উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমের সমর্থন শেষ হওয়ার সময় ঘনিয়ে আসছে। ১৪ অক্টোবরের পর এই অপারেটিং সিস্টেমের জন্য আর কোনো সফটওয়্যার হালনাগাদ করবে না মাইক্রোসফট। তাই ব্যবহারকারীদের দ্রুত উইন্ডোজ ১১-তে হালনাগাদ করার পরামর্শও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বাসিন্দা লরেন্স ক্লেইন।

লরেন্স ক্লেইনের অভিযোগ, উইন্ডোজ ১০–এর সমর্থন বন্ধের পরিকল্পনা আসলে ভোক্তাদের নতুন যন্ত্রাংশ কিনতে বাধ্য করার পাশাপাশি এআই খাতে মাইক্রোসফটের প্রভাব আরও শক্তিশালী করার কৌশল। আর তাই উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে চলা যন্ত্রাংশের সংখ্যা গ্রহণযোগ্য মাত্রায় না কমা পর্যন্ত বিনা মূল্যে সমর্থনসুবিধা চালু রাখতে হবে মাইক্রোসফটকে।

লরেন্স ক্লেইনের মালিকানায় থাকা দুটি ল্যাপটপ বর্তমানে উইন্ডোজ ১০–এ চলছে, তবে সেগুলো উইন্ডোজ ১১–তে হালনাগাদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত শর্ত পূরণ করে না। ফলে উইন্ডোজ ১০-এর সহায়তা সমর্থন বন্ধ হয়ে গেলে ল্যাপটপগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়বে। লরেন্স ক্লেইনের অভিযোগ, মাইক্রোসফট পরিকল্পিতভাবে ব্যবহারকারীদের উইন্ডোজ ১১ সমর্থিত নতুন কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কিনতে বাধ্য করছে।

আরও পড়ুনউইন্ডোজ ১০-এর সহায়তা সমর্থন শেষ হচ্ছে অক্টোবরে, তবে বিকল্পও আছে০৫ আগস্ট ২০২৫

মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, উইন্ডোজ ১০–এর সহায়তা সমর্থন বন্ধ হলে অনেক ব্যবহারকারীই নতুন যন্ত্রাংশ কিনবেন না বা বাড়তি অর্থ দিয়ে সমর্থনসুবিধা ব্যবহার করবেন না। উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও রয়েছে, যাদের কাছে সংবেদনশীল গ্রাহক তথ্য রয়েছে। সমর্থন বন্ধ হয়ে গেলে এসব যন্ত্র সাইবার হামলা বা তথ্য ফাঁসের ঝুঁকিতে পড়বে, যা মাইক্রোসফট ভালোভাবেই জানে। আর তাই যত দিন পর্যন্ত উইন্ডোজ ১০–চালিত যন্ত্রাংশের সংখ্যা যুক্তিসংগত পর্যায়ে কমে না যায়, তত দিন বিনা মূল্যে সমর্থনসুবিধা চালু রাখতে হবে। পাশাপাশি মামলার সব খরচ মাইক্রোসফটকে বহন করতে হবে।

সূত্র: গ্যাজেটস৩৬০

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি নবজন্ম লাভ করবে: প্রধান উপদেষ্টা

আগামী নির্বাচন ও গণভোটে শতভাগ সততা, নিরপেক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এবারের নির্বাচন গতানুগতিক কোনো নির্বাচন নয়; বরং এটি দেশ রক্ষার নির্বাচন।  এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি নবজন্ম লাভ করবে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সদ্য পদায়নকৃত ৫০ জেলা প্রশাসকসহ ৬৪ জেলার প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আরো পড়ুন:

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: প্রধান ‍উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল এবি পার্টি 

আগামী নির্বাচনকে শুধু পাঁচ বছরের সরকার গঠনের একটি নির্বাচন নয়; বরং গণভোট যুক্ত হওয়ায় এটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এটা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি নির্বাচন। জাতি বহু প্রহসনের নির্বাচন দেখেছে, সেই স্মৃতি ছাপিয়ে যেতে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।”

“এটা গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নির্বাচন; এই নির্বাচন গণঅভ্যুত্থানকে পূর্ণতা দেওয়ার নির্বাচন। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতির জন্য নির্ধারিত হবে শতাব্দীর গতিপথ,” বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

এই নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কোনোভাবেই ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি নবজন্ম লাভ করবে এবং জেলা প্রশাসকরা থাকবেন ধাত্রীর ভূমিকায়।”

জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আপনাদের যা যা জানা প্রয়োজন সব জেনে নেবেন। নির্বাচনকে একই সঙ্গে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ করতে হবে।”

তিনি বলেন, “মনে রাখতে হবে বিপুল সংখ্যক তরুণ ও নারী ভোটার রয়েছেন, যারা ভোট দেওয়ার উপযুক্ত হলেও গত ১৫ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি।”

তিনি আরো বলেন, “আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এরইমধ্যে আগামী নির্বাচনের বিষয়ে গভীর উৎসাহ দেখাচ্ছেন। তাঁরা দেখতে চান কেমন নির্বাচন হচ্ছে—এটা নিয়ে তাঁদের গভীর আগ্রহ।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই নির্বাচনকে স্বার্থক করা গণঅভ্যুত্থানের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি। এই নির্বাচন একটি বিরাট অভিযান, এ অভিযানে আমাদের জিততেই হবে।”

তিনি বলেন, “স্বাধীন জাতি হিসেবে টিকে থাকতে হলে এ লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে।”

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শেখ আব্দুর রশীদের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং আইন উপদেষ্টা প্রফেসর আসিফ নজরুল।

অনুষ্ঠানে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক এবং বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো: তৌফিকুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ