নড়াইলের বন্ধ ‘আল্পনা’ সিনেমা হল এখন তাবলিগের ‘মার্কাজ মসজিদ’
Published: 26th, September 2025 GMT
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় বন্ধ হয়ে যাওয়া ‘আল্পনা’ সিনেমা হলের জরাজীর্ণ ভবনে তাবলিগের ‘মার্কাজ মসজিদ’ চালু করা হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে ভবনটির সামনে ‘কালিয়া উপজেলা তাবলিগি মার্কাজ মসজিদ’ নামে একটি ব্যানার টাঙিয়েছে ‘আলমী শুরায়ী নেজাম’ নামের একটি সংগঠন। বর্তমানে ভবনটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে ওই সংগঠনের ‘সাথি’ ও কালিয়া উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁরা ভবনটি প্রশাসনের কাছ থেকে বার্ষিক চার হাজার টাকায় ইজারা নিয়েছেন। ভবনটি জরাজীর্ণ হলেও যতটুকু সম্ভব তাঁরা ব্যবহারযোগ্য করার জন্য কাজ করছেন।
হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এখানে আমরা তাবলিগি মার্কাজ মসজিদ চালু করেছি। বিভিন্ন দেশ ও ঢাকার কাকরাইল থেকে কালিয়ায় যে তাবলিগের জামাত আসবে, তাঁরা প্রথমে এখানে আসবেন। পরে স্থানীয় তাবলিগ জামাতের সাথিদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিভিন্ন মসজিদে যাবেন।’
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৪ সালে ‘টাউন হল’ নামে ভবনটির উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক শাফায়াত আলী। কয়েক বছর পর ভবনটি ইজারা নিয়ে ‘আল্পনা’ নামের একটি সিনেমা হল চালু করা হয়। প্রায় ২০ বছর আগে সেই সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেলে ভবনটির আর ব্যবহার হয়নি। পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে থাকতে ভবনটি এখন খুবই জরাজীর্ণ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.
কালিয়া বাজারের ব্যবসায়ী খালিদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে ছিল। এখন একটি ভালো কাজের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে তাঁরা আনন্দিত।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম র ক জ মসজ দ ত বল গ উপজ ল প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
ভোটের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে চাকসু ভবন
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আগামী ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচন। নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীদের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে চাকসু ভবন। এরই মধ্যে সংস্কারের জন্য ৩৫ লাখ টাকার বাজেট বরাদ্দ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভায় এ বাজেটটি পাশ হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) চবির প্রকৌশল দপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল আহাদ রাইজিংবিডি ডটকমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভায় চাকসু ভবন সংস্কারে ৩৪ লাখ ৮২ হাজার ৬৭৭ টাকার একটি বাজেট পাশ হয়েছে। এরইমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের কিছু কাজ করা হচ্ছে। দ্রুত স্বচ্ছতার সঙ্গে বাজেটের আলোকে বাকি কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।”
তিনি বলেন, “সম্পূর্ণ চাকসু ভবন রং করা, ইলেক্ট্রিক, টাইলস, গ্রাস ও প্লাম্বিংয়ের কাজসহ ছোটবড় যাবতীয় কাজ এ বাজেটের অন্তর্ভুক্ত।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “চাকসু ভবন সংস্কারে বড় একটি বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরকে সংস্কারের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত এ সংস্কারের কাজ শেষ হবে।”
সংস্কারের কাজ তত্বাবধানে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠিত হয়েছে। কমিটিতে আছেন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী, চাকসু কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান চৌধূরী, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক বজলুর রহমান ও চবির প্রকৌশল দপ্তর নির্বাহী প্রকৌশলী ইমদাদুল হক রিয়াদ।
সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯০ সালে। এরপর থেকেই কার্যত পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল চাকসু ভবন। দীর্ঘদিন পর ‘ভাতের হোটেল’ খ্যাত ভবনটির সংস্কারে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফ তানজু বলেন, “দীর্ঘদিন পর চাকসু ভবন সংস্কারে আমরা অনেক আনন্দিত। আমরা দেখতে পাচ্ছি ভবনটিতে রং করাসহ আরো বিভিন্ন কাজ করা হচ্ছে। তবে শুধু অবকাঠামগত সংস্কার নয়, আমরা চাই চাকসুর মাধ্যমে যেন প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণ হয়।”
ভোটার ও প্রার্থীদের সরব উপস্থিতি, অবকাঠামোগত সংস্কার-সবমিলিয়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে চাকসু ভবন। শিক্ষার্থীদের কাছে এটি এখন শুধু ভাতের হোটেল নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে চাকসু ভবন।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে চাকসু নির্বাচনের প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ঝুপড়ি থেকে লেডিস ঝুপড়ি, শহীদ মিনার থেকে জিরো পয়েন্ট, অনুষদ হতে শাটল ট্রেন- সর্বত্রই প্রার্থীরা ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে; দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিবর্তনের নানা প্রতিশ্রুতি।
ঢাকা/মিজানুর রহমান/ইভা