গত মাসে বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দল প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এবার ছোটরাও সেই অপেক্ষায়।
আজ বেলা তিনটায় এএফসি অনূর্ধ্ব–২০ নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে র্যাঙ্কিংয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। জাতীয় দল পর্যায়ে দুই দেশের র্যাঙ্কিংয়ের পার্থক্য ৮৩, আজ অনূর্ধ্ব–২০ দলের ম্যাচে বাংলাদেশ ড্র করতে পারলেই আফঈদা–সাগরিকারা গড়বেন আরেক ইতিহাস। প্রথমবারের অনূর্ধ্ব–২০ এশিয়ান কাপে জায়গা করে নেবে বাংলাদেশ।
এশিয়ার ৩৩টি দল নিয়ে বাছাইপর্ব চলছে আটটি গ্রুপে ভাগ হয়ে। প্রতি গ্রুপের সেরা দল আর সেরা তিন রানার্সআপ জায়গা করে নেবে আগামী বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া মূল আসরে।
‘এইচ’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশ প্রথম দুই ম্যাচে লাওস ও পূর্ব তিমুরকে হারিয়ে ৬ পয়েন্ট পেয়েছে। একই দলগুলোকে হারিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার পয়েন্টও ৬। এমনকি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার গোল পার্থক্যও +১০। তবে বাংলাদেশ করেছে ১১ গোল, দক্ষিণ কোরিয়া ১০টি। এক গোল বেশি করায় দক্ষিণ কোরিয়াকে টপকে বাংলাদেশ এখন টেবিলের শীর্ষে।
দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট অর্জন করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–২০.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করলো এনআরবিসি ব্যাংক
টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক ও পরিবেশবান্ধব অর্থায়নকে গুরুত্ব দিয়ে প্রথমবারের মতো ‘সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট-২০২৪’ প্রকাশ করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রণীত প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়নে সবুজ আগামী’।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদনের মোড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান। এসময় ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও হারুনুর রশীদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খানসহ সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ড. তৌহিদুল আলম খান বলেন, “জিআরআই গাইডলাইন্স অনুসরণ করে সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ এনআরবিসি ব্যাংকের আর্থিক স্থিতি, পরিবেশগত দায়িত্ববদ্ধতা এবং সামাজিক ন্যায়ের প্রতি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”
তিনি আরো বলেন, “ভবিষ্যতে গ্রিন ব্যাংকিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত, সামাজিক কল্যাণে অতিক্ষুদ্র খাত এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সহযোগিতা ও অর্থায়ন বাড়ানো হবে।”
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এনআরবিসি ব্যাংক পরিবেশ, সামাজিক উন্নয়ন ও সুশাসনকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০২৪ সালে ব্যাংকটি গ্রিন ও সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সিং খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি-দক্ষ প্রযুক্তি, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সবুজ স্থাপনা এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষি উদ্যোগে অর্থায়নের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক কৃষক ও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখছে।
রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, টেকসই ব্যাংকিং মানেই শক্তিশালী ও ভালো ব্যাংকিং। এনআরবিসি ব্যাংকের এই পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সুফল গ্রাহক, ঋণগ্রহীতা ও শেয়ারহোল্ডাররা পাবেন। স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিং সেবার কারণে সবুজ অর্থায়ন প্রকল্পগুলো গুরুত্ব পাবে, এতে উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমবে এবং মুনাফা বাড়বে। আমানতকারী এবং শেয়ারহোল্ডাররা নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন যে, তাদের জমানো অর্থ ও বিনিয়োগ পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে না।
ঢাকা/ইভা