জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় স্কুলছাত্রী তাসনিয়া খাতুনের হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বটতলী বাজারে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে তার সহপাঠী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা অংশ নেন।

তাসনিয়া বড়তাড়া ইউনিয়নের শালবন গ্রামের বাসিন্দা ও বটতলী সানরাইজ মডেল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সে। দুই দিন পর শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী একরামুল হোসেনের গোয়ালঘর থেকে শিশুটির বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

আরও পড়ুনজয়পুরহাটে নিখোঁজের দুই দিন পর শিশুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার, দুই নারী আটক২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বটতলী সানরাইজ মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহবুবর রহমান, শালবন মাদ্রাসার মহতামিম মাওলানা উসমানী, ক্ষেতলাল পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল আলিম, বড়তাড়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নরুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর ক্ষেতলাল পৌর শাখার সেক্রেটারি আবদুল কুদ্দুস ও নিহত তাসনিয়ার বাবা এরশাদ হোসেন।

মাহবুবর রহমান বলেন, ‘তাসনিয়া খাতুন আমাদের স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। তার খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’

তাসনিয়ার বাবা এরশাদ হোসেন বলেন, ‘আমার একমাত্র আদরের সন্তান তাসনিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর কীভাবে বেঁচে আছি—তা বলতে পারব না। আমার সন্তানের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি করছি।’

২০ সেপ্টেম্বর তাসনিয়ার লাশ উদ্ধারের পর গ্রামবাসীরা একরামুলের স্ত্রী হাবিবা আকতার কুমকুম ও তাঁদের বাড়ির কাজের লোক আঞ্জুয়ারাকে আটক করে পুলিশে দেন। এ ঘটনায় তাসনিয়ার বাবা ছয়জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় একরামুল স্ত্রী ও বাড়ির কাজের লোককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে একরামুলসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এ বিষয়ে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব প্রথম আলোকে বলেন, তাসনিয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত দুজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলার প্রধান আসামি একরামুলের স্ত্রী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত সন য় র একর ম ল

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেট চেম্বারের নির্বাচন দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

সিলেট চেম্বারে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ব্যবসায়ীরা। আজ বুধবার দুপুরে সিলেট নগরের জেল রোড মোড়ে সিলেট ব্যবসায়ী ফোরামের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এরপর বিকেলে হজরত শাহজালাল (রহ.) মাজার মসজিদে নির্বাচনের জন্য দোয়া মাহফিলও করেছেন এসব ব্যবসায়ী।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, একটি মহল সিলেট চেম্বারের নির্বাচন বানচাল করতে চায়। বিগত দিনের মতো বিনা ভোটে চেম্বার পরিচালনার সুযোগ চান তাঁরা। তবে দুটি প্যানেলের নেতারা চেম্বারে সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য দ্রুত নির্বাচন চান। এ জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের স্থগিতাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। আদালত থেকেও দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছেন। এরপরও অদৃশ্য কারণে নির্বাচন আয়োজন হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে সংকটে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ব্যবসায়ী খন্দকার শিপার আহমদ, এহতেশামুল হক চৌধুরী, আবদুর রহমান রিপন, মোতাহার হোসেন, আবদুল হাদী, সৈয়দ জাহিদ উদ্দিন, মো. ইমরান হোসাইন, মো. আবুল কালাম, মো. মাজহারুল হক, মো. নাহিদুর রহমান, আবু সুফিয়ান প্রমুখ।

এদিকে সিলেটের সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের নেতারা দোয়া মাহফিল শেষে বলেন, ব্যবসায়ী সমাজ দীর্ঘদিন ধরে চেম্বারের নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ব্যবসায়ী মহলে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। সিলেটের বাণিজ্যিক অগ্রযাত্রা আরও গতিশীল হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের সভাপতি প্রার্থী ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, ব্যবসায়ী ফাহিম আহমদ চৌধুরী, হুমায়ূন আহমেদ, মাসুম ইফতিখার রসুল সিহাব, মনজুর আহমদ, হুসেন আহমদ, তাহমিদ হোসেন প্রমুখ।

এ বিষয়ে সিলেট চেম্বারের প্রশাসক সাঈদা পারভীনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

১ নভেম্বর সিলেট চেম্বারের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সে হিসাবে তফসিল ঘোষণা, মনোনয়ন যাচাইসহ নির্বাচনের প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। নির্বাচনে দুটি প্যানেল সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ও সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম থেকে মোট ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। গত ২৬ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-১ শাখার উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নির্বাচন স্থগিত রেখে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন আয়োজনে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে দুই প্যানেলের ব্যবসায়ীরা আদালতের শরণাপন্ন হন। নির্বাচন আয়োজনে কোনো বাধা নেই, এমন নির্দেশনা দেন আদালত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রাথমিকে শারীরিক ও সংগীত শিক্ষক পদ পুনর্বহালের দাবি
  • সড়ক দুর্ঘটনায় আরিফুল, সৌভিকের মৃত্যু হত্যাকাণ্ড কি না, প্রশ্ন জোনায়েদ সাকির
  • নিজস্ব পরিবহন নিশ্চিতের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
  • বিএনপি থেকে প্রার্থী দেওয়ার দাবিতে হরিপুরে বিক্ষোভ–মানববন্ধন
  • সিলেট চেম্বারের নির্বাচন দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন
  • বিএনপি নেতা শহিদুলকে মনোনয়ন না দেওয়ায় তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ