যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার শাট ডাউনের কবলে, ট্রাম্পের হুমকিতেও কাজ হল না
Published: 1st, October 2025 GMT
আইন প্রণেতারা ব্যয় সংক্রান্ত একটি বিল পাস করতে শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার আংশিক শাট ডাউন (অচল) হয়ে পড়েছে।
ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা অস্থায়ী ব্যয় প্রস্তাব নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারে অচলাবস্থার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে সচল রাখতে স্থানীয় সময় রাত ১২টার মধ্যে ব্যয় সংক্রান্ত বিল পাস করা লাগত। কিন্তু সেই বিল পাস হয়নি।
১৯৮০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৫ বার মার্কিন সরকারের কার্যক্রম আংশিকভাবে শাট ডাউন হয়েছে। শাট ডাউনের সময় সরকারি খাতের আকার উল্লেখযোগ্য হারে ছোট করার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে আগের শাট ডাউনগুলোর তুলনায় এবার বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প সতর্ক করেন, শাট ডাউনকে কাজে লাগিয়ে তিনি এমন পদক্ষেপ নিতে পারেন, যা ডেমোক্র্যাটদের জন্য “খারাপ” হবে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেন, শাট ডাউনের সময় সরকারি কর্মীদের চাকরি ও সরকারি কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ‘অনেক কিছুতে পরিবর্তন’ আনা সম্ভব। এর মধ্যে সরকারি খাতের আকার ছোট করা এবং অপ্রয়োজনীয় সেবা কাটছাঁট করার বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত।
সরকারি কর্মকর্তা এবং সাধারণ জনগণও শাট ডাউনের প্রভাব টের পাবেন। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সেবা যেমন সামাজিক নিরাপত্তা এবং খাদ্য সহায়তা চালু থাকবে। তবে কম গুরুত্বপূর্ণ কিছু কার্যক্রম এবং ছোট ব্যবসার ঋণ অনুমোদন স্থগিত থাকবে।
ডেমোক্র্যাটরা শাট ডাউনের জন্য রিপাবলিকানদের দায়ী করছেন। সিনেটের সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমার বলেছেন, ‘রিপাবলিকানরা স্বাস্থ্যসেবা সমস্যার সমাধান না করে আমাদের শাট ডাউনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।’
হাউসের ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফ্রিস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে রিপাবলিকানরা ভোট দিচ্ছেন।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ন দ র য় সরক র শ ট ড উন র র প বল ক
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে