বিহারে ফের নীতীশ–বিজেপি সরকার, বলছে বুথফেরত জরিপ
Published: 11th, November 2025 GMT
দুই দফার ভোটের পর বুথ ফেরত জরিপ অনুযায়ী বিহারে আরও একবার ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে বিজেপি ও নিতীশ কুমারের দল জেডিইউর নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছটায় ভোট শেষ হওয়ার পরেই বিভিন্ন সংস্থার জরিপ আসা শুরু হয়। প্রতিটি জরিপেই দেখা যাচ্ছে এনডিএ জোট বিপুল ব্যবধানে জয়ী হতে চলেছে।
বিহার বিধানসভার মোট আসনসংখ্যা ২৪৩। পাঁচ বছর আগের ভোটে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও তেজস্বী যাদবের দল আরজেডির মধ্যে তুমুল লড়াই হয়েছিল। আরজেডি ৭৫ আসনে জয়ী হয়েছিল। বিজেপি জিতেছিল ৭৪ আসনে। নিতীশ কুমারের জেডিইউ পেয়েছিল ৪৩টি আসন। এবারের জরিপ অনুযায়ী, নিতীশ নেতৃত্বাধীন এনডিএ আগেরবারের চেয়েও বেশি ব্যবধানে জয়ী হতে চলেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটায় পাঁচটি সংস্থার বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। হিন্দি সংবাদমাধ্যম দৈনিক ভাস্করের জরিপে দেখা যাচ্ছে, এনডিএ পেতে চলেছে ১৪৫ থেকে ১৬০ আসন। তুলনায় আরজেডি-কংগ্রেস ও বামপন্থী মহাজোট পেতে চলেছে ৭৩ থেকে ৯১টি আসন। জেভিসির জরিপ দেখাচ্ছে, এনডিএ পাচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৫০ আসন। বিরোধী মহাজোট পাচ্ছে ৮৮ থেকে ১০৩টি।
ম্যাট্রিজের জরিপ অনুযায়ী, এনডিএ ১৪৭ থেকে ১৬৭টি এবং মহাজোট ৭০ থেকে ৯০টি আসন পাচ্ছে। পি-মার্কের জরিপ এনডিএকে ১৪২ থেকে ১৬২টি এবং মহাজোটকে ৮০ থেকে ৯৮টি আসন দিচ্ছে। চানক্য স্ট্র্যাটেজিস এনডিএকে দিচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৮টি আসন এবং মহাজোটকে দিচ্ছে ১০০ থেকে ১০৮টি আসন। এই পাঁচ সংস্থার গড় করে পোল অব পোলস এনডিএকে দিচ্ছে ১৪৬ আসন, মহাজোটকে ৯০টি।
এবারের ভোটে তৃতীয় শক্তি হিসেবে আলোচনায় এসেছিল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) দল জন সুরাজ পার্টি। বিকল্প রাজনীতির কথা বলে বিপুল যুব সমাবেশ সত্ত্বেও কোনো জরিপই পিকের দলকে একটিও আসন দেয়নি। দুই জোটের শরিকদের বাইরে যাঁরা লড়াই করেছেন, তাঁরা সবাই মিলে বড়জোর দুই থেকে পাঁচটি আসন জিতবেন বলে বুথ ফেরত সমীক্ষায় ধারণা করা হচ্ছে।
এই জরিপের ফল মিলে গেলে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় নিতীশ কুমার দশমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন। ভগ্ন স্বাস্থ্য ও দীর্ঘকাল (২০ বছর) মুখ্যমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও প্রমাণ হতে চলেছে, নিতীশের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি।
বিজেপি এবার আগে থেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিতীশের নাম ঘোষণা করেনি। অন্য দিকে মহাজোট মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তেজস্বী যাদবের নাম জানিয়ে দিয়েছিল। বুথ ফেরত জরিপ মিলে গেলে বোঝা যাবে, নিতীশের প্রতি বিহারের জনগণের ভরসায় টোল খায়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম খ যমন ত র এনড এ
এছাড়াও পড়ুন:
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় অর্থের বিকল্প সংস্থান খোঁজা জরুরি: ওরলা মারফি
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা ২০২৩ সালের পর থেকে কমছে। এ ধারা এ বছরও অব্যাহত রয়েছে। এমন এক প্রেক্ষাপটে কক্সবাজারে শরণার্থীশিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তায় অর্থের বিকল্প সংস্থান খুঁজে নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকায় একটি হোটেলে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন ডক্টরস উইদআউট বর্ডার্সের (এমএসএফ) এদেশীয় প্রতিনিধি ওরলা মারফি। বাংলাদেশে জরুরি চিকিৎসা সেবায় আন্তর্জাতিক সংস্থাটির কার্যক্রমের নানা দিক নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়।
ওরলা মারফি জানান, এমএসএফকে তহবিলের জন্য অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মতো দাতাগোষ্ঠী কিংবা সরকারের ওপর নির্ভর করতে হয় না। মূলত ব্যক্তিগত পরিসরে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে এমএসএফের ৯০ শতাংশ তহবিল সংগ্রহ করা হয়। ফলে সামগ্রিকভাবে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তায় ঘাটতি দেখা দিলেও এর রেশ এমএসএফের কর্মকাণ্ডে পড়েনি।
রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তায় তহবিল ঘাটতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওরলা মারফি বলেন, পরিস্থিতি এখন যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, তাতে রোহিঙ্গাদের জন্য বিকল্প অর্থের সংস্থান খুঁজে নেওয়াটা জরুরি হয়ে গেছে। কারণ, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। আবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসার প্রবণতাও বন্ধ হয়নি। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। ফলে চাপ তৈরি হচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরি হয়নি উল্লেখ করে এমএসএফের এদেশীয় প্রতিনিধি বলেন, ২০২৪ সালের জুন মাস থেকে রাখাইনে এমএসএফের মানবিক সহায়তা বন্ধ হয়ে গেছে। আর সেখানকার সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি যা–ই হোক না কেন সেখানে মানবিক সহায়তা চালু রাখা প্রয়োজন।
আরও পড়ুনতহবিল–সংকট কাটলে দ্রুতই রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা কেন্দ্রগুলো চালু হবে: ইউনিসেফ০৩ জুন ২০২৫