জাতীয় নির্বাচনের পর দেশে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, যাঁরা বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছেন, তাঁদের নিয়ে এই সরকার গঠন করা হবে।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ির পূজামণ্ডপে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে শারদীয় শুভেচ্ছা জানাতে এসে আমীর খসরু সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার আর অনির্বাচিত সরকারের কার্যক্রমের মধ্যে একটা বিশাল তফাত থাকার কথা এবং আছে। সবাই নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায় আছে। নির্বাচনের পরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় আকারের পরিবর্তন হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন হবে, রপ্তানি বাড়বে, কর্মসংস্থান বাড়বে। স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাসহ সব খাতে যে সমস্যা আছে, সব সমস্যার সমাধান হবে।’

সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে কুমুদিনী চত্বরে এসে পৌঁছান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি কুমুদিনী গ্রন্থাগারে চা চক্র শেষে বজরা নৌকায় লৌহজং নদ পার হয়ে রণদা প্রসাদ সাহার বাড়িতে পূজামণ্ডপে যান। সেখানে কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা তাঁকে স্বাগত জানান। এ সময় বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাঈদুর রহমান, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল (শাহীন), সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে রাজীব প্রসাদ সাহার হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন আমীর খসরু।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান কুমুদিনী লাইব্রেরিতে চা চক্রে অংশ নেন। বুধবার বিকেলে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রস দ স হ ব এনপ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ