যৌতুকের জন্য জখমের ঘটনায় বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতার বিধান বাতিল, তবে থাকছে অন্য ৭টি ধারায়
Published: 25th, September 2025 GMT
যৌতুকের কারণে নির্যাতনের ফলে ‘সাধারণ জখমের’ শিকার ভুক্তভোগী নারীকে মামলার আগে বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতায় যাওয়ার বিধান বাতিল করেছে সরকার। সেই সঙ্গে বাদ দেওয়া হয়েছে চেক ডিজঅনারের (চেক প্রত্যাখ্যান) মামলা করার আগে বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতার বিধানও। নতুন এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে গতকাল বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। তবে নতুন এই সিদ্ধান্ত আপাতত ১২টি জেলার জন্য কার্যকর হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’ সংশোধন করে মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক করে ১ জুলাই অধ্যাদেশ জারি করেছিল। আর গত সপ্তাহে এই নতুন অধ্যাদেশ কার্যকর হয়েছে ১২ জেলায়।
‘আইনগত সহায়তা প্রদান (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অধ্যাদেশে বলা হয়, ৯টি আইনের সুনির্দিষ্ট ধারায় প্রথমে ভুক্তভোগীকে লিগ্যাল এইড কার্যালয়ে মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করতে হবে। মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া ব্যর্থ হলে কোনো পক্ষ প্রয়োজনে আদালতে মামলা করতে পারবে। এখানে মধ্যস্থতাকারী হবেন চিফ লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা, লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা বা ক্ষেত্রমতে স্পেশাল মেডিয়েটর (বিশেষ মধ্যস্থতাকারী)। সংশোধিত অধ্যাদেশে এখনো ৯টি আইনের কথাই উল্লেখ রয়েছে।
এই ৯টি আইনের মধ্যে একটি ছিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ১১ (গ) ধারা। এ ধারাটি যৌতুক-সংক্রান্ত। ১১ (গ) ধারায় উল্লেখ আছে, যদি কোনো নারীর স্বামী অথবা স্বামীর পিতা, মাতা, অভিভাবক, আত্মীয় বা স্বামীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি যৌতুকের জন্য নারীকে সাধারণ জখম (সিম্পল হার্ট) করে, তবে ওই ব্যক্তি অনধিক পাঁচ বছর, অন্যূন দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
সংশোধিত নতুন আইন–সংক্রান্ত বিধিমালা জারি করা হয়েছিল ১৭ সেপ্টেম্বর। বিধিমালা অনুসারে, ২১ কার্যদিবসের মধ্যে মধ্যস্থতা কার্যক্রম নিষ্পত্তি করতে হবে। প্রাথমিকভাবে ১৮ সেপ্টেম্বর ১২টি জেলায় নতুন বিধান কার্যকর হয়।
নতুন আইনে মামলার আগে বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতার বিধান নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান নারী অধিকারকর্মীরা। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী মাসুদা রেহানা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, একজন নারী যদি সরাসরি আদালতে মামলা করতে চান, তাহলে তাঁকে কেন পূর্বশর্ত পূরণ করতে হবে? যৌতুকের জন্য নির্যাতনের মামলা স্পষ্টভাবেই ফৌজদারি অপরাধ। মধ্যস্থতার নামে ভুক্তভোগীকে অপরাধীর পাশে বসতে বাধ্য করা আইন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
রেহানা বেগম আরও বলেন, যৌতুকের কারণে সাধারণ জখম হলেও মেডিকেল রিপোর্ট (স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন) প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে সমঝোতার সুযোগে সাধারণ জখমের চিহ্ন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ফলে পরে মামলা প্রমাণে আইনগত জটিলতার সৃষ্টি হবে। এসব কারণে সরকারকে বাধ্যতামূলক মামলা–পূর্ব মধ্যস্থতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
অপর যে বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতার বিধান বাতিল করা হয়েছে, সেটা হলো নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্টস অ্যাক্ট, ১৮৮১–এর ১৩৮ ধারা (চেক ডিজঅনার সর্ম্পকিত অভিযোগ–৫ লাখ টাকা মূল্যের বেশি নয়)। অবশ্য এ–সংক্রান্ত অভিযোগগুলো নিলে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হবে জানিয়ে লিগ্যাল এইড কর্মকর্তারা মত দিলেন, নতুন এ বিধান ইতিমধ্যে এমনিতেই কার্যকর করা হয়নি।
শুরুতেই হোঁচট
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১২টি জেলায় যৌতুক–সংক্রান্ত সাধারণ জখমের মধ্যস্থতার নতুন বিধান কার্যকর হয়। জেলাগুলো হচ্ছে ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, রংপুর, দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী, রাঙামাটি, সিলেট, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ। তবে চেক ডিজঅনার–সংক্রান্ত বিধান কার্যকর স্থগিত থাকায় ১২টি জেলায় ৯টির পরিবর্তে ৮টি আইনের ওপর নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।
এখন যৌতুকের কারণে সাধারণ জখমের অভিযোগের ক্ষেত্রেও এই বিধান বাতিল হওয়ায় এখন থেকে শুধু ৭টি আইনের সুনির্দিষ্ট ধারার ওপর নতুন বিধান কার্যকর হবে। একজন লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকরের আগে ২২ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয় থেকে এক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় তাঁদের ১১ (গ) ধারায় অভিযোগ না নিতে বলা হয়।
যে ৭টি আইনের ওপর লিগ্যাল এইড কার্যালয় অভিযোগ নেবে, সেগুলো হচ্ছে পারিবারিক আদালত আইন, ২০২৩–এর ধারা ৫। এই ধারায় ‘পারিবারিক আদালতের এখতিয়ার’ শিরোনামে বলা হয়েছে, মুসলিম পারিবারিক আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে পারিবারিক আদালতে বিবাহবিচ্ছেদ, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার, দেনমোহর, ভরণপোষণ এবং শিশুসন্তানদের অভিভাবকত্ব ও তত্ত্বাবধান—এ পাঁচটি বিষয়ে যেকোনো মোকদ্দমা গ্রহণ, বিচার এবং নিষ্পত্তির এখতিয়ার থাকবে পারিবারিক আদালতের।
যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮-এর ৩ ধারা (যৌতুক দাবি করার দণ্ড) এবং ৪ ধারাও (যৌতুক প্রদান বা গ্রহণ ইত্যাদি) এই ৭টি আইনের মধ্যে রয়েছে। ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে দুটো ধারাতেই সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
এ ছাড়া রয়েছে বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯১–এ উল্লিখিত বিরোধ; স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেন্যান্সি অ্যাক্ট, ১৯৫০–এর ৯৬ ধারা (অগ্রক্রয়ের অধিকার); নন–অ্যাগ্রিকালচারাল টেন্যান্সি অ্যাক্ট, ১৯৪৯–এর ২৪ ধারা (অগ্রক্রয় সম্পর্কিত বিরোধ) এবং পিতামাতার ভরণপোষণ আইন, ২০১৩–এর ধারা ৮ (আপস–নিষ্পত্তি)।
১২টি জেলায় নতুন বিধান কার্যকর করা প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমরা ১২টি জেলায় করেছি দেখার জন্য। অনেকটা পাইলটিংয়ের মতো। সেখানের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমরা কাজ করব। কিছু জেলায় লিগ্যাল এইড দেওয়ার মতো জায়গা পর্যন্ত নেই। সব জেলায় একসঙ্গে করা যাচ্ছে না, মূলত জায়গার কারণে। আরেকটা হচ্ছে কীভাবে এই প্রক্রিয়া কাজ করছে, সেটা দেখে পর্যায়ক্রমে বিস্তৃত করা হবে সেই চিন্তা থেকে। পর্যায়ক্রমে সব জেলায় করা হবে।’
দায়মুক্তি ও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন
নতুন আইনের কারণে ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা ছিল। একই সঙ্গে এটি বাস্তবায়নের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা কতটা রয়েছে সে প্রশ্নও রয়েছে। মধ্যস্থতাকারীর কারণে বিচারপ্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রতিকার পাওয়ারও সুযোগ ছিল না।
আইন বিশ্লেষক ও সাবেক জেলা জজ ফউজুল আজিম বলেন, ‘বিচার–পূর্ব মধ্যস্থতা’ বিচারপ্রার্থী মানুষকে প্রতিকার দেওয়ার জন্য খুবই দরকারি একটি পদ্ধতি। কিন্তু উত্তম পরিকল্পনা ও যথেষ্ট প্রস্তুতি ছাড়াই বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় এর প্রচলনের ফলে বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা আছে।
যৌতুক–সংক্রান্ত মামলাগুলো আগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিচালনা হতো। যৌতুকের কারণে সাধারণ জখমের অভিযোগের ক্ষেত্রে মামলার আগে বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতার বিধান বাতিল হওয়াকে স্বাগত জানিয়ে সাবেক জেলা জজ ফউজুল আজিম বলেন, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। তাঁরা মানুষের সমস্যা বুঝতে পেরেছেন।
সেসব বিষয় এখনো মধ্যস্থতার বিধানের মধ্যে রয়ে গেছে, সে বিষয়ে এই আইন বিশ্লেষক বলেন, ‘এখনো ক্ষেত্র প্রস্তুত হয়নি। আমি মধ্যস্থতার বিপক্ষে নই। কিন্তু ক্ষেত্র প্রস্তুত না করে করার বিরুদ্ধে।’
ফউজুল আজিম বলেন, পারিবারিক আদালতে দেনমোহর, ভরণপোষণসহ পাঁচ ধরনের মামলার বিচার হতো। বাড়িভাড়া, দুই ধরনের অগ্রক্রয়, বণ্টনের মামলা, পিতা–মাতার ভরণপোষণ আইনের সব বিরোধ জেলার অনেকগুলো আলাদা দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতে বিচারের জন্য দায়ের করা হতো। নতুন বিধানের আওতায় এই বিপুল চাপ নেওয়ার মতো সক্ষমতা লিগ্যাল এইড কার্যালয়ের এই মুহূর্তে নেই। নির্ধারিত ২১ দিনের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি বাস্তবতার নিরিখে অসম্ভব মনে হচ্ছে। অপর পক্ষ হাজির না হলে পুরো উদ্যোগটি নিছক আরেকটি বাড়তি ভোগান্তি হিসেবে দেখা দেবে।
আরও পড়ুনভুক্তভোগী নারীকে মামলার আগে মধ্যস্থতায় যেতে হবে০৫ জুলাই ২০২৫মধ্যস্থতা শুনানি কোথায় হবে—এমন প্রশ্ন রেখে সাবেক এই জেলা জজ বলেন, জেলা জজ আদালত ভবনসমূহে এমনিতেই জায়গার অভাব আছে। তিনি আরও বলেন, মধ্যস্থতাকারী কারা হবে? বলা হচ্ছে অবসরে থাকা বিচারকেরা এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আইনজীবীরা হবেন মধ্যস্থতাকারী। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এ রকম কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা জানামতে, দেশে এখনো নেই। এটি একটি পেশাগত দক্ষতা। অস্ট্রেলিয়ায় মধ্যস্থতাকারী হওয়ার জন্য ২৫ থেকে ৩৮ ঘণ্টার কোর্স করতে হয়। তারপর মেডিয়েটর স্ট্যান্ডার্ড বোর্ডের কাছে ‘ফিট অ্যান্ড প্রপার পারসন টেস্টে (মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উপযুক্ত ব্যক্তি নির্বাচন পরীক্ষা)’ উত্তীর্ণ হয়ে দুই বছরের জন্য সনদ পেয়ে থাকে।
এ ছাড়া সংশোধিত আইনের ২১(ঙ) তে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে ‘সরল বিশ্বাসে’ কোনো কাজের ফলে কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা মধ্যস্থতাকারীদের বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলা বা অন্য কোনো আইনগত কার্যধারা রুজু করতে পারবেন না।
এ বিষয়ে ফউজুল আজিম বলেন, অদক্ষ মধ্যস্থতাকারীর কারণে যদি কোনো ক্ষতি হয়, তার জন্য আইনের ২১ (ঙ) ধারায় দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় ন্যূনতম প্রস্তুতি ছাড়া বিচার–পূর্ব মধ্যস্থতার প্রচলন করায় বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্য নতুন ভোগান্তির সূচনার আশঙ্কার কারণ হয়ে থাকল। আগামী এক মাসের মধ্যে এর প্রভাব স্পষ্ট হবে।
আরও পড়ুনযৌতুকের জন্য জখম: ভুক্তভোগী নারীর জন্য বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতা তুলে দিতে হবে১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল গ য ল এইড ক য ত ক র জন য ক র যকর হয় স প ট ম বর প রস ত ত র প রস সরক র আইন র ন আইন প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে