জয়পুরহাটে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির চেষ্টা, দুজন গ্রেপ্তার
Published: 23rd, September 2025 GMT
জয়পুরহাট সদর উপজেলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে এসে স্থানীয় লোকজনের হাতে দুজন আটক হয়েছেন। পরে পুলিশে সোপর্দ করা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার আমদই ইউনিয়নের মাধাইনগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন ক্ষেতলাল উপজেলার দেওগ্রামের মজনু মণ্ডল (৪০) ও সদর উপজেলার মাধাইনগর গ্রামের মশিউর রহমান (৩৮)। তাঁদের কাছ থেকে পুলিশের লোগো–সংবলিত একটি সেফটি ভেস্ট ও একটি হ্যান্ডকাফ উদ্ধার করা হয়েছে। জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তামবিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত সাড়ে আটটার পর মজনু ও মশিউর মাধাইনগর বাজারে গিয়ে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেন। এ সময় তাঁরা কয়েকজনকে ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির চেষ্টা করেন। তবে তাঁদের আচরণে সন্দেহ হলে বাজারের লোকজন জিজ্ঞাসাবাদ করে পরিচয়পত্র দেখতে চান। পরিচয়পত্র না দেখিয়ে তাঁরা পুলিশের লোগো–সংবলিত সেফটি ভেস্ট ও একটি হ্যান্ডকাফ প্রদর্শন করেন। একপর্যায়ে তাঁরা নিজেদের প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করেন। উত্তেজিত জনতা তাঁদের আটক করে পুলিশে খবর দেন। পরে রাত নয়টার দিকে পুলিশ এসে দুজনকে থানায় নিয়ে যায়।
ফেসবুক লাইভে দেখা যায়, মজনু ও মশিউরকে বাজারের একটি দোকানে আটকে রাখা হয়েছে। তাঁদের কাছেই পাওয়া যায় সেফটি ভেস্ট ও হ্যান্ডকাফ। সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শাহিন কাদির ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় আটক মজনু দাবি করেন, কালাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর আমিন তাঁকে হ্যান্ডকাফটি দিয়েছেন। তবে এসআই নুর আমিন বলেন, ‘আমি ওদের চিনি না। আমার হ্যান্ডকাফ আমার কাছেই আছে। কাউকে হ্যান্ডকাফ দিইনি।’
মাধাইনগর বাজারের ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন বলেন, ‘তাঁরা বাজারে এসে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেন। কয়েকজনকে টার্গেট করে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করতে চেয়েছিলেন। সন্দেহ হলে আমরা তাঁদের আটক করি।’
ওসি তামবিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার দুজনের কাছ থেকে পুলিশের লোগো–সংবলিত একটি সেফটি ভেস্ট ও পুরোনো একটি হ্যান্ডকাফ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় উপপরিদর্শক মিনারুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁদের আদালতে পাঠানো হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ২০
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের সরশুনা এবং কামারগ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
আরো পড়ুন:
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল: জোহায় অনশন, জুবেরীতে অবস্থান শিক্ষার্থীদের
সুনামগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ, নিহত ১
পুলিশ সূত্র জানায়, সরশুনা ও কামারগ্রামের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শক্রতা ছিল। শনিবার সন্ধ্যার দিকে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
পরে স্থানীয় ও স্বজনরা আহতদের নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয় পক্ষের আটজনকে আটক করা হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ