কুমিল্লায় আন্তঃজেলা কুখ্যাত ডাকাত শাহ আলম দুলাল (৪৮) ও তার দলের ১২ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৪টার দিকে দেবিদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ী এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও দেবিদ্বার থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, মুরাদনগরের উড়িরচর এলাকার মনির হোসেন (৪০), দেবিদ্বারের নবীয়াবাদ গ্রামের শাহ আলম দুলাল (৪৮), ব্রাহ্মণপাড়ার সিধলাই গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে মো.

মামুন মিয়া (২৪), একই উপজেলার মোখলেছুর রহমানের ছেলে মাহবুব আলম (৩৮), সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের ইলিয়াছের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩০), বুড়িচং উপজেলার জুরাইন মাইকপাড়া গ্রামের মৃত নসু মিয়ার ছেলে আল আমিন (৩২), বরুড়ার মহেশপুর কাজী বাড়ির মৃত আব্দুর রবের ছেলে কামাল হোসেন (৩২), চান্দিনার কংগাই গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে মোশারফ শরীফ (৩২), একই উপজেলার চিলোড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মো. সুমন (৩৩), বরুড়ার বাশতলী নোয়াবাড়ী গ্রামের খোকন (৪০), বরুড়ার দক্ষিণ হোসেনপুর গ্রামের মুবিনের ছেলে আল আমিন (২৫), চান্দিনার চিলোড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের আরেক ছেলে মো. সোহেল (২৬), বাঙ্গরাবাজারের হিরাকাশী গ্রামের আব্দুল আউয়াল (৫০) এবং চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সন্তোপুর গ্রামের নিহার বিশ্বাস (৪৮)।

আরো পড়ুন:

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত জামিন সংক্রান্ত বক্তব্য আইজিপির নয়

রামুতে পাহাড় থেকে মরদেহ উদ্ধার

বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ সব জানান পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান। 

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর লালমাই থানায় দুটি ডাকাতির ঘটনায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। পরে গোপন সূত্রে খবর আসে, বাঙ্গরাবাজার এলাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্র ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। টহল জোরদার থাকায় তারা ডাকাতি করতে না পেরে দেবিদ্বারের দিকে রওনা হয়। রাতের অভিযানে পুলিশের চেকপোস্টে পৌঁছালে হাইচ গাড়িতে থাকা ডাকাতরা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া দিয়ে ১৩ জনকে ধরা করা হয়।

অভিযানে ডাকাতদের ব্যবহৃত একটি কালো রঙের হাইচ মাইক্রোবাস, কুড়াল, রামদা, চাপাতি, কাটার প্লাস, চেইন, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ডাকাতি হওয়া চার জোড়া স্বর্ণের দুল, একটি স্বর্ণের আংটি, একটি রুপার নুপুর, একটি ছোট লাল রঙের স্বর্ণ রাখার বক্স এবং নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তাররা দীর্ঘদিন ধরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য হিসেবে পরিচিত। তারা সম্প্রতি লালমাই এলাকায় তিনটি, বরুড়ায় একটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে একটি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর জেলায় একাধিক মামলা রয়েছে। ডাকাত সর্দার দুলালের নামে ২৬টি মামলা রয়েছে ও আরেক ডাকাত মনিরের নামে ২১টি মামলা রয়েছে।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ বড়ুয়া ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ মু. আবদুল্লাহসহ পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা। 
 

ঢাকা/রুবেল/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

আমিনবাজারে পুলিশের তল্লাশি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিচারের রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এরই অংশ হিসেবে সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর অন্যতম প্রবেশ পথ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের আমিনবাজারে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। 

আরো পড়ুন:

পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়েতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা

চেকপোস্ট বসিয়ে চলছে তল্লাশি, ঢাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক

পুলিশ জানায়, রায়কে কেন্দ্র করে কেউ যাতে নাশকতা করতে না পারে, সেজন্য সাভারের আমিনবাজারে পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়েছে। সেখানে বাস, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল তল্লাশি করা হচ্ছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদেরকেও তল্লাশি করা হচ্ছে। 

সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, “পথচারী ও যাত্রীদের  নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পুলিশ কাজ করছে। সাভারের আমিনবাজারে পুলিশের চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। নাশকতারোধে পুলিশের অভিযান চলছে।”

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ