সাধারণ পরিষদে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন মাহমুদ আব্বাস
Published: 19th, September 2025 GMT
চলতি বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আলোচনার প্রধান ইস্যু থাকবে গাজা। পরিষদের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সব নেতা এখানে আসেন এবং বক্তৃতা দেবেন। কিন্তু এবার অপ্রত্যাশিতভাবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ভিসা প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই সম্মেলনে এবার শারীরিকভাবে যোগ দিতে পারছেন না আব্বাস।
ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষ্য, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক। তাই প্রেসিডেন্ট আব্বাসকে ভিসা দেওয়া হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন হলেও তা মানতে নারাজ ওয়াশিংটন।
এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে আব্বাসকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হবে। তিনি সাধারণ পরিষদে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন।
আব্বাসকে বক্তব্য রাখার অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে সাধারণ পরিষদে ভোট হয়েছে। আব্বাসের বক্তব্যের পক্ষে ১৪৫টি দেশ, বিপক্ষে পাঁচটি এবং ভোটদানে বিরত ছিল ছয়টি দেশ।
আল-জাজিরা বলেছে, ফিলিস্তিন এবং গাজা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মতামতের একটি সংক্ষিপ্তসার দেখাচ্ছে, খুব কম দেশই ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নানা আয়োজনে দিনভর উৎসবের আমেজ
লম্বা পায়ে মাঠজুড়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে এক ব্যক্তি। মাথায় রঙিন পরচুলা। সাজসজ্জাও অদ্ভুত। বিশেষ কায়দায় বাঁশের এক জোড়া লম্বা লাঠির সাহায্যে ‘রণপা’ তৈরি করে হাঁটছিল ওই ব্যক্তি, যা গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের একটি অংশ। সেই রণপা সাজের ব্যক্তির কাছে শিশু-কিশোরদের অনেকে আগ্রহ নিয়ে যাচ্ছিল, কেউ আবার কাছে যেতে ভয় পাচ্ছিল। এর মধ্যেই পাশে দাঁড়িয়ে ছবি কিংবা সেলফি তোলা ও হাত মিলিয়ে করমর্দনও করছিল কেউ কেউ।
এ ছাড়া মাঠজুড়েই ছিল শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার নানা উপকরণ। মিনি ফুটবল খেলে গোল দেওয়া, লুডু খেলে পুরস্কার জেতা কিংবা বুদ্ধি খাটিয়ে ‘ফুট স্টেপ’ খেলা। এর বাইরে অনেক শিশু-কিশোর ছিল বাবুল্যান্ডে খেলাধুলায় কিংবা বায়োস্কোপ দেখায় মত্ত। অনেকে আবার টিয়া পাখির সাহায্যে নিজেদের ভবিষ্যৎও জেনে নিচ্ছিল।
রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় দক্ষিণ বারিধারা সোসাইটি মাঠে প্রথম আলো আনন্দমেলায় গতকাল শুক্রবার সারা দিনের চিত্র ছিল এমনই। সকাল থেকেই সেখানে ছিল উৎসবের আমেজ। মেলা শুরু হয় সকাল আটটায়। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলে শিশু-কিশোর, অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর আগমনে তা জমজমাট হয়ে ওঠে।
শুক্রবার সকাল আটটার কিছু আগে মাঠে গিয়ে দেখা যায়, অভিভাবক নিজ নিজ সন্তানদের নিয়ে মাঠে আসছেন। সবার হাতে হাতে আঁকাআঁকির রংপেনসিল, তুলি, খাতা, স্কেল ও অন্যান্য সরঞ্জাম। সাড়ে আটটায় শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘প্রথম আলো আনন্দমেলা’। প্রতিযোগিতায় তিন শতাধিক শিশু-কিশোর অংশ নেয়।
প্রতিযোগিতায় পাশাপাশি বসে আঁকে দুই ভাই মেহরাব তালহা ও মাহির তাহমিদ। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তাদের বাবা মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে জানান, বড় ছেলের স্কুল মাঠের পাশেই। স্কুলে ছেলেকে আনা–নেওয়ার সময় দেখেন মাঠে এই অনুষ্ঠান আছে। পরে দুই ছেলেকে বলে রেখেছিলেন যে তাদের এখানে অংশগ্রহণ করাবেন। ছোট ছেলে মাহিরের চিত্রাঙ্কনে বেশি ঝোঁক বলেও জানান তিনি। পরে মেহরাব জুনিয়র ক্যাটাগরিতে দশম স্থান অর্জন করে। সে স্মৃতিসৌধ এঁকেছিল।
প্রথম আলো আনন্দমেলায় ছিল বায়োস্কোপ প্রদর্শনী