ঢাবিতে মব সৃষ্টির অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন
Published: 19th, August 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় মব সৃষ্টি করে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কমিশন।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাতে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
চবিতে ই-কার সেবা চালু
পোষ্য কোটা ঘিরে উত্তপ্ত রাবি
এর আগে, সোমবার সন্ধ্যায় ঢাবির মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, “ঢাবির শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের প্রাণের দাবি ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিবেশ ও নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অভাব স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান থাকা সত্ত্বেও গণতন্ত্র ও শিক্ষার্থীদের সেন্টিমেন্টকে ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষিত তফসিল অনুসারে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব নেতাকর্মীকে যথানিয়মে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের সাংগঠনিক নির্দেশনা দেই আমরা।”
তিনি বলেন, “সেই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাবি ছাত্রদলের সব নেতাকর্মী আজ দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী নিজ হল সংসদের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে ফরম সংগ্রহ করতে গেলে প্রশাসনের ভূমিকা পালন করা একদল শিক্ষার্থী একটি বিশৃঙ্খল মব সৃষ্টি করে তাদের ওপর হামলার চেষ্টা করে এবং মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করে।”
গণেশের অভিযোগ, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অনুরোধে সে সময় ওই হলের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা উপস্থিত হলেও তারা উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হন। এ সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ না করতে পেরে হল থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হন।
ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিষয়ক সব আইন ও নির্বাচন কমিশনের সুনির্দিষ্ট আচরণবিধি অনুসারে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন ঢাবি ছাত্রদল সভাপতি।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ছ ত রদল র
এছাড়াও পড়ুন:
চাকসু নির্বাচন: ১১৬২ মনোনয়নপত্র বিতরণ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শেষ হয়েছে।
এতে কেন্দ্রীয় সংসদে ৫২৮টি ও হল সংসদে ৬৩৪টিসহ মোট ১১৬২টি মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
রাকসু নির্বাচন নিয়ে ৭ দাবি ছাত্রশিবিরের
সাজিদ হত্যার বিচারসহ ১৫ দাবি ইবি সংস্কার আন্দোলনের
একইসঙ্গে বুধবার চাকসুতে ১২৫টি ও হল সংসদে ২৪৬টিসহ মোট ৩৭১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শেষদিনের মতো মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় তথ্যটি নিশ্চিত করেছে চাকসু নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. একেএম আরিফুল হক সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, “গতকাল মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মনোনয়নপত্র বিতরণের সর্বশেষ দিন থাকলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত মনোনয়ন বিতরণের সময় বাড়ানো হয়। একইসঙ্গে আজ ফরম জমা দেওয়ার সর্বশেষ সময় থাকলেও আগামীকাল (১৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদে মোট ১১৬২টি মনোনয়নপত্র বিতরণ হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “এত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। শিক্ষার্থীরা খুব সহনশীল পরিবেশ বজায় রেখেছে। এজন্য তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।”
গত রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) শুরু হয় মনোনয়নপত্র বিতরণ কার্যক্রম। চারদিনে ২৬ পদের বিপরীতে চাকসুতে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও স্বতন্ত্র পদে মনোনয়নপত্র নেন প্রার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মনোনয়নপত্র গ্রহণের শেষদিন ছিল। কিন্তু শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সাড়ে ১২টায় মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমাদানের সময়সীমা বৃদ্ধি করে নির্বাচন কমিশন।
বৃদ্ধি করা সময় অনুযায়ী, বুধবার শেষদিনের মতো মনোনয়নপত্র নেন প্রার্থীরা। আগামীকাল (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। সে হিসেবে বুধবার শেষদিনে কেন্দ্রীয় সংসদে ৩৯ জন ও হল সংসদে ৩৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র নেন।
এবারের হল সংসদ নির্বাচনে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেল সংসদে ২০৬টি পদের বিপরীতে শেষদিন পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৬৩৪টি ফরম।
আগামীকাল ১৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এরপর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীদের বিষয়ে আপত্তি ও নিষ্পত্তির শেষ তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হবে ২৫ সেপ্টেম্বর।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী