জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের ফার্স্ট ইন্সটিটিউট অব ওশানোগ্রাফী (এফআইও), মিনিস্ট্রি অব ন্যাচারাল রিসোর্সেস এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) চীনের চিংডাও শহরে এফআইও এর প্রশাসনিক ভবনে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

আরো পড়ুন:

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতিকে নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনদের পরিচয়পত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রদান

চুক্তিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.

মো. মিজানুর রহমান এবং এফআইও এর পক্ষে স্বাক্ষর করেন পরিচালক অধ্যাপক ড. লি লি।

প্রতিস্বাক্ষর করেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম ও এফআইও এর মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. টিগাং লি।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান ও অধ্যাপক ড. লি লি। এছাড়া বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও বঙ্গোপসাগরভিত্তিক যৌথ গবেষণার সম্ভাবনা তুলে ধরেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকী এবং এফআইও এর মেরিন জিওলজি ল্যাবের গবেষক ড. শিন শান।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এফআইও এর অধ্যাপক ড. ইয়ানগুয়াং লিউ, অধ্যাপক ড. শেফা শি, অধ্যাপক ড. শিলিই জাং, ড. লিন জোও, ড. শিজু ওয়াং, ড. শিন শা প্রমুখ।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শুভেচ্ছা স্মারক বিনিময় করা হয়।

এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীনের এ দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একাডেমিক ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। পাশাপাশি জ্ঞান বিনিময়, যৌথ গবেষণা, গবেষণা অনুদান, ফেলোশিপ ও ভিজিটিং স্কলারশিপসহ বহুমুখী একাডেমিক সুযোগ-সুবিধার পথ সুগম হবে।

ঢাকা/মুজিবুর/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি নবজন্ম লাভ করবে: প্রধান উপদেষ্টা

আগামী নির্বাচন ও গণভোটে শতভাগ সততা, নিরপেক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এবারের নির্বাচন গতানুগতিক কোনো নির্বাচন নয়; বরং এটি দেশ রক্ষার নির্বাচন।  এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি নবজন্ম লাভ করবে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সদ্য পদায়নকৃত ৫০ জেলা প্রশাসকসহ ৬৪ জেলার প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আরো পড়ুন:

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: প্রধান ‍উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল এবি পার্টি 

আগামী নির্বাচনকে শুধু পাঁচ বছরের সরকার গঠনের একটি নির্বাচন নয়; বরং গণভোট যুক্ত হওয়ায় এটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এটা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি নির্বাচন। জাতি বহু প্রহসনের নির্বাচন দেখেছে, সেই স্মৃতি ছাপিয়ে যেতে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।”

“এটা গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নির্বাচন; এই নির্বাচন গণঅভ্যুত্থানকে পূর্ণতা দেওয়ার নির্বাচন। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতির জন্য নির্ধারিত হবে শতাব্দীর গতিপথ,” বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

এই নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কোনোভাবেই ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি নবজন্ম লাভ করবে এবং জেলা প্রশাসকরা থাকবেন ধাত্রীর ভূমিকায়।”

জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আপনাদের যা যা জানা প্রয়োজন সব জেনে নেবেন। নির্বাচনকে একই সঙ্গে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ করতে হবে।”

তিনি বলেন, “মনে রাখতে হবে বিপুল সংখ্যক তরুণ ও নারী ভোটার রয়েছেন, যারা ভোট দেওয়ার উপযুক্ত হলেও গত ১৫ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি।”

তিনি আরো বলেন, “আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এরইমধ্যে আগামী নির্বাচনের বিষয়ে গভীর উৎসাহ দেখাচ্ছেন। তাঁরা দেখতে চান কেমন নির্বাচন হচ্ছে—এটা নিয়ে তাঁদের গভীর আগ্রহ।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই নির্বাচনকে স্বার্থক করা গণঅভ্যুত্থানের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি। এই নির্বাচন একটি বিরাট অভিযান, এ অভিযানে আমাদের জিততেই হবে।”

তিনি বলেন, “স্বাধীন জাতি হিসেবে টিকে থাকতে হলে এ লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে।”

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শেখ আব্দুর রশীদের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং আইন উপদেষ্টা প্রফেসর আসিফ নজরুল।

অনুষ্ঠানে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক এবং বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো: তৌফিকুর রহমান বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ