আইএসইউ ফুটবল ফেস্ট সিজন–১ এর ফাইনাল অনুষ্ঠিত
Published: 1st, October 2025 GMT
ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটি (আইএসইউ) স্পোর্টস ক্লাবের আয়োজনে আইএসইউ ফুটবল ফেস্ট, সিজন–১ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাইনারি ব্লাস্টার্স।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর রয়েল মাল্টিস্পোর্টস এরেনায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান এবং জাতীয় ফুটবল দলের কিংবদন্তি ফুটবলার কায়সার হামিদ।
আইএসইউ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দল টেক্সটাইল ওয়ারিয়ার্সকে শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল ম্যাচে ২-১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দল বাইনারি ব্লাস্টার্স। টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মার্চেন্ট ম্যাভেরিক্স এর মো.
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইএসইউ ট্রেজারার প্রফেসর এইচ টি এম কাদের নেওয়াজ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল কাসেম, রেজিস্ট্রার মো. ফাইজুল্লাহ কৌশিক, স্পোর্টস ক্লাবের উপদেষ্টা ড. মনিরুল হাসান মাসুম, মডারেটর মুহাম্মদ আবু নাজিম, স্পোর্টস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ইয়াসিন আহমেদ সুমনসহ বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকরা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইএসইউ স্পোর্টস ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মোহাম্মদ আলী।
উপাচার্য বলেন, “পড়াশোনা আর খেলাধুলা দুটো নিয়েই তোমাদের ভবিষ্যৎ, আমি নিশ্চিত যে তোমরা আরো ভালো করবে। কায়সার হামিদের কথা অনুযায়ী অনেকেই খুব ভালো খেলেছ, তাই আমরা খুব দ্রুত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় খেলা শুরু করব। আমি বিশ্বাস করি, নিয়মিতভাবে খেলাধুলার আয়োজন শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং ভবিষ্যতের পেশাগত জীবনে তাদের সাফল্যের পথকে সুদৃঢ় করবে।”
কায়সার হামিদ বলেন, “আজ অনেক সুন্দর একটা ফাইনাল উপভোগ করলাম। বাংলাদেশের মানুষ ফুটবল ভালোবাসে কিন্তু ২০০০ সালের পর ফুটবলে যে ভাটা পড়েছিল, তা জামাল ভূঁইয়ারা আসার পর আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ফাইনালে দুই দলেই কিছু ভালো খেলোয়াড় দেখতে পেয়েছি, তারা যদি এই খেলা চালিয়ে যায় তাহলে জাতীয় পর্যায়েও ভালো কিছু করতে পারবে।”
আইএসইউ ফুটবল ফেস্টের এবারের আসরে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের ৯টি দল অংশগ্রহণ করে। দলসমূহ হলো- অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মার্চেন্ট ম্যাভেরিক্স, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের টেক্সটাইল ওয়ারিয়ার্স এবং টেকটিক্যাল টেক্স, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ডিবিএ প্রাইম ভেলর এবং ডিবিএ লেগেসি ইউনাইটেড, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাইবার স্ট্রাইকার্স এবং বাইনারি ব্লাস্টার্স, আইন বিভাগের লিগাল ঈগল, ইংরেজি বিভাগের ইংলিশ ইনভিন্সিবলস টিম।
ঢাকা/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প র টস ক ল ব র ফ ইন ল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি নবজন্ম লাভ করবে: প্রধান উপদেষ্টা
আগামী নির্বাচন ও গণভোটে শতভাগ সততা, নিরপেক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এবারের নির্বাচন গতানুগতিক কোনো নির্বাচন নয়; বরং এটি দেশ রক্ষার নির্বাচন। এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি নবজন্ম লাভ করবে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সদ্য পদায়নকৃত ৫০ জেলা প্রশাসকসহ ৬৪ জেলার প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
আরো পড়ুন:
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল এবি পার্টি
আগামী নির্বাচনকে শুধু পাঁচ বছরের সরকার গঠনের একটি নির্বাচন নয়; বরং গণভোট যুক্ত হওয়ায় এটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ নির্বাচন হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এটা সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি নির্বাচন। জাতি বহু প্রহসনের নির্বাচন দেখেছে, সেই স্মৃতি ছাপিয়ে যেতে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।”
“এটা গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নির্বাচন; এই নির্বাচন গণঅভ্যুত্থানকে পূর্ণতা দেওয়ার নির্বাচন। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতির জন্য নির্ধারিত হবে শতাব্দীর গতিপথ,” বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
এই নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কোনোভাবেই ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি নবজন্ম লাভ করবে এবং জেলা প্রশাসকরা থাকবেন ধাত্রীর ভূমিকায়।”
জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আপনাদের যা যা জানা প্রয়োজন সব জেনে নেবেন। নির্বাচনকে একই সঙ্গে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ করতে হবে।”
তিনি বলেন, “মনে রাখতে হবে বিপুল সংখ্যক তরুণ ও নারী ভোটার রয়েছেন, যারা ভোট দেওয়ার উপযুক্ত হলেও গত ১৫ বছর ধরে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি।”
তিনি আরো বলেন, “আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এরইমধ্যে আগামী নির্বাচনের বিষয়ে গভীর উৎসাহ দেখাচ্ছেন। তাঁরা দেখতে চান কেমন নির্বাচন হচ্ছে—এটা নিয়ে তাঁদের গভীর আগ্রহ।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই নির্বাচনকে স্বার্থক করা গণঅভ্যুত্থানের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি। এই নির্বাচন একটি বিরাট অভিযান, এ অভিযানে আমাদের জিততেই হবে।”
তিনি বলেন, “স্বাধীন জাতি হিসেবে টিকে থাকতে হলে এ লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে।”
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শেখ আব্দুর রশীদের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং আইন উপদেষ্টা প্রফেসর আসিফ নজরুল।
অনুষ্ঠানে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক এবং বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো: তৌফিকুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
ঢাকা/ইভা