বাগেরহাটে সাংবাদিক হায়াত উদ্দিন হত্যার প্রতিবাদে প্রেসক্লাবের মানববন্ধন
Published: 4th, October 2025 GMT
বাগেরহাটে বিএনপি নেতা ও সাংবাদিক এ এস এম হায়াত উদ্দিনকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। শনিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাব আয়োজিত মানববন্ধনে সংবাদকর্মী ছাড়াও বিএনপির নেতারা একাত্মতা জানিয়ে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক তরফদার রবিউল ইসলাম, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হক, সাংবাদিক এস এম রাজ, আহাদ উদ্দিন হায়দার, হেদায়েত হোসেন, ইয়ামিন আলী, কামরুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন। বক্তারা বলেন, একজন সংবাদকর্মীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হলো। অথচ পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না করলে সংবাদকর্মীরা কঠোর কর্মসূচি দেবেন।
মানববন্ধনে একাত্মতা জানিয়ে অংশ নেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ ফরিদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, খান মনিরুল ইসলাম, মাসুদ রানা, ফকির তারিকুল ইসলাম, শাহেদ আলী, মাহবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। তাঁরা বলেন, হায়াত উদ্দিন শুধু সাংবাদিক ছিলেন না; তিনি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী একজন সৈনিক ছিলেন। তিনি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর হত্যাকারী যত শক্তিশালী হোক, তাঁকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের হাড়িখালি এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হায়াত উদ্দিনকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ছিলেন। তাঁর বাড়ি বাগেরহাট পৌর শহরের উত্তর হাড়িখালি এলাকায়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বাগেরহাট পৌর বিএনপির সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছিলেন হায়াত উদ্দিন। তবে পরাজিত হন। এর আগে তিনি পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, মাদক ব্যবসা, ঠিকাদারি কাজের মান, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব ছিলেন হায়াত উদ্দিন। তবে তাঁর বিরুদ্ধেও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। হায়াত উদ্দিনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা আছে। কয়েক মাস আগেও তাঁর ওপর একবার হামলার ঘটনা ঘটেছিল।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে হায়াতের মরদেহ বাগেরহাটে নিয়ে আসা হয়। হাড়িখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে জানাজা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
হায়াত উদ্দিনের স্ত্রী ও দুটি মেয়ে আছে। ছোট মেয়ে মারজিয়া ও বড় মেয়ে হিয়া মনি এখনো বুঝতে পারছে না, তাদের বাবা আর ফিরবেন না। স্ত্রী ফাতেমা বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘শুধু সত্য কথা লেখার কারণেই আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। আমি খুনিদের ফাঁসি চাই।’
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব গ রহ ট প র হ য় ত উদ দ ন ব এনপ র ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা পেলেন ১০ জন
স্কুলের আদলে সাজানো মঞ্চ। সেখানে ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন রকমের খেলাধুলা করছে। সেদিকে এগিয়ে এলেন একজন। তিনি ওই বিদ্যালয়ের নতুন প্রধান শিক্ষক। উপস্থিত দর্শকদের একজনের কাছে তিনি জানতে চাইলেন, উচ্ছ্বাসে আলোর পাঠশালা কোথায়? দর্শক মঞ্চের দিকে দেখিয়ে দেন। তখন খেলায় ব্যস্ত শিশুদের কাছে যান নতুন প্রধান শিক্ষক এবং তাদের কাছে জানতে চান, প্রধান শিক্ষকের কক্ষ কোথায়? একজন শিশু ওই শিক্ষককে নিয়ে মঞ্চের পেছন দিকে চলে যান।
খানিক পরেই সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজন মঞ্চে আসেন। সহকারী প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘প্রিয় শিক্ষার্থীরা আমার সঙ্গে যিনি এসেছেন, তিনি আমাদের “উচ্ছ্বাসে আলোর পাঠশালার” নতুন প্রধান শিক্ষক। আজকের অ্যাসেম্বলিতে (প্রাত্যহিক সমাবেশ) আমরা তাঁকে বরণ করে নেব।’ তখন লাইন ধরে শিশুরা দাঁড়িয়ে যায়, যেন স্কুলে অ্যাসেম্বলি হচ্ছে। বেজে ওঠে জাতীয় সংগীত।
‘আইপিডিসি-প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা ২০২৫’ অনুষ্ঠানে এমনই এক পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছিল। যা কিছুক্ষণের জন্য ছোটবেলার স্কুলের কথাই মনে করিয়ে দিল উপস্থিত সবাইকে। বিশ্ব শিক্ষক দিবসের আগের দিন আজ শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মানুষ গড়ার কারিগর সাতজন প্রিয় শিক্ষককে সম্মাননা দেওয়া হয়। এ ছাড়া রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত তিন শিক্ষককে দেওয়া হয় মরণোত্তর সম্মাননা।
জীবনে একজন ভালো মানুষ হয়ে ওঠার পথে শিক্ষকের ভূমিকা অসামান্য। জ্ঞানের আলো ছড়ানোর পাশাপাশি তাঁরাই শেখান নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও মানবিকতা। এই গুরুজনদের মধ্যেও কিছু শিক্ষক থেকে যান হৃদয়ের একেবারে কাছাকাছি। তাঁদের পাঠদানের ধরন, স্নেহ-ভালোবাসা, আদর্শ ও দিকনির্দেশনা প্রত্যেকের মনে গভীর দাগ কাটে। তাঁরা হয়ে ওঠেন আমাদের ‘প্রিয় শিক্ষক’—যাঁদের আদর্শ আজও আমাদের পথচলার অনুপ্রেরণা। এমন শিক্ষকদের পাঁচ বছর ধরে সম্মাননা দিয়ে আসছে যৌথভাবে প্রথম আলো এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি। এবার পঞ্চমবারের মতো আয়োজন করা হয় এই সম্মাননা অনুষ্ঠানের। এর আগে ২০১৯, ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ৪০ জন প্রিয় শিক্ষককে সম্মাননা দেওয়া হয়।
চলতি বছরের প্রিয় শিক্ষক সম্মাননার মনোনয়ন গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয় গত ১৭ জুন। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৬৬২ জন শিক্ষকের জন্য মনোনয়ন জমা পড়ে। এর মধ্যে প্রাথমিকের ৪৭২ জন এবং মাধ্যমিকের ২ হাজার ১৯০ জন শিক্ষক। তাঁদের মধ্য থেকে বিচারকমণ্ডলী প্রিয় সাতজন শিক্ষককে সম্মাননার জন্য বাছাই করেন। আর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত তিন শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরী, মাহফুজা খাতুন ও মাসুকা বেগমকে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এবার সম্মাননা পাওয়া সাত শিক্ষক হলেন গোপালগঞ্জের বীণাপাণি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আজমীরা খানম, দিনাজপুরের সুব্রত খাজাঞ্চী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র রায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া গভ. মডেল গার্লস হাইস্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক পারভীন আক্তার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলিনগর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন, ঝিনাইদহের পৌর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মোছা. শাহানাজ পারভীন, কুমিল্লার গণউদ্যোগ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ রনজিৎ চন্দ্র দাশ, বাগেরহাট মোবাইদুল ইসলাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মনিরুজ্জামান। তাঁরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সম্মাননা গ্রহণ করেন।
সম্মাননাপ্রাপ্ত সাত গুণী শিক্ষকের প্রত্যেকের হাতে সম্মাননা হিসেবে দেওয়া হয় ক্রেস্ট, উত্তরীয়, সনদ এবং এক লাখ টাকার চেক।
মরণোত্তর সম্মাননা পাওয়া তিন শিক্ষকের পরিবারের পক্ষ থেকে যথাক্রমে মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী মো. মনসুর হেলাল, মাহফুজা খাতুনের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা ওশিন এবং মাসুকা বেগমের বড় বোন পাপড়ি রহমান সম্মাননা গ্রহণ করেন। এই শিক্ষকদের প্রত্যেকের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় ক্রেস্ট এবং দেড় লাখ টাকার চেক।
অনুষ্ঠানে ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কর্মময় জীবনের কথা তুলে ধরা হয়। সেখানে তাঁদের বক্তব্যও তুলে ধরা হয়। একেকজন শিক্ষক কেবল পড়াশোনাই নয়, শিক্ষার্থীদের জীবন গড়তে কীভাবে সহায়তা করেন, সেসব কথাও উঠে আসে ভিডিও চিত্রে।
জুরিবোর্ডের সভাপতি ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান। সদস্য ছিলেন বাগেরহাট কাড়াপাড়া শরৎচন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং ২০১৯ সালে প্রিয় শিক্ষক সম্মাননাপ্রাপ্ত মো. আসাদুল কবির, ঢাকার ওয়াইডব্লিউসিএ উচ্চমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ফ্লোরেন্স গমেজ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান (তুহিন ওয়াদুদ) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম।
যা বললেন অতিথিরাঅনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ; সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি প্রত্যেকে যে যা হতে পেরেছেন, তার পেছনে শিক্ষকদের অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
শিক্ষকদের বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা বলতে গিয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, শিক্ষকদের মর্যাদা ও সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকার একটি অগ্রাধিকার হিসেবে স্থির করেছে। এরই মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রাথমিক আরও ১৩ থেকে ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ (শূন্য পদ বিবেচনা করে) করা হবে। কলেজ ও অন্যান্য স্তরে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে যাতে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করা যায়, সে জন্য তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, শিক্ষকদের জাতির মেরুদণ্ড বলা হয়। কিন্তু সেই মেরুদণ্ডই অনেক সময় সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না। কারণ, শিক্ষকদের সেই সম্মান দেওয়া হয় না।
সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা তুলনামূলকভাবে সুবিধাবঞ্চিত হয়েও কীভাবে শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে, সেই কথা তুলে ধরেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ।
স্বাগত বক্তব্যে আইপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, ‘আজ আমাদের প্রিয় শিক্ষকদের সম্মাননা জানাচ্ছি। তবে এটি শুধু সম্মাননা নয়, আজ তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে এসেছি। টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে শিক্ষককের অবদান সবচেয়ে বেশি। আর এটি শুরু হয় পাঠশালা থেকে।’ তিনি জানান, প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা উপলক্ষে শিক্ষকদের জন্য বিশেষ ঋণসেবা ‘প্রজ্ঞা’ চালু করেছেন তাঁরা। এই সেবার মাধ্যমে শিক্ষকেরা সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারবেন।
সাবেক শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে শিক্ষকদের সম্মাননা জানানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ম. তামিম। তিনি বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষকদের সঠিক মূল্যায়ন করতে না পারলে জাতির মেরুদণ্ড কখনো সোজা হবে না।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহ–উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হাসিব চৌধুরী শিক্ষকদের সম্মাননা জানানোর জন্য বছরের কোনো একটা দিন ‘স্কুলশিক্ষক দিবস’ পালনের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুর রব বলেন, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই এক বা একাধিক শিক্ষক এ রকম সম্মাননা পাওয়ার যোগ্য।
অনুষ্ঠানে জুরিবোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ‘মনে হচ্ছিল সব শিক্ষককেই সম্মাননা দিই।’
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে মরণোত্তর সম্মাননা পাওয়া তিনজন শিক্ষককে বিশেষভাবে স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা সত্যে তথ্যে বিশ্বাস করি, যত যাই কিছু হোক না কেন আমরা সত্য প্রকাশে কাজ করে যাব। প্রথম আলোর একটাই লক্ষ্য, আমরা সব জায়গায় বাংলাদেশের বিজয়, সফলতা দেখতে চাই।’
অনুষ্ঠানে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, আইপিডিসির পরিচালক সাব্বির আহমেদসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনাঅনুষ্ঠানে ‘একদিন ছুটি হবে...’ গানের ওপর মিউজিক্যাল থিয়েটার পরিবেশন করেন সহজপাঠ উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকেরা। ‘মাস্টার সাব আমি নাম দস্তখত শিখতে চাই...’ গানটি যৌথভাবে পরিবেশন করেন শিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা ও কিশোর দাস।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, যুব কার্যক্রম ও ইভেন্টের প্রধান মুনির হাসান এবং প্রথম আলো ট্রাস্টের সমন্বয়ক মাহবুবা সুলতানা। বিদ্যালয়ের ঘণ্টা বাজিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান, শেষও হয় ঘণ্টা বাজিয়ে।