ঢালিউডের আলোচিত জুটি নায়ক জায়েদ খান আর নায়িকা মাহিয়া মাহি। তাদের প্রেমের গুঞ্জন যেন পুরোনো আখরোটের মতো—সময় যত যায়, ততই শক্ত হয়! একসঙ্গে দেখা গেলেই শুরু হয় ফিসফাস। প্রশ্ন উঠেছে—“আবার কী জমে উঠছে সেই প্রেম?” 

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন জায়েদ-মাহি। বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানোর ছবিই যখন আলোচনা তৈরি করেছে, তখন শোনা গেল নতুন খবর—তারা নাকি হাজির হচ্ছেন এক ওয়েডিং সেলিব্রেশনে! আগামী ২৫ অক্টোবর মিশিগানে এই অনুষ্ঠানে পাশাপাশি দেখা যাবে তাদের। 

আরো পড়ুন:

বন্দীদের ফিরিয়ে না নিলে ভেনেজুয়েলা ‘ভয়াবহ পরিণতি’ ভোগ করবে: ট্রাম্প

রাতে নিউইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

এর আগেও নানা প্রোগ্রামে একসঙ্গে হাজির হয়ে দর্শক-ভক্তদের কল্পনায় আগুন ধরিয়েছিলেন। হাসি-ঠাট্টা, আড্ডা আর উপস্থিতি মিলিয়ে তখন গুঞ্জন ছিল ‘টক অব দ্য টাউন’। তবে হঠাৎ করেই যেন সেই গুঞ্জনে ভাটা পড়ে। কিন্তু প্রেমের গল্প কি একেবারেই থেমে যায়? না!  

কিছুদিন আগে আবারো একসঙ্গে দেখা যায় মাহি-জায়েদকে। আমেরিকার এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানে পাশাপাশি বসে দুজনের হাসিমুখের ছবি ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় নতুন ফিসফিসানি—“তাহলে কি পুরোনো প্রেম আবার রঙিন হয়ে উঠছে?” 

অবশ্য, জায়েদ খান বলছেন, সবই নাকি ‘ভুয়া’ খবর! অন্যদিকে, ডিভোর্সের পর মাহি এখন আমেরিকাতেই থাকছেন। আর জায়েদ খানও বহুদিন ধরে সেখানে। 

প্রশ্ন একটাই—আসলেই কি শুধুই কাকতালীয়? না কি মিশিগানের সেই ওয়েডিং সেলিব্রেশন হতে যাচ্ছে এক নতুন গল্পের শুরু? 

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র চলচ চ ত র একসঙ গ গ ঞ জন

এছাড়াও পড়ুন:

বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক

‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’

আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।

বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।

এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।

বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গরু আর বকের একসঙ্গে চলাফেরা
  • হানিয়ার ভাঙা প্রেম জোড়া লেগেছে?
  • বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক