পশ্চিমা নেতারা কি মুখ রক্ষা করতে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন
Published: 22nd, September 2025 GMT
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল। গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধ ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে দখলদারির বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিক্রিয়া হিসেবে গতকাল রোববার দেশগুলো এ স্বীকৃতির দিয়েছে। শিগগিরই ফ্রান্স স্বীকৃতি দিচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও কিছু দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে।
ইসরায়েল সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যে তাদের আগ্রাসী অবস্থান আরও জোরদার করেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এক মুখপাত্র বলেন, এই স্বীকৃতি ‘হাস্যকর’। এটি ‘সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করবে’ বলে উল্লেখ করেছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
১৫ সেপ্টেম্বর অধিকৃত পশ্চিম তীরে এক অনুষ্ঠানে নেতানিয়াহু তাঁর সমর্থকদের উদ্দেশে দম্ভভরে বলেন, ‘ফিলিস্তিন নামে কোনো রাষ্ট্র হবে না।’
কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালের এই স্বীকৃতি সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে। আন্তর্জাতিক খবরের প্রধান শিরোনাম। বিশ্লেষকেরা আল-জাজিরাকে বলেছেন, অবমাননা, হত্যাকাণ্ড ও শত–সহস্র ফিলিস্তিনিকে ঘরছাড়া করার বিরুদ্ধে এটি একটি ক্ষুদ্র ও প্রতীকী পদক্ষেপ। তবে এর বাইরেও পদক্ষেপটির গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিক রয়েছে।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আবু রাস আল-জাজিরাকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্ররা কেবল একটি সমঝোতাপূর্ণ চুক্তির পরই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু তার আগেই প্রচলিত ধারা ভেঙেই দেশগুলো স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়েছে। এ কারণেই এটি গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে ইসরায়েল আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল। আমি মনে করি, এটি তাৎপর্যপূর্ণ।’
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে চার দেশের স্বীকৃতি দেওয়ার দিনও গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় অন্তত ৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৩৭ জনই গাজা নগরীর।
লোকদেখানো স্বীকৃতি
ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে চরম দুর্দশায় জীবন কাটছে ফিলিস্তিনিদের। এই স্বীকৃতি কি তাঁদের দুর্দশার অবসান ঘটাবে? কোনো বাস্তবসম্মত পরিবর্তন কি আসবে?—সংশয়ে আছেন বিশ্লেষকেরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ৬৫ হাজার ২৮৩ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। যুদ্ধে আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৭৫ জন। তবে অনেক বিশ্লেষকের বিশ্বাস, হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালের এই স্বীকৃতি সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে, হয়েছে খবরের প্রধান শিরোনাম। বিশ্লেষকেরা আল–জাজিরাকে বলেছেন, অবমাননা, হত্যাকাণ্ড ও শত–সহস্র ফিলিস্তিনিকে ঘরছাড়া করার বিরুদ্ধে এটি একটি ক্ষুদ্র ও প্রতীকী পদক্ষেপ। তবে এর বাইরেও পদক্ষেপটির গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিক রয়েছে।অন্যদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং বসতি স্থাপনকারীদের সহিংস হামলায় এ পর্যন্ত ১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সরকার হুমকি দিয়েছে, তারা পুরো অঞ্চলটি নিজেদের দেশের সঙ্গে যুক্ত করে নেবে।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে চার দেশের স্বীকৃতি গাজায় যুদ্ধ থামাতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। এ যুদ্ধকে ইসরায়েলি ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো জাতিগত হত্যা হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
আরও পড়ুনফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিল যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের মূল কারণগুলোর একটি জেরুজালেমে অবস্থিত পবিত্র আল-আকসা মসজিদ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এই স ব ক ত য ক তর জ য ইসর য় ল পদক ষ প
এছাড়াও পড়ুন:
শান্তা হোল্ডিংস টানা চতুর্থবার পেল ‘সুপারব্র্যান্ডস’ অ্যাওয়ার্ড
আবাসন খাতে দেশের অন্যতম সুপারব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে শান্তা হোল্ডিংস লিমিটেড। টানা চতুর্থবারের মতো সম্মানজনক এ অর্জনের মাধ্যমে শান্তা হোল্ডিংস আবারও দেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডগুলোর কাতারে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেছে।
‘সুপারব্র্যান্ডস’ হলো একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম, যা দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব, ভোক্তা আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতার ভিত্তিতে ব্র্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। ২০১৮-১৯ সাল থেকে পরপর চারবার শান্তা হোল্ডিংসের এই অর্জন প্রমাণ করে প্রতিষ্ঠানটির অঙ্গীকার ও ঐতিহ্য, যা গড়ে উঠেছে গুণগত মান, উদ্ভাবন ও নির্ভরযোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে।
গত দুই দশকে শান্তা হোল্ডিংস তাদের আইকনিক প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকার আকাশরেখা বদলে দিয়েছে। আধুনিক নকশা, টেকসই নির্মাণ, মানসম্মত কাজ এবং উন্নত জীবনযাপনের প্রতিশ্রুতি—এসবের সমন্বয়ে প্রতিটি প্রকল্প আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছে। আবাসিক হোক বা বাণিজ্যিক—শান্তার প্রতিটি প্রকল্পই মানুষের জীবনকে আরও সুন্দর ও আধুনিক করে তুলতে কাজ করছে।