সুপার টাইফুন ‘রাগাসায়’ তাইওয়ান–ফিলিপাইনে নিহত ১৫
Published: 24th, September 2025 GMT
তাইওয়ানে সুপার টাইফুন ‘রাগাসায়’ একটি হ্রদের পানিতে প্লাবিত হয়ে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। ফিলিপাইনে নিহতের সংখ্যা অন্তত একজন।
রাগাসা গতকাল মঙ্গলবার ফিলিপাইনের উত্তর উপকূল ও তাইওয়ান পেরিয়েছে। এটি এখন চীনের দক্ষিণাঞ্চলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য দুর্যোগকালীন ‘সর্বোচ্চ সতর্কতা’ জারি করেছে হংকংয়ের কর্তৃপক্ষ। লোকজনকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে।
হংকংয়ে কয়েক শ উড়োজাহাজের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে শিক্ষা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
এদিকে চীনের দক্ষিণাঞ্চলের গুয়াংদং প্রদেশ থেকে প্রায় ১৮ লাখ ৯০ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, রাগাসা হলো এ বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়। সেখানে ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।
চীনের দক্ষিণাঞ্চলের ঝুহাই, শেনঝেন আর গুয়াংঝৌ শহর স্থানীয় সময় আজ বুধবার দুপুর নাগাদ সাগরের পানিতে প্লাবিত হতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঝুহাই শহরে পুলিশ রাস্তায় রাস্তায় টহল দিয়ে, মাইকিং করে স্থানীয় লোকজনকে ঘরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছে।
ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত দ্বীপগুলোয় গত সোমবার আঘাত হানে রাগাসা। কয়েকটি শহরে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে নিহত হন একজন।
রাগাসার প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলে একটি হ্রদ উপচে ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আরও অন্তত ১২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। যদিও তাইওয়ানের ফায়ার সার্ভিস আজ এক বিবৃতিতে জানায়, পূর্বাঞ্চলের হুয়ালিয়েন কাউন্টিতে নিখোঁজ মানুষের সংখ্যা ১২৪ জন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যে রানিকে ‘জীবন্ত দেবী’ হিসেবে গণ্য করা হতো
প্রাচীন মিশরের ১৮তম রাজবংশের একজন শক্তিশালী রানী এবং ফারাও আখেনাতেনের প্রধান রাজমহিষী ছিলেন রানি নেফারতিতি ছিলেন। এই নারী তার সৌন্দর্যের কারণে অধিক পরিচিত। এ ছাড়া ইতিহাসে তার অবস্থান শক্তিশালী হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে, তিনি মিশরে একেশ্বরবাদী ধর্মীয় বিপ্লবে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন।
নেফারতিতি নামের অর্থ ‘‘একজন সুন্দরী নারী এসেছেন’’। নেফারতিতির জন্ম আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ১৩৭০ অব্দে।
আরো পড়ুন:
সঞ্চয় করার কিছু কার্যকর উপায়
আজ পুরুষদের রান্না করার দিন
জানা যায়, নেফারতিতির বাবা ছিলেন ফারাও আখেনাতেনের উপদেষ্টা এবং তিনিই কিশোর রাজকুমার আখেনাতেনের দেখাশোনা করতেন। বাবার সুবাদে শৈশবেই রাজকুমারের সঙ্গে পরিচয় হয় নেফারতিতির এবং অল্প বয়সেই তিনি আখেনাতেনের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে গড়ে তোলেন। ১৫ বছর বয়সে রাজকুমারের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। ক্রমে ফারাও আখেনাতেনের জীবনে অত্যন্ত গভীর প্রভাব বিস্তার করেন এই রানি।
আখেনাতেন মিশরের ঐতিহ্যবাহী বহু-ঈশ্বরবাদী ধর্ম পরিবর্তন করে ‘আতেন’ বা সূর্য দেবতার একেশ্বরবাদী পূজার প্রচলন করেছিলেন। এই ধর্মীয় পরিবর্তনে নেফারতিতি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং তাকে জীবন্ত দেবী হিসেবে গণ্য করা হতো।
আখেনাতেনের রাজত্বকালে নেফারতিতি একজন ফারাওয়ের মতোই ক্ষমতা এবং মর্যাদা ভোগ করতেন। অনেক ভাস্কর্য ও চিত্রে তাকে ফারাওদের মতো ক্ষমতা প্রদর্শন করতে দেখা যায়। বার্লিনের একটি জাদুঘরে সংরক্ষিত নেফারতিতির একটি মার্জিত এবং রঙিন আবক্ষ মূর্তি প্রাচীন মিশরীয় শিল্পের অন্যতম পরিচিত নিদর্শন।
আখেনাতেনের রাজত্বের প্রায় ১২ বছর পর হঠাৎ করেই নেফারতিতি ইতিহাস থেকে অদৃশ্য হয়ে যান। তার মৃত্যু সম্পর্কে খুব কম তথ্য জানা যায় এবং তার সমাধি আজও আবিষ্কৃত হয়নি, যা প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে একটি অনেক বড় রহস্য।
সূত্র: ব্রিটানিকা কিডস অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি