ভারী বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় নাকাল কলকাতাবাসী, ৫ জনের মৃত্যু
Published: 23rd, September 2025 GMT
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় গতকাল সোমবার রাতভর ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি-সংশ্লিষ্ট নানা কারণে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
কলকাতার বেনিয়াপুকুর, কালিকাপুর, নেতাজি নগর, গড়িয়াহাট ও ইকবালপুরে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এসব এলাকা কলকাতার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে বিস্তৃত।
জলাবদ্ধতার কারণে নগরে ব্যাপক যানজট দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি শহরের উপকণ্ঠে রেল ও মেট্রো সেবার ওপরও প্রভাব পড়েছে। শহরের অনেক নিচু এলাকার বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে এবং সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কয়েকটি স্কুল বৃষ্টির কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কলকাতা শহরের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টির মাত্রা বেশি ছিল। কলকাতা পৌরসভার তথ্য অনুযায়ী, গড়িয়া কামদাহারিতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৩৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। এ ছাড়া জোধপুর পার্কে ২৮৫ মিলিমিটার, কালীঘাটে ২৮০ মিলিমিটার, তোপসিয়ায় ২৭৫ মিলিমিটার এবং বালিগঞ্জে ২৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
কলকাতা পৌরসভার তথ্য অনুযায়ী, গড়িয়া কামদাহারিতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ৩৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। এ ছাড়া জোধপুর পার্কে ২৮৫ মিলিমিটার, কালীঘাটে ২৮০ মিলিমিটার, তোপসিয়ায় ২৭৫ মিলিমিটার এবং বালিগঞ্জে ২৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে এই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। কলকাতা শহরে আরও বৃষ্টি হতে পারে।
দুর্গাপূজার কয়েক দিন আগে এমন ভারী বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। কলকাতা শহরের পূজামণ্ডপগুলোয় সারা বিশ্ব থেকেই মানুষেরা ভিড় জমান। এখানকার পূজামণ্ডপগুলো অনেকটাই প্রস্তুত। আয়োজনকারীদের এখন নিশ্চিত করতে হবে, অবিরাম বৃষ্টির কারণে তাদের কয়েক মাসের এই পরিশ্রম যেন নষ্ট না হয়ে যায়।
কলকাতা শহরের পূজামণ্ডপগুলোয় সারা বিশ্ব থেকেই মানুষেরা ভিড় জমান। এখানকার পূজামণ্ডপগুলো অনেকটাই প্রস্তুত। আয়োজনকারীদের এখন নিশ্চিত করতে হবে যে অবিরাম বৃষ্টির কারণে তাদের কয়েক মাসের এই পরিশ্রম যেন নষ্ট না হয়ে যায়।সড়কগুলো জলাবদ্ধ থাকায় ফ্লাইট ধরার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরের অভিমুখী যাত্রীদেরও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে। তারা বলে দিয়েছে, আজ ফ্লাইট বিলম্বিত হতে পারে।
দুর্গাপূজা উদ্যাপনের জন্য যাঁরা পরিবারসহ অন্য শহর বা দেশ থেকে কলকাতায় আসছেন, তাঁদেরও বিমানবন্দরে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শাঁখারীবাজারে পূজার বাজারে যা পাওয়া যাচ্ছে
গলিতে ঢুকতেই নাকে এসে লাগে ধূপের সুবাস। আড়মোড়া ভেঙে সবে জাগতে শুরু করেছে শাঁখারীবাজার। তখন ঘড়িতে বাজে প্রায় সাড়ে ১০টা। পুরোপুরি কর্মচঞ্চল হতে বেলা ১১টা বেজে যাবে। তারপর বেচাকেনা চলবে দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত। গলির দুপাশে সারি সারি দোকান। তাতে থরে থরে সাজানো পূজার সরঞ্জাম: শাঁখা, ফুল, ধূপ, আলতা, সিঁদুর, প্রদীপ, অলংকার। সবকিছুর মধ্যেই যেন মিশে আছে উৎসবের আবহ, ধর্মীয় আচার আর শত বছরের ঐতিহ্যের ছোঁয়া। আর আছে আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে নানা ব্যস্ততা। কেউ বাঁশের কাঠামো তৈরি করছে, কেউ দোকানে বসে সাজাচ্ছে পূজার সরঞ্জাম। আসছে শারদীয় দুর্গোৎসবের জন্যই যেন প্রস্তুত হচ্ছে পুরো এলাকা।
আরও পড়ুনসাধ ও সাধ্যের মধ্যে ঈদের কেনাকাটা করতে রাজধানীর যেসব বাজারে যেতে পারেন, জেনে রাখুন দরদাম১১ মার্চ ২০২৫ঐতিহ্যের গলি
হৃদয়নাথ মজুমদারের লেখা থেকে জানা যায়, ‘শাঁখারী বাজারের শাঁখারীরা বাংলার হিন্দুদের সরবরাহ করতেন শাঁখা। ধনাঢ্য শাঁখারীরা শাঁখা কিনে আনতেন সিংহল থেকে। এছাড়া, সমুদ্রের যেসব অংশে পাওয়া যেত শাঁখা, সরকার সেগুলিকে লীজ দিতেন। যাঁরা লীজ নিতেন তাঁরা জেলেদের সাহায্যে শাঁখা উঠিয়ে বিক্রি করতেন মহাজনদের কাছে। মহাজনরা আবার শাঁখা সরবরাহ করতেন ঢাকার শাঁখারীদের কাছে।’
শারদীয় দুর্গোৎসবের জন্যই যেন প্রস্তুত হচ্ছে পুরো এলাকা