বোনের মৃত্যুশোক বয়ে বেড়ানো জুবিনও প্রাণ হারালেন দুর্ঘটনায়
Published: 19th, September 2025 GMT
সিঙ্গাপুরে এক স্কুবা ডাইভিং ‘দুর্ঘটনায়’ মারা গেছেন ভারতীয় গায়ক জুবিন গার্গ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, শুক্রবার দুর্ঘটনার পর সিঙ্গাপুর পুলিশ তাঁকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখলেও চিকিৎসকেরা তাঁকে আর বাঁচাতে পারেননি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫২ বছর।
জুবিন গার্গ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি-জামায়াতকে একজোট হয়ে নির্বাচনে আসার পরামর্শ এবি পার্টির চেয়ারম্যানের
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা দূর করতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীকে একজোট হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘মাত্র ৭ বছর আগে দলীয় স্বার্থে দুই দল একই মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছে। এখন জাতির বৃহত্তর স্বার্থে একজোট হয়ে এক মার্কায় নির্বাচন করলে সমস্যা কোথায়?’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এবি শ্রমিক পার্টির প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মজিবুর রহমান এ কথাগুলো বলেন। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শেখ জামাল উদ্দিন। সঞ্চালনায় ছিলেন শ্রমিকবিষয়ক সহসম্পাদক আজিজা সুলতানা। বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় শ্রমবিষয়ক সম্পাদক শাহ আব্দুর রহমান।
বক্তব্যে মজিবুর রহমান বলেন, ‘সবার মনে শঙ্কা, ফেব্রুয়ারিতে আদৌ নির্বাচন হবে কি না? জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্যের কাছাকাছি পৌঁছানো গেলেও রাজপথে কর্মসূচি নিয়ে আবার সংশয় দেখা দিয়েছে। আমি মনে করি, বিএনপি ও জামায়াত একজোট হলে নির্বাচন নিয়ে আর কোনো অনিশ্চয়তা থাকবে না।’
নতুন ভূমিষ্ঠ হওয়া রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরের মধ্যে বিতর্কে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় দেশের অগ্রগতি থমকে গেছে বলে মন্তব্য করেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় আমরাও হঠাৎ করে দ্রুত নির্বাচন ও ক্ষমতায় যাওয়ার সিদ্ধান্তে চলে যাই। এবি পার্টি মনে করে, আগে দেশকে গড়ে তোলা প্রয়োজন; তারপর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কেউ সেটি মনোযোগ দিয়ে বিবেচনা করছে না।’
গণহত্যার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে যারা দায়ী, তাদের বিচারের দাবি জানিয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘যারা এই জাতিকে নির্বাচন থেকে বঞ্চিত করেছে, যারা ক্ষমতায় থেকে দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণে ভূমিকা রেখেছে, তাদের প্রাসঙ্গিকভাবে বিচারের আওতায় আনা উচিত।’ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিজস্ব দলীয় স্লোগান আপাতত স্থগিত রেখে জনগণের স্লোগানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, যেমন আমরা জুলাইয়ে করেছিলাম। রাজনৈতিক দলগুলো যদি নাগরিকদের দক্ষ করে গড়ে তোলার দিকে কাজ করে, তাহলে শ্রমিকদের জন্য বিষয়ভিত্তিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সহজ হবে। শ্রমিকেরাই একটি দেশ বদলে দিতে পারে। তাই শ্রমিকদের দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে।’
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী অর্থ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, আব্দুল হালিম নান্নু, রমনা থানার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সী প্রমুখ।