আইন প্রণেতারা ব্যয় সংক্রান্ত একটি বিল পাস করতে শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার আংশিক শাট ডাউন (অচল) হয়ে পড়েছে।

ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা অস্থায়ী ব্যয় প্রস্তাব নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে ব্যর্থ হওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারে অচলাবস্থার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে সচল রাখতে স্থানীয় সময় রাত ১২টার মধ্যে ব্যয় সংক্রান্ত বিল পাস করা লাগত। কিন্তু সেই বিল পাস হয়নি।

১৯৮০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৫ বার মার্কিন সরকারের কার্যক্রম আংশিকভাবে শাট ডাউন হয়েছে। শাট ডাউনের সময় সরকারি খাতের আকার উল্লেখযোগ্য হারে ছোট করার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে আগের শাট ডাউনগুলোর তুলনায় এবার বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।

গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প সতর্ক করেন, শাট ডাউনকে কাজে লাগিয়ে তিনি এমন পদক্ষেপ নিতে পারেন, যা ডেমোক্র্যাটদের জন্য “খারাপ” হবে।  

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেন, শাট ডাউনের সময় সরকারি কর্মীদের চাকরি ও সরকারি কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ‘অনেক কিছুতে পরিবর্তন’ আনা সম্ভব। এর মধ্যে সরকারি খাতের আকার ছোট করা এবং অপ্রয়োজনীয় সেবা কাটছাঁট করার বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত।

সরকারি কর্মকর্তা এবং সাধারণ জনগণও শাট ডাউনের প্রভাব টের পাবেন। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সেবা যেমন সামাজিক নিরাপত্তা এবং খাদ্য সহায়তা চালু থাকবে। তবে কম গুরুত্বপূর্ণ কিছু কার্যক্রম এবং ছোট ব্যবসার ঋণ অনুমোদন স্থগিত থাকবে।

ডেমোক্র্যাটরা শাট ডাউনের জন্য রিপাবলিকানদের দায়ী করছেন। সিনেটের সংখ্যালঘু নেতা চাক শুমার বলেছেন, ‘রিপাবলিকানরা স্বাস্থ্যসেবা সমস্যার সমাধান না করে আমাদের শাট ডাউনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন।’

হাউসের ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফ্রিস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে রিপাবলিকানরা ভোট দিচ্ছেন।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক ন দ র য় সরক র শ ট ড উন র র প বল ক

এছাড়াও পড়ুন:

রায় শুনতে ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধারা 

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায় শুনতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এসেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধারা।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) পৌনে এগারোটায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্টাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে আসেন তারা। 

আরো পড়ুন:

জামিনের পর মামলা নিয়ে মেহজাবীনের বিবৃতি

শেখ হাসিনার হাজারবার মৃত্যুদণ্ড দিলেও কম হবে: মীর স্নিগ্ধ

এছাড়া, সকালেই ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এসেছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমানের মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম,  ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদীসহ আরো অনেক জুলাই যোদ্ধা। 

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রত্যাশা করেন জানিয়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মীর স্নিগ্ধ বলেন, “অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড আমরা আশা করছি এবং শেখ হাসিনা যেই অন্যায় করেছেন, সেই অন্যায়ের ফলে তাঁকে শুধু একবার না, হাজারবার মৃত্যুদণ্ড দিলেও সেটি কম হয়ে যাবে।” শেখ হাসিনাকে যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করার দাবিও জানান তিনি। 

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে। রায়কে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

ঢাকা/রায়হান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ