড়ক ছাড়ব না।”

মানবনন্ধনে জাকারিয়া, হৃদয় সরকার, মেরাজ, হাসান প্রমুখ শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।

এর আগে, সকাল থেকেই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আধবেলা প্রশাসনিক কর্মবিরতি দিয়ে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।

প্রতিষ্ঠার ৯ বছরেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করা হয়নি। ৭ দফায় ডিপিপি সংশোধন করেও প্রকল্প প্রস্তাবনা দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত সেটির অনুমোদন না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে তাদের দাবি, হতাশা ও ক্ষোভের কথা জানিয়ে আসছেন।

দাবি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ২৬ জুলাই থেকে আবারও আন্দোলন শুরু হয়েছে। সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন, প্রতিবাদ ও গণসংযোগসহ নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের এ কর্মসূচির সঙ্গে স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা একাত্মতা প্রকাশ করে ক্যাম্পাসের দাবিতে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঢাকা/রাসেল/হাবিবুর/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজীপুরে লাইনচ্যুত ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগি উদ্ধার
  • গাজীপুরে ট্রেন লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ বন্ধ
  • উত্তরবঙ্গের মহাসড়ক বন্ধের হুঁশিয়ারি রবি শিক্ষার্থীদের