সর্বজনীন পেনশনের সুরক্ষা স্কিমে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা দেওয়া যাবে
Published: 6th, October 2025 GMT
সরকারের সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির (স্কিম) সুরক্ষা স্কিমে সর্বোচ্চ চাঁদার হার ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এই স্কিম মূলত রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে ও তাঁতির মতো স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য। তাঁদের মধ্যে নিম্ন আয়ের পাশাপাশি উচ্চ আয়ের পেশাজীবীও রয়েছেন। তাই সুরক্ষা স্কিমের আওতার মধ্যে আছে, এমন উচ্চ আয়ের মানুষকে আকৃষ্ট করতে চাঁদার সীমা বাড়ানো হয়েছে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
আজ সোমবার জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের তৃতীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভাটি বাংলাদেশ সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টার সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। সভায় আলোচনার বিষয় উপস্থাপন করেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব মো.
সভায় আরও যা সিদ্ধান্ত হয়
সভায় আউটসোর্সিং সেবাকর্মীদের পেনশন স্কিমে সম্পৃক্ত করার কথা জানানো হয়। আউটসোর্সিং সেবাকর্মী হলেন তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যে কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। অর্থ বিভাগের আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় সেবা গ্রহণ নীতিমালার আওতায় আউটসোর্সিং সেবাকর্মীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে। এখন থেকে আউটসোর্সিং সেবাকর্মীরা প্রগতি স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রগতি স্কিমের সর্বনিম্ন মাসিক চাঁদার হার এক হাজার টাকা। তবে আউটসোর্সিং সেবাকর্মীদের জন্য পেনশন সেবা সহজ করতে সর্বনিম্ন মাসিক চাঁদার হার পাঁচ শ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সামর্থ্য অনুযায়ী তাঁরা চাইলে উচ্চতর স্তরেও অংশ নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে পুরো চাঁদার অর্থ কর্মীর পক্ষ থেকেই জমা দিতে হবে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোনো অবদান থাকবে না।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ইসলামিক সংস্করণ চালুর বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এ–সংক্রান্ত সর্বোত্তম চর্চা (বেস্ট প্র্যাকটিস) পর্যালোচনা করে ধারণাপত্র প্রস্তুতের পর এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বিমা–সুবিধা চালুর বিষয়েও ধারণাপত্র তৈরির কথা বলা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মুনাফা ঘোষণা করা হয়। ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৩ হাজার চাঁদাদাতার জমা করা অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মুনাফা হয়েছে ১৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ, গত অর্থবছরে সর্বোচ্চ মুনাফার হার হয়েছে ১১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প নশন স ক ম আউটস র স স ব কর ম
এছাড়াও পড়ুন:
অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ৯২ হাজার কোটি টাকা
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৫৮ কোটি ৫৬ লাখ মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৯২ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ৬৫৪ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার বা ৭৯ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা।
রবিবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সেপ্টেম্বরে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩২ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। আগস্টে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার বা ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা। আর জুলাইয়ে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার ২৩০ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানান, অর্থপাচারে বর্তমান সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে হুন্ডিসহ বিভিন্ন অবৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানো কমে গেছে। ফলে বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। ওই অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলার, ডিসেম্বর মাসে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার, জানুয়ারি মাসে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার।
একই অর্থবছরের মার্চে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ২৩ লাখ ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার এবং জুন মাসে ২৮২ কোটি ১২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
ঢাকা/নাজমুল/মাসুদ