রাজধানীর মহাখালীতে একটি পেট্রলপাম্পের ট্যাংক পরিষ্কার করার সময় বিস্ফোরণে সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে মহাখালীর আমতলী-গুলশান সার্ভিস স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন স্বপন মোল্লা (২৪), মো. কবির (১৮), মো. রুবেল (২৮), মো. খাইরুল ইসলাম (২৮), মাসুদুর রহমান (৪৪), মো. আলমগীর হোসেন (৪০) ও মো.

সজীব (৩১)।

দুর্ঘটনার পর আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে বেলা আড়াইটার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। তাঁদের সঙ্গে আসা নিয়াজ মাহমুদ নামের একজন বলেন, পাম্পের তেলের ট্যাংক পরিষ্কার করার সময় ভেতরে জমে থাকা গ্যাস হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়। এতে ভেতরে কাজ করা সাতজন দগ্ধ হন।

ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান বলেন, দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের একজন খাইরুল ইসলাম, তাঁর শরীরের ৩৫ শতাংশ এবং আরেকজন সজীব, তাঁর শরীরের ৩২ শতাংশ পুড়ে গেছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যে রানিকে ‘জীবন্ত দেবী’ হিসেবে গণ্য করা হতো

প্রাচীন মিশরের ১৮তম রাজবংশের একজন শক্তিশালী রানী এবং ফারাও আখেনাতেনের প্রধান রাজমহিষী ছিলেন রানি নেফারতিতি ছিলেন। এই নারী তার সৌন্দর্যের কারণে অধিক পরিচিত। এ ছাড়া ইতিহাসে তার অবস্থান শক্তিশালী হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে, তিনি  মিশরে একেশ্বরবাদী  ধর্মীয় বিপ্লবে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন।

নেফারতিতি নামের অর্থ ‘‘একজন সুন্দরী নারী এসেছেন’’। নেফারতিতির জন্ম আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ১৩৭০ অব্দে। 

আরো পড়ুন:

সঞ্চয় করার কিছু কার্যকর উপায়

আজ পুরুষদের রান্না করার দিন

জানা যায়, নেফারতিতির বাবা ছিলেন ফারাও আখেনাতেনের উপদেষ্টা এবং তিনিই কিশোর রাজকুমার আখেনাতেনের দেখাশোনা করতেন। বাবার সুবাদে শৈশবেই রাজকুমারের সঙ্গে পরিচয় হয় নেফারতিতির এবং অল্প বয়সেই তিনি আখেনাতেনের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে গড়ে তোলেন। ১৫ বছর বয়সে রাজকুমারের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। ক্রমে ফারাও আখেনাতেনের জীবনে অত্যন্ত গভীর প্রভাব বিস্তার করেন এই রানি। 

আখেনাতেন মিশরের ঐতিহ্যবাহী বহু-ঈশ্বরবাদী ধর্ম পরিবর্তন করে ‘আতেন’ বা সূর্য দেবতার একেশ্বরবাদী পূজার প্রচলন করেছিলেন। এই ধর্মীয় পরিবর্তনে নেফারতিতি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং তাকে জীবন্ত দেবী হিসেবে গণ্য করা হতো।

আখেনাতেনের রাজত্বকালে নেফারতিতি একজন ফারাওয়ের মতোই ক্ষমতা এবং মর্যাদা ভোগ করতেন। অনেক ভাস্কর্য ও চিত্রে তাকে ফারাওদের মতো ক্ষমতা প্রদর্শন করতে দেখা যায়। বার্লিনের একটি জাদুঘরে সংরক্ষিত নেফারতিতির একটি মার্জিত এবং রঙিন আবক্ষ মূর্তি প্রাচীন মিশরীয় শিল্পের অন্যতম পরিচিত নিদর্শন।

আখেনাতেনের রাজত্বের প্রায় ১২ বছর পর হঠাৎ করেই নেফারতিতি ইতিহাস থেকে অদৃশ্য হয়ে যান। তার মৃত্যু সম্পর্কে খুব কম তথ্য জানা যায় এবং তার সমাধি আজও আবিষ্কৃত হয়নি, যা প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে একটি অনেক বড় রহস্য। 

সূত্র: ব্রিটানিকা কিডস অবলম্বনে

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারতের নির্বাচনে ব্রাজিলের মডেল কীভাবে ‘২২ বার ভোট’ দিলেন
  • জাহানারার পাশে বাংলাদেশ, কিন্তু…
  • গাজীপুরের সাফারি পার্ক থেকে লেমুর চুরির ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
  • আলব্যের কামুর দর্শন, চরিত্র ও পাঠক
  • প্রসূনের কাছে পরীমণির দুঃখ প্রকাশ
  • অকৃতজ্ঞ মানুষদের সাহায্য করা বন্ধ করুন: ভাবনা
  • গোঁফওয়ালা শাকিবকে দেখে ভক্তদের উল্লাস
  • নতুন বিশ্বের সন্ধিক্ষণে একজন মুসলিমের ১০ অপরিহার্য অঙ্গীকার
  • এ গ্যাদা, এবার আমার সিরিয়াল
  • যে রানিকে ‘জীবন্ত দেবী’ হিসেবে গণ্য করা হতো