নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে জামায়াতপন্থীদের প্যানেল ঘোষণা
Published: 12th, August 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচন (২০২৫-২০২৬) সালের জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল মনোনীত পূর্ণ প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট ) এক সভায় এ প্যানেলের নাম প্রকাশ করা হয়।
জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত আইনজীবীদের ঘোষিত প্যানেলের প্রার্থীরা হলে সভাপতি পদে এড.
এর আগে ১২ সদস্যের একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন এড. আব্দুস সামাদ মোল্লা এবং সহ-সভাপতি হয়েছেন এড. শাহাদাত আলী ইমন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ আইনজ ব ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগ করার অধ্যাদেশের বৈধতা নিয়ে রিট খারিজ
এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি পৃথক বিভাগ প্রতিষ্ঠার জন্য জারি করা অধ্যাদেশটির বৈধতা নিয়ে রিট খারিজ হয়েছে। শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রিটটি উত্থাপিত হয়নি বিবেচনায় খারিজ করে দিয়েছেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ নামের নতুন দুটি বিভাগ প্রতিষ্ঠায় গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জুয়েল আজাদ গত ১৭ মে রিটটি করেন। আজ রিটটি শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় ৭৪ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী জুয়েল আজাদ নিজে শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান শুনানিতে অংশ নেন, সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী ও আখতার হোসেন মো. আব্দুল ওয়াহাব।
হাইকোর্টে রিটটি উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দিয়েছেন বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আব্দুল ওয়াহাব। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘অর্থাৎ রিটটি খারিজ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়—এটি সরকারের পলিসি সিদ্ধান্ত, এতে আদালতের হস্তক্ষেপ করা সমীচীন হবে না। ওই অধ্যাদেশ নিয়ে জনস্বার্থ আকারে আবেদনকারী রিট করলেও কেন তিনি সংক্ষুব্ধ তা দেখাতে পারেননি। রিট খারিজ হওয়ায় দুটি পৃথক বিভাগ প্রতিষ্ঠার জন্য জারি করা অধ্যাদেশ বলবৎ থাকবে।’
রিট আবেদনকারী আইনজীবী জুয়েল আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আদালত রুল না দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। তখন রিটটি উত্থাপন না করার কথা বলেন। আদালত রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন।’
‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’ শিরোনামের ওই অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, রাজস্ব নীতি বিভাগ কর আইন প্রয়োগ ও কর আদায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। রাজস্ব সংগ্রহের মূল কাজ করবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, সংবিধানের ২৬, ৩১ ও ২৯(১) অনুচ্ছেদের আলোকে ওই অধ্যাদেশটি কেন সাংঘর্ষিক এবং আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছিল। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় রাজস্ব ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি সংস্কার বিষয়ে অংশীজনদের (দলগত) প্রস্তাব প্রকাশ করতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল। রুল বিচারাধীন অবস্থায় ওই অধ্যাদেশের কার্যক্রমও স্থগিত চাওয়া হয়েছিল রিটে। আইনসচিব ও অর্থসচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছিল।